ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের ইফতার ও দোয়া অনুষ্ঠিত পাবিপ্রবিতে পদ্মা ছাত্র কল্যাণ সমিতির ইফতার মাহফিল ও নবীন বরণ অনুষ্ঠিত কালিগঞ্জে কুশুলিয়া ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত ডোমারে নারীর প্রতি সহিংসতা ও ধর্ষণের প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত কোম্পানীগঞ্জে মাঠ দিবস পালিত কোম্পানীগঞ্জে ৩ দিনব্যাপী কৃষক-কৃষাণী প্রশিক্ষণ নন্দীগ্রামে ওয়ার্ড বিএনপির ইফতার মাহফিল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর ৩৮ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে ইফতার মাহফিল! আদমদীঘিতে নির্বাচন অফিসের মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি কুবিতে আছিয়ার ধর্ষকদের অতিদ্রুত বিচারের দাবিতে মৌন মিছিল থিয়েটার কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি ইমতিয়াজ, সম্পাদক তন্ময় আদমদীঘিতে বিস্কুটের প্যাকেটের ভিতর হেরোইন, বাসযাত্রী গ্রেপ্তার শুক্রবার একই ফ্লাইটে কক্সবাজার যাচ্ছেন ড. ইউনূস ও গুতেরেস আছিয়ার দাফন সম্পন্ন, ধর্ষকের বাড়িতে বিক্ষুব্ধ জনতার আগুন নন্দীগ্রামে পৌর জামায়াতের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত সুন্দরবন থেকে চোরাই কাঠসহ কোস্টগার্ডের হাতে আটক ১০ লতিফিয়া সংগঠন মীরের গাঁও এর উদ্যোগে এবং প্রবাসীর অর্থ প্রদান ও ইফতার সম্পূর্ণ পীরগাছায় বেসরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক-কর্মচারী কল্যাণ সমিতির কার্যালয় উদ্বোধন ও ইফতার মাহফিল কুবি তরুণ কলাম লেখক ফোরামের দোয়া ও ইফতার সম্পন্ন প্রাচীন মহকুমা শহর রামগড়ের মর্যাদা পুনরুদ্ধার ও উন্নয়ন ভাবনা শীর্ষক মতবিনিময়

কুরবানীর বর্জ্য নিষ্কাশনে পদ্ধতি এবং আমাদের করণীয়

দেশচিত্র নিউজ ডেস্ক

প্রকাশের সময়: 27-06-2023 08:14:41 am


◾শেখ আব্দুল্লাহ  : ঈদ মানে আনন্দ , ঈদ মানে খুশি। ঈদ মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান। মুসলমান ধর্মাবলম্বীর মানুষ ধর্মীয় বিধিমালা অনুযায়ী চাঁদের উপর নির্ভর করে বছরের দুইটি ঈদ পালন করে থাকেন। একটি হলো ঈদুল ফিতর ও আরেকটি হলো ঈদুল আযহা। বাংলাদেশ পৃথিবীর অন্যতম মুসলিম প্রধান দেশ হওয়াতে মুসলমানরা প্রতিবছর এই দুইটি ঈদ ব্যাপক পরিসরে অনেক আনন্দ ও উৎফুল্লের সাথে উদযাপন করে থাকেন। দেখতে দেখতে ঈদুল আযহা সন্নিকটে, ঈদুল আযহা দিনে একজন মুসলমানের নিকট সবচেয়ে বড় আমল ও আনন্দের কাজ হলো পশু কুরবানী করা। প্রতিবছর আমাদের দেশে কুরবানীর ঈদে দেড় কোটিরও বেশি পশু কুরবানী দেওয়া হয়। আর যখন দেড় কোটি পশু কুরবানীর দেওয়ার কথা আসে, তখন মাথায় আসে এ দেড় কোটি পশুর বর্জ্য নিষ্কাশনের বিষয়টি। প্রতিবছর এই বর্জ্য সঠিকভাবে নিষ্কাশন না হওয়ার কারনে অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয় মানুষের। অনির্দিষ্ট স্থানে কুরবানী দেওয়া এবং বর্জ্য ফেলার কারনে প্রতিবছর জনজীবন চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হয় । তাই এবছর কুরবানীর ঈদেও যেন এ ভোগান্তি পোহাতে না হয়, তার জন্য আমাদের বেশ কিছু করনীয় রয়েছে। 


কুরবানীর বর্জ্য নিষ্কাশনের আগে জানতে হবে কুরবানীর বর্জ্য বলতে কোনগুলোকে বোঝায়। সহজভাবে বলতে গেলে কুরবানীর বর্জ্য বলেতে পশুর যে অংশ খাই না, ফেলে দেওয়া হয় তাকে বোঝায়। যেমন - রক্ত, পশুর পেটে থাকা খাবারের বর্জ্য, চামড়া, দাত ইত্যাদি। পশু জবাই এবং মাংস কাটার সময় এই উচ্ছিষ্ট অংশ যেখানে সেখানে ফেলে দেওয়ার কারনে ২/৩ দিন পরে এগুলো পচে বাতাসের সাথে মিশে চারিদিকে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে। ফলে মানুষের চলাচলে বিঘ্ন ঘটে এবং পচা মাংস থেকে অনেক রোগজীবাণু ছড়িয়ে মানুষকে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত করে। এছাড়াও এই উচ্ছিষ্ট পচা অংশ থেকে ছড়াতে পারে বিভিন্ন ক্ষতিকারক ভাইরাস, যে ভাইরাস হতে পারে মানুষের মৃত্যুর কারন। তাই দুর্গন্ধের কারনে চলাচলের বিঘ্ন দূর করতে এবং রোগজীবাণু থেকে মুক্তি পেতে আমাদের বেশ কিছু করনীয় রয়েছে। 


পশু কুরবানী দেওয়ার প্রথম ধাপ হলো স্থান নির্বাচন করা। বসতবাড়ি থেকে যতটা দূরে পশু কুরবানী দেওয়া যায়, ততটা দূরে কুরবানী দেওয়া উচিত অথবা এমন স্থান নির্বাচন করতে হবে যেখান থেকে পশুর বর্জ্য নিষ্কাশন করতে সহজ হয়। পশু কুরবানী দেওয়ার স্থানে বেশি করে গর্ত খুড়ে রক্ত মাটিতে পুতে ফেলতে হবে। এমনভাবে রক্ত মাটিতে পুতে ফেলতে হবে যাতে কোনো প্রাণী মাটি খুড়ে গন্ধ না ছড়াতে পারে। মাংস কাটার পরে উচ্ছিষ্ট বর্জ্য নির্দিষ্ট স্থনে ফেলাতা হবে; ভালো হয় মাটিতে পুতে ফেললে। শহরে-বন্দের যারা সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন আছেন তারা আশাপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে কুরবানী না দিয়ে, কয়েকজন মিলেমিশে একই স্থানে কুরবানী দেওয়ার চেষ্টা করবেন; এতে সিটি কর্পোরেশনে কর্মরত কর্মীদের বর্জ্য নিষ্কাশন ও অপসারণের কাজ সহজ হয়ে দাড়াবে। যদি কোনো ব্যাক্তি নির্দিষ্ট স্থানে কুরবানী না দিতে পারেন, তাহলে নিজ দায়িত্বে পশুর উচ্ছিষ্ট বর্জ্যগুলো নিকটস্থ ডাস্টবিনে ফেলে আসবেন। পশু কুরবানী দেওয়া স্থানে ভালোভাবে ধুয়ে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন করবেন এবং জীবাণু যাতে না ছড়াতে পারে রক্ত মাখানো স্থানে বিভিন্ন জীবাণুনাশক যেমন- স্যাভলন মিশানো পানি ও ব্লিচিং ছিটাবেন। এছাড়াও পশুর উচ্ছিষ্ট বিশেষ অংশ হলো চামড়া। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছে চামড়া বিক্রি করে দিতে হবে অথাবা স্থানীয় বিভিন্ন মসজিদ, মাদ্রাসা বা এতিমখানায় দান করে দিতে হবে। যদি আমরা উপরিউক্ত বিষয়গুলো অনুসরণ করে পশু কুরবানী দিতে পারি, তাহলে প্রতিবছর কুরবানী পরবর্তী আমাদের যে সমস্যাগুলো মোকাবেলা করতে হয় সে সমস্যাগুলো থেকে রেহাই পেতে পারবো।

তাই আসুন আমরা সচেতন হয়। আমাদের সামান্য কিছু নিয়মকানুন অবলম্বন করার মাধ্যমে প্রতিটি কুরবানী ঈদ হবে সুন্দর ও সাচ্ছন্দ্যময়। 


 শেখ আব্দুল্লাহ 

লেখক ও শিক্ষার্থী


আরও খবর

67d188677ba12-120325071311.webp
ঈদের পোশাক বাজারে লাগামহীন দাম

১ দিন ৮ ঘন্টা ৩৫ মিনিট আগে



67cbe16c1321f-080325121924.webp
নারী দিবসের প্রত্যাশা নারীর অগ্রগামিতা

৫ দিন ১৫ ঘন্টা ৩৩ মিনিট আগে


deshchitro-67ca00e5413bc-070325020909.webp
মেডিক্যাল ডায়াগনস্টিক ফি কমানো জরুরি।

৭ দিন ১ ঘন্টা ৩৯ মিনিট আগে


67c99e016775f-060325070713.webp
মাটি দূষণ রোধ করা প্রয়োজন

৭ দিন ১২ ঘন্টা ২৯ মিনিট আগে


deshchitro-67c71dbaad111-040325093522.webp
Health Benefits of Fasting from a Medical Perspective

৯ দিন ৬ ঘন্টা ১৩ মিনিট আগে


67c681e4e17a8-040325103028.webp
রমজান মাসে যে আমলে জীবনের গুণাহ মাফ হয়

৯ দিন ১৭ ঘন্টা ১৮ মিনিট আগে