রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে দূরত্ব কমিয়ে এনে জুলাই সনদ ঘোষণা করা সম্ভব: প্রধান উপদেষ্টা শেষপর্যন্ত নিখোঁজের দুই দিন পর মেঘনার পাড়ে সেই পুলিশ সদস্যের মরদেহ কুলিয়ারচরে পার্টনার কংগ্রেস অনুষ্ঠিত লালপুরে অবৈধ পুকুর খননের দায়ে, ৬০ হাজার টাকা জরিমানা সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটায় কাবিং করবো, জীবন গড়বো স্লোগানে ওয়ান ডে ক্যাম্প অনুষ্ঠিত কিশোরগঞ্জ উপজেলাবাসীকে ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন আদর আলী বানারীপাড়ায় ১৭ বছর পর আনুষ্ঠানিক ভাবে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের রহমানের মৃত্যুবার্ষিক পালিত পবিত্র ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সুপারিন্টেন্ডেন্ট মোজাফফর হোসেন শ্রীবরদীর পিরিজপুর সংলাপ কেন্দ্রে সঞ্চয় ব্যবস্থাপনা বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত শেরপুরের শ্রীবরদীতে সঞ্চয় ব্যবস্থাপনা বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত ইবি প্রক্টরকে নিয়ে ফেসবুকে গুজব, ভুল স্বীকার করলো অভিযুক্ত সাতক্ষীরা স্টেডিয়ামে এ্যাথলেটিক্স, ফুটবল ও সাঁতার প্রশিক্ষণের সমাপনী অনুষ্ঠান সাতক্ষীরায় জেলা শ্রম ক্রাইসিস প্রতিরোধ কমিটির সভা অনুষ্ঠিত সুন্দরবনে চলমান অভিযানে হরিণের ফাঁদ উদ্ধার শেরপুরে সভাপতির পদে শহিদুল ইসলাম বাবলুর পুনর্বহাল শৈলকুপায় শহীদ রাস্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে মিলাদ মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত মেঘনায় ট্রলার ডুবি ২ দিন পরও খোঁজ মেলেনি পুলিশ সদস্য সাইফুলের নড়িয়ায় ঈদ উপলক্ষে জামায়াত ইসলামী ও ছাত্রশিবিরের ফুড প্যাকেট বিতরণ ঈদুল আযহা উপলক্ষে ঝিনাইগাতীতে ভিজিএফ’র চাল বিতরণ ৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাতায়াতের একমাত্র রাস্তার বেহাল দশা, সংস্কারের দাবী এলাকাবাসীর

মোংলা নৌ চ্যানেলের খননকাজ আবারও শুরু হচ্ছে

ছবি সংগৃহীত

মোংলা প্রতিনিধিঃ


মোংলা বন্দরের জাহাজ চলাচল সক্ষমতা বৃদ্ধি ও নৌ চ্যানেলের গভীরতা বজায় রাখতে আবারও শুরু হচ্ছে খননকাজ। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে বন্দরে দেশি-বিদেশি অধিক ড্রাফটের বাণিজ্যিক জাহাজ ভিড়তে পারবে। এ ছাড়া খননকাজ শেষ হলে পণ্য আমদানি-রফতানিতে গতি বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বন্দর ব্যবহারকারীরা। নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে এ খননকাজে ব্যয় হবে এক হাজার ৫ শ ৩৮ কোটি টাকা।


মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্র জানায়, নানা প্রতিবন্ধকতার কারণে ২০০২ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত মৃতপ্রায় বন্দরে পরিণত হয়েছিল মোংলা সমুদ্রবন্দর। সে সময় বন্দরটি অচল হয়ে পড়ার মূল কারণ ছিল বন্দরের বহির্নোঙর ও অভ্যন্তরীণ চ্যানেলে ড্রেজিং না করা। যার কারণে ওই সময়ে মারাত্মক নাব্যতা সংকট দেখা দেওয়ায় জাহাজ ভিড়তে পারতো না। মাসের পর মাস জাহাজশূন্য হয়ে অচলাবস্থা ছিল বন্দরজুড়ে। বন্দরের বহির্নোঙর ও অভ্যন্তরীণ চ্যানেলে নাব্য সংকটের কারণে কনটেইনারবাহী ৯ দশমিক ৫০ মিটার গভীরতা সম্পন্ন জাহাজ বন্দরে সরাসরি প্রবেশ করতে না পারায় আমদানি-রফতানিতে ব্যবসায়ীরা আগ্রহ হারান।


২০২০ সালে ৭১২ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৪ কিলোমিটার বহির্নোঙর ড্রেজিংয়ের কাজ শেষ হয়। এখন অভ্যন্তরীণ চ্যানেল দিয়ে বর্তমানে ৯ মিটার ড্রাফটের জাহাজ অনায়াসে আসা যাওয়া করছে। পরে বন্দর জেটিতে স্বাভাবিক জোয়ারে ৯ দশমিক ৫০ মিটারের অধিক গভীরতা সম্পন্ন জাহাজ আনার জন্য বন্দরের ১৪৫ কিলোমিটার নৌ চ্যানেলের মধ্যে ৪৫ কিলোমিটার নৌপথ খননের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর ফলে ১০ মিটার ড্রাফটের জাহাজ ভিড়তে পারবে। এতে বন্দরের যেমন সক্ষমতা বাড়বে একই সঙ্গে নৌ চ্যানেলের নাব্যতা ফিরলে বড় জাহাজ ভিড়তে সমস্যা হবে না।


এ বিষয়ে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিকল্পনা প্রধান মো. জহিরুল হক বলেন, নৌ চ্যানেল এই বন্দরের প্রাণ। সেই চ্যানেলকে রক্ষণাবেক্ষণ করার জন্য ইতিমধ্যে একটি বড় প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। প্রকল্পটি পাঁচ বছর মেয়াদে নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে বাস্তবায়ন করা হবে। এক হাজার ৫৩৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নৌবাহিনী প্রকল্পের শেষ করবে।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল শাহীন রহমান বলেন, দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্রবন্দরকে বাঁচিয়ে রাখার স্বার্থে নিয়মিত পশুর চ্যানেল ড্রেজিংয়ের বিকল্প নেই। প্রথমে বহির্নোঙর ড্রেজিং শেষ করে ২০২১ সালের ১৩ মার্চ অভ্যন্তরীণ ড্রেজিংয়ের কাজ শুরু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে এই বন্দর দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রায় বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখবে। এরই মধ্যে আমরা সেটা প্রমাণ করতে পেরেছি’।


তিনি আরও বলেন, ‘এ বছর বন্দরে রেকর্ড সংখ্যক জাহাজের আগমন-নির্গমনের সঙ্গে রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি পেয়েছে। বন্দরকে আরও গতিশীল ও আধুনিক করতে বেশ কয়েকটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছিল। তার মধ্যে কিছু প্রকল্প শেষ হয়েছে। কিছু চলমান রয়েছে। বর্তমানে পশুর চ্যানেলের অভ্যন্তরীণ ড্রেজিংয়ের কাজ চলছে। কাজ শেষ হলে নাব্যতা সংকট নিরসনসহ গতিধারা বাড়বে। দ্বিতীয় বৃহত্তম মোংলা সমুদ্রবন্দরের সক্ষমতা কয়েকগুণ বৃদ্ধি পাবে।

মোংলা বন্দর ব্যবহারকারী ক্যাপ্টেন রফিকুল ইসলাম, ও ড. শেখ ফরিদুল ইসলাম জানান, দেশের অন্যতম এই বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং গতিশীলতা বাড়াতে নৌ চ্যানেলে ড্রেজিংয়ের বিকল্প নেই। তাই যে কোন মূল্যে ড্রেজিং করতে হবে। কোনও কারণে ড্রেজিং বন্ধ হয়ে গেলে জাহাজ আসা যাওয়া ব্যাহত হবে। ক্ষতিগ্রস্ত হবে বন্দর এবং সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।



আরও খবর