◾ইমন হাওলাদার : মানব সমাজের জীবন কালকে ৪ টি ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে।যথা:-১.শৈশব ২.কৈশর ৩.যৌবন ৪.বৃদ্ধ। এই চারটি সময়ের মধ্যে সমাজের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।মানুষের যৌবন কাল।এই সময়ে ছেলে-মেয়েরা জীবন চলার পথে উভয়ই তাদের সঙ্গী খুঁজতে থাকে।
যার কারণে পরিবারের ও সমাজের দায়িত্বশীল লোকেরা তাদের বিয়ে দেয়। সু-প্রাচীন কাল থেকে আজ পর্যন্ত অধিকাংশ বিয়েতে ছেলে-মেয়ের মতামতের কোনো গুরুত্ব দেওয়া হয়না।
অনেক পরিবারের সদস্যরা ছেলে-মেয়ের বিয়েকে বিভিন্ন সমস্যার ঢাল বা ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করে। ছেলে-মেয়েদের একে অপরকে জানার কোনো সুযোগ না দেওয়ায়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায় তাদের মন মানসিকতার অমিল।যার ফলে বিয়ের কিছুদিন পরেই শুনা যায় বিচ্ছেদের গুঞ্জন। এর জন্য যারা চিরকাল একসাথে থাকবে।আমাদের উচিত তাদের একে অপরকে বুঝার জন্য যে পরিবেশ তৈরি করে দেওয়া দরকার তা করা এবং তাদের উভয়ের মতের গুরুত্ব দেওয়া। বিবাহ বিচ্ছেদের আরেকটি বড় কারণ হলো ছেলে-মেয়ের অধিক বয়সের পার্থক্য। একটা ১৮ বছরের মেয়েকে যখন ৩২ বছরের ছেলে বিয়ে করে।তখন পরিসংখ্যান টা কেমন দাঁড়ায়। ১৮ বছরের সদ্য যৌবনে পদার্পণ মেয়েটার।
চিন্তা জগতে থাকে বিকেল হলেই ঘুরতে যাওয়া, ফুচকা খাওয়া, দর্শনীয় স্থান গুলো পর্যটন করা, রোমান্টিকতায় মজে থাকা।অন্য দিকে ৩২ বছরের ছেলেটার চিন্তা জগৎ তখন জমি-জমা ক্রয়, অর্থনৈতিক ভাবে সাবলম্বী হওয়া, সন্তান জন্ম দান ও তাদের লালন পালন করা, সংসার খরচ কমিয়ে সঞ্চয়ে মনযোগী হওয়া।
যার ফলে তাদের মধ্যে দেখা যায় পাহাড় সমতুল্য অভিযোগ একে অপরের বিরুদ্ধে। তাই আমাদের উচিৎ ছেলে-মেয়ের বয়সের পার্থক্যটা যাতে সর্বোচ্চ ৩-৫ বছরের মধ্য থাকে সেই দিকে লক্ষ্য রাখা। তবেই কমবে বিচ্ছেদ নামক ঘৃণিত সামাজিক ব্যাধির।
লেখক : ইমন হাওলাদার
শিক্ষার্থী, ঢাকা কলেজ
১৫ ঘন্টা ৫ মিনিট আগে
১ দিন ৪ ঘন্টা ৩৭ মিনিট আগে
১ দিন ১৯ ঘন্টা ৪৩ মিনিট আগে
৫ দিন ১৩ ঘন্টা ৮ মিনিট আগে
৫ দিন ১৩ ঘন্টা ১৯ মিনিট আগে
৫ দিন ১৩ ঘন্টা ২৬ মিনিট আগে
৬ দিন ১২ ঘন্টা ৭ মিনিট আগে
৭ দিন ২২ ঘন্টা ৪৬ মিনিট আগে