স্বল্পমেয়াদি সংস্কারে সম্মত হলে নির্বাচন ডিসেম্বরেই হতে পারে কার ওপর ক্ষোভ ঝাড়লেন স্বস্তিকা হেদায়েতের জন্য দোয়া করা কুষ্টিয়ায় সাহেরা খাতুন ফাউন্ডেশন ও হাজ্বী নায়েব আলী সাংস্কৃতিক কেন্দ্র কর্তৃক শিক্ষা উপকরণ বিতরণ বাঘায় ইউনিয়ন পরিষদ থেকে-১০৪৩ কেজি টিসিবির পণ্য চুরীর অভিযোগ চিলমারীতে গাজায় গণহত্যা প্রতিবাদে সাংবাদিক ফোরামের বিক্ষোভ মিছিল একজন জনপ্রিয় অধ্যাপক এবং আদর্শ বাবার শেষ পরিণতি দৃঢ়ভাবে আগাও - নূরুল ইসলাম নাযীফ ফিলিস্তিন - শাহীন খান রাজশাহী বোর্ডে এসএসসি পরীক্ষার্থী কমেছে ১৯ হাজার রাজশাহী কলেজে ফিলিস্তিনের পতাকা উত্তোলন করে ছাত্রশিবিরের বিক্ষোভ নরসিংদী কমিউটার ট্রেন ঘোড়াশাল স্টেশনে স্টপেজ দেওয়ায় পলাশের জনমনে স্বস্তি লালপুরে বাংলা নববর্ষ উদযাপনের প্রস্তুতিমূলক সভা উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে পহেলা বৈশাখ উদযাপনে নাগেশ্বরীতে প্রস্তুতি সভা জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে নন্দীগ্রামে বগুড়া হাইওয়ে পুলিশ সুপারের পথসভা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপির বৈঠক ১৬ এপ্রিল নন্দীগ্রামে নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত ধানের শীষ যার হাতে আমরা থাকবো তার সাথে: মতবিনিময় সভায় সাবেক এমপি মোশারফ পলাশে অবৈধভাবে মাটি কাঁটায় চার জনকে সাজা দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত হত্যাচেষ্টা ও বিস্ফোরক মামলায় আবারও কারাগারে সাবেক এমপি আজিজ

পৌরসভা : পরামর্শক খাতেই যাচ্ছে ৬৩ শতাংশ টাকা

দেশচিত্র নিউজ ডেস্ক

প্রকাশের সময়: 11-09-2022 04:38:07 pm

ফাইল ছবি

◾ নিউজ ডেস্ক 


দেশের সকল পৌরসভার নাগরিক সেবাসমূহ ডিজিটালাইজেশন এবং অটোমেশন করতে স্থানীয় সরকার বিভাগের ৪২ কোটি টাকার একটি প্রকল্পে ২৭ কোটি টাকাই ব্যয় করা হচ্ছে পরামর্শক খাতে, যা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে পরিকল্পনা কমিশন। প্রকল্পে পরামর্শক খাতে ২৭ কোটি ১০ লাখ টাকার ব্যয় ধরা হয়েছে, যা মোট ব্যয়ের ৬৩ শতাংশ। প্রকল্পে পরামর্শক খাতে এই বিশাল অর্থ কীভাবে ব্যবহার হবে, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।


এ বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের যুগ্মপ্রধান (সচিব) পরিমল চন্দ্র বসু বলেন, ‌‘সামনে প্রকল্পটির মূল্যমান কমিটির (পিইসি) সভা রয়েছে। সে সময় পরামর্শক খাতে এত ব্যয় নিয়ে জানতে চাওয়া হবে। অপ্রয়োজনীয় কোনো ব্যয় করতে দেওয়া হবে না।’


পরামর্শক খাতে এত ব্যয়ের বিষয় স্থানীয় সরকার বিভাগের যুগ্মসচিব (পরিকল্পনা অধিশাখা) আবু মোহাম্মদ মহিউদ্দিন কাদেরী বলেন, ‘এটি একটি প্রশিক্ষণধর্মী প্রকল্প। এ ধরনের প্রকল্পের মূল কাজই পরামর্শকের। এর আওতায় দেশের সকল পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।’


প্রকল্পটির মূল কার্যক্রমের মধ্যে পাঁচ ধরনের পরামর্শকের কাজ রয়েছে।কনসালটেন্সি ফর সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট-৪০৬ জনমাস, কনসালটেন্সি ফর সফটওয়্যার ওঅ্যান্ডএম-২৪৬ জনমাস, কনসালটেন্সি ফর ডাটা ট্রান্সফার ৭৬০ জনমাস, কনসালটেন্সি ফর ইমপ্লিমেন্টেশন টিম-৪৮ জনমাস, কনসালটেন্সি ফর ট্রেইনিং-১৩ হাজার ৩৫০ জনমাস। এ ছাড়া ডাটা সেন্টারের সার্ভার ৬টি, ডাটা সেন্টারের লোড ব্যালেন্সার ও ব্যাকআপ সার্ভার ৩টি, ডাটা সেন্টারের এসকিউএল সফটওয়্যার ২টি, ডাটা সেন্টারের উইন্ডোজ সফটওয়্যার ৭টি, পৌরসভা আইটি ইনফ্রাস্ট্রাকচার-৩২৯ সেট কেনা হবে।


প্রকল্পের উদ্দেশ্য সম্পর্কে বলা হয়েছে, প্রকল্পের মাধ্যমে পৌরসভার নাগরিক সেবাসমূহ ই-সার্ভিসে রূপান্তরের মাধ্যমে জনগণকে সহজে ও দ্রুত সেবা প্রদান, ডিজিটাল পৌরসভা তৈরির লক্ষ্যে আইটি অবকাঠামো উন্নয়ন, পৌরসভার রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি, স্বচ্ছতা, হিসাব ও পৌর বাজেট, স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ব্যবস্থাপনা এবং মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা ও নাগরিক অভিযোগ ব্যবস্থাপনা অটোমেশনের মাধ্যমে পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়নের ক্ষেত্রে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার।


জানা গেছে, এ প্রকল্পের মাধ্যমে সরাসরি সুবিধাভোগ করবেন দেশের ৩২৯ পৌরসভার ১৬ হাজার ৪৫০ জন সফটওয়্যার ব্যবহারকারী সেবাগ্রহীতা। আর পরোক্ষভাবে সুবিধাভোগ করবে দেশের ৩২৯ পৌরসভার সকল নাগরিক।


প্রকল্পটির প্রস্তাবনায় বলা হয়, বর্তমান সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে অনলাইনে সকল সরকারি সেবা প্রদান করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। সরকারের লক্ষ্যমাত্রার সঙ্গে মিল রেখে এলজিইডি পৌরসভার নাগরিক সেবাসমূহ ই-সার্ভিসে রূপান্তর, ডিজিটাল পৌরসভা তৈরির লক্ষ্যে আইসিটি অবকাঠামোর উন্নয়ন, পৌরসভার রাজস্ব আদায় বৃদ্ধিকল্পে বিভিন্ন কর রেইট, ফিস আদায় ব্যবস্থাপনা অটোমেশন, স্বচ্ছতা আনয়নে হিসাব ও পৌর বাজেট, স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ব্যবস্থাপনা, মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা ও নাগরিক অভিযোগ ব্যবস্থাপনা অটোমেশন, পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে প্রশিক্ষণসহ সকল কার্যক্রম বাস্তবায়নে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধির চেষ্টা করছে। সে লক্ষ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগ ৪২ কোটি ৯৩ লাখ টাকা ব্যয়ে জানুয়ারি ২০২২ হতে ডিসেম্বর ২০২৩ মেয়াদে বাস্তবায়নের জন্য হাতে নিয়েছে।


প্রকল্পের বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশনের একাধিক কর্মকর্তা জানান, প্রস্তাবিত প্রকল্পের অনুরূপ কোনো প্রকল্প ইতোপূর্বে এলজিইডি থেকে বাস্তবায়ন করা হয়নি। কিন্তু এটুআই, আইসিটি ডিভিশন অথবা অন্য কোনো সংস্থার অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে দ্বৈততা পরিহার করা যেতে পারে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে যে সকল সফটওয়্যার ও অ্যাপস প্রস্তুতের প্রস্তাব করা হয়েছে, সেগুলো অনেকটাই আইসিটি বিভাগের আওতায় বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে নির্মাণ করা হয়েছে। সেগুলোকে কাস্টমাইজ করে পৌরসভায় ব্যবহার করলে সময় ও অর্থ সাশ্রয় হবে।


আরও খবর