◾ রোমান মিয়া: মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব। এই সৃষ্টিতে নেই কোন ভেদাভেদ, নেই কোন পার্থক্য রেখা। মানুষের শরীরে বহন করে আছে লাল রক্ত যা এক ও অভিন্ন। একজন শিশুর যেমন কোন জাত নেই তেমন একজন মানুষেরও কোন জাত নেই। ধনী, গরিব, কুলি, মজুর, ধনবান প্রত্যেকেই আমরা মানুষ। আমরা মানুষ জাতি হিসাবে বিবেচিত ও পরিচিত বলে গণ্য হয়ে থাকি।মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য। মানবিকতা মানুষের আসল পরিচয় হলেও, অভিজাত, ধনবান, ধনীর দুলালদের সাথে সাধারণ দিনানিপাত মানুষের রয়েছে বিস্তর ফারাক। ধন, ঐশ্বর্য ও প্রাচুর্য যেন মানুষকে করেছে নিষ্ঠুর ও অমানবিক। বর্তমানে মানুষের প্রতি মানুষের দয়া,মায়া মমতা, অনুগ্রহ, ও সহযোগিতা যেন ম্রিয়মান বা খুবই কম।যেন তেইশ শতাব্দীর সবচেয়ে বড় সংকট হচ্ছে মানবিকতা। যা মানুষ হিসেবে আমাদের জন্য খুবই লজ্জার এবং দুঃখজনকও বিষয়।
সারা বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর ঐক্য ও আত্মত্যাগের মাধ্যম হলো ঈদুল আজহা। এই ঈদ মানে আনন্দ, ত্যাগের সর্বোচ্চ মাধ্যম। কেননা, মুসলমান সমাজের সবচেয়ে বড় আনন্দ হচ্ছে ঈদের আনন্দ। ঈদের আনন্দ মানবজীবনের তাৎপর্য ও গভীরতা অনেক।যেন ঈদ মানুষের সামাজিক চেতনার এক আনন্দমুখর অভিব্যক্তি। মুসলমান সম্প্রদায়ের সংস্কৃতির অন্যতম প্রাণ প্রবাহ।ঈদে ধনী-গরিব কারো মাঝে থাকে না প্রতিদিনের মন- মালিন্য, থাকেনা প্রত্যাহিক জীবনের সুখ-দুঃখের চিত্র।
ঈদের আনন্দ উপভোগ যেমন করতে হবে তেমনি আমাদের শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে। আমাদের এমন মানবিকতা গুণ থাকতে হবে যেখানে আমরা মানুষ হিসেবে মানুষের জন্য নিজেকে বিলিয়ে দিতে হবে। আমরা শারীরিক মানুষ ও আবেগিকভাবে একে অন্যের ভাই- বোন। আমরা সবাই পৃথিবীতে একই নিয়মে এসেছি- আবার, একই নিয়মে চলেও যাব। তাই আনন্দ যেমন ভাগাভাগি করা যায়। তেমনি দুঃখও ভাগ করা যায়। ঈদুল আযহা হলো আত্মত্যাগের আনন্দ। তাই আমরা মানবিক মানুষ হিসাবে,সমাজের অসহায়, দিনানিপাত,দুস্থ মানুষদের সাহায্য ও সহযোগিতার মাধ্যমে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবো।যেন তারাও আমাদের মতো ঈদের দিনে খুশি ও সাচ্ছ্বন্দ্য বোধ লাভ করে ঈদ পালন করতে পারে।পৃথিবীর সকল মানুষই যেন ঈদের আনন্দ ও চেতনা বুকে ধারণ করে মানুষের প্রতি মানবিক ও স্পর্শ কাতর হয় সেই দিকে লক্ষ্য রাখব।এবং একটি মানবিক পৃথিবী গঠন করব। যেখানে থাকবে মানুষের প্রতি মানুষের সহানুভর্তীতা ও মানবিকতা। তাই তো মন উজাড় করে বলতে চাই, ঈদ আনন্দে ছড়িয়ে পড়ুক মানবিকতার স্পর্শ।
রোমান মিয়া
লেখক ও সংগঠক
১ দিন ৮ ঘন্টা ৯ মিনিট আগে
১ দিন ৮ ঘন্টা ১৪ মিনিট আগে
৫ দিন ৭ ঘন্টা ২৮ মিনিট আগে
৫ দিন ১৫ ঘন্টা ১২ মিনিট আগে
৭ দিন ১ ঘন্টা ১৮ মিনিট আগে
৭ দিন ১২ ঘন্টা ৮ মিনিট আগে
৯ দিন ৫ ঘন্টা ৫২ মিনিট আগে
৯ দিন ১৬ ঘন্টা ৫৭ মিনিট আগে