কক্সবাজার বেড়াতে এসে ১ পর্যটকের মৃত্যু উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নিরাপত্তা ফাঁকি দিয়ে পালিত ২২জন রোহিঙ্গা আটক করেছে পুলিশ কলমাকান্দায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালিত কক্সবাজারে জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের মত বিনিময়। উখিয়ায় বহুল প্রতীক্ষিত স্মার্ট কার্ড বিতরণ শুরু উখিয়ায় দিনব্যাপী সাংবাদিকদের দক্ষতা উন্নয়ন বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত কক্সবাজার-৩ আসনে এমপি কমলকে আবারো মনোনয়ন দেয়ার আহবান লাখো জনতার লিগ্যাল এইড আইনজীবীদের ২ দিনের প্রশিক্ষণ সম্পন্ন ডেমুশিয়া জনপদের গ্রামীণ সড়ক লন্ডভন্ড, যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ হাটহাজারীতে ধর্ষণ মামলার আসামি গ্রেফতার শ্যামনগর কাশিমাড়ী হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ কমিটি গঠন কুড়িগ্রামে ডাঃ জি এম আরিফ স্বাচিপ এর সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত, জেলাবাসীর অভিনন্দন জয়পুরহাটে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সমাবেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা করতে মসজিদের ইমামদের ভূমিকা অপরিসীম -মাশরাফি বিন মর্তুজা সাতক্ষীরার জনসভায় শেখ হাসিনার হাতেই বাংলাদেশ নিরাপদ কুড়িগ্রামে বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধন অভয়নগরে কমিউনিটি ক্লিনিকে ওষুধ দিলেন ইঞ্জিনিয়ার আরশাদ পারভেজ তরুণ সমাজকে মাদক থেকে দূরে রাখতে খেলাধুলার বিকল্প নেই বললেন- এমপি শাওন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে উঠান বৈঠক ও আলোচনা সভা পাঁচবিবিতে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মাদক বিরোধী প্রীতি ফুটবল ম্যাচ-২০২৩ অনুষ্ঠিত

কুরবানীর বর্জ্য নিষ্কাশনে পদ্ধতি এবং আমাদের করণীয়


◾শেখ আব্দুল্লাহ  : ঈদ মানে আনন্দ , ঈদ মানে খুশি। ঈদ মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান। মুসলমান ধর্মাবলম্বীর মানুষ ধর্মীয় বিধিমালা অনুযায়ী চাঁদের উপর নির্ভর করে বছরের দুইটি ঈদ পালন করে থাকেন। একটি হলো ঈদুল ফিতর ও আরেকটি হলো ঈদুল আযহা। বাংলাদেশ পৃথিবীর অন্যতম মুসলিম প্রধান দেশ হওয়াতে মুসলমানরা প্রতিবছর এই দুইটি ঈদ ব্যাপক পরিসরে অনেক আনন্দ ও উৎফুল্লের সাথে উদযাপন করে থাকেন। দেখতে দেখতে ঈদুল আযহা সন্নিকটে, ঈদুল আযহা দিনে একজন মুসলমানের নিকট সবচেয়ে বড় আমল ও আনন্দের কাজ হলো পশু কুরবানী করা। প্রতিবছর আমাদের দেশে কুরবানীর ঈদে দেড় কোটিরও বেশি পশু কুরবানী দেওয়া হয়। আর যখন দেড় কোটি পশু কুরবানীর দেওয়ার কথা আসে, তখন মাথায় আসে এ দেড় কোটি পশুর বর্জ্য নিষ্কাশনের বিষয়টি। প্রতিবছর এই বর্জ্য সঠিকভাবে নিষ্কাশন না হওয়ার কারনে অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয় মানুষের। অনির্দিষ্ট স্থানে কুরবানী দেওয়া এবং বর্জ্য ফেলার কারনে প্রতিবছর জনজীবন চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হয় । তাই এবছর কুরবানীর ঈদেও যেন এ ভোগান্তি পোহাতে না হয়, তার জন্য আমাদের বেশ কিছু করনীয় রয়েছে। 


কুরবানীর বর্জ্য নিষ্কাশনের আগে জানতে হবে কুরবানীর বর্জ্য বলতে কোনগুলোকে বোঝায়। সহজভাবে বলতে গেলে কুরবানীর বর্জ্য বলেতে পশুর যে অংশ খাই না, ফেলে দেওয়া হয় তাকে বোঝায়। যেমন - রক্ত, পশুর পেটে থাকা খাবারের বর্জ্য, চামড়া, দাত ইত্যাদি। পশু জবাই এবং মাংস কাটার সময় এই উচ্ছিষ্ট অংশ যেখানে সেখানে ফেলে দেওয়ার কারনে ২/৩ দিন পরে এগুলো পচে বাতাসের সাথে মিশে চারিদিকে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে। ফলে মানুষের চলাচলে বিঘ্ন ঘটে এবং পচা মাংস থেকে অনেক রোগজীবাণু ছড়িয়ে মানুষকে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত করে। এছাড়াও এই উচ্ছিষ্ট পচা অংশ থেকে ছড়াতে পারে বিভিন্ন ক্ষতিকারক ভাইরাস, যে ভাইরাস হতে পারে মানুষের মৃত্যুর কারন। তাই দুর্গন্ধের কারনে চলাচলের বিঘ্ন দূর করতে এবং রোগজীবাণু থেকে মুক্তি পেতে আমাদের বেশ কিছু করনীয় রয়েছে। 


পশু কুরবানী দেওয়ার প্রথম ধাপ হলো স্থান নির্বাচন করা। বসতবাড়ি থেকে যতটা দূরে পশু কুরবানী দেওয়া যায়, ততটা দূরে কুরবানী দেওয়া উচিত অথবা এমন স্থান নির্বাচন করতে হবে যেখান থেকে পশুর বর্জ্য নিষ্কাশন করতে সহজ হয়। পশু কুরবানী দেওয়ার স্থানে বেশি করে গর্ত খুড়ে রক্ত মাটিতে পুতে ফেলতে হবে। এমনভাবে রক্ত মাটিতে পুতে ফেলতে হবে যাতে কোনো প্রাণী মাটি খুড়ে গন্ধ না ছড়াতে পারে। মাংস কাটার পরে উচ্ছিষ্ট বর্জ্য নির্দিষ্ট স্থনে ফেলাতা হবে; ভালো হয় মাটিতে পুতে ফেললে। শহরে-বন্দের যারা সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন আছেন তারা আশাপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে কুরবানী না দিয়ে, কয়েকজন মিলেমিশে একই স্থানে কুরবানী দেওয়ার চেষ্টা করবেন; এতে সিটি কর্পোরেশনে কর্মরত কর্মীদের বর্জ্য নিষ্কাশন ও অপসারণের কাজ সহজ হয়ে দাড়াবে। যদি কোনো ব্যাক্তি নির্দিষ্ট স্থানে কুরবানী না দিতে পারেন, তাহলে নিজ দায়িত্বে পশুর উচ্ছিষ্ট বর্জ্যগুলো নিকটস্থ ডাস্টবিনে ফেলে আসবেন। পশু কুরবানী দেওয়া স্থানে ভালোভাবে ধুয়ে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন করবেন এবং জীবাণু যাতে না ছড়াতে পারে রক্ত মাখানো স্থানে বিভিন্ন জীবাণুনাশক যেমন- স্যাভলন মিশানো পানি ও ব্লিচিং ছিটাবেন। এছাড়াও পশুর উচ্ছিষ্ট বিশেষ অংশ হলো চামড়া। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছে চামড়া বিক্রি করে দিতে হবে অথাবা স্থানীয় বিভিন্ন মসজিদ, মাদ্রাসা বা এতিমখানায় দান করে দিতে হবে। যদি আমরা উপরিউক্ত বিষয়গুলো অনুসরণ করে পশু কুরবানী দিতে পারি, তাহলে প্রতিবছর কুরবানী পরবর্তী আমাদের যে সমস্যাগুলো মোকাবেলা করতে হয় সে সমস্যাগুলো থেকে রেহাই পেতে পারবো।

তাই আসুন আমরা সচেতন হয়। আমাদের সামান্য কিছু নিয়মকানুন অবলম্বন করার মাধ্যমে প্রতিটি কুরবানী ঈদ হবে সুন্দর ও সাচ্ছন্দ্যময়। 


 শেখ আব্দুল্লাহ 

লেখক ও শিক্ষার্থী