◾ শেখ আব্দুল্লাহ : পদ্মাসেতু হওয়াতে দক্ষিণবঙ্গের মানুষের যাতায়াতের ভোগান্তি দূর হলেও; ভোগান্তি দূর হয়নি অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিষয়টি। পদ্মাসেতুর চালু হওয়ার পর, পদ্নাসেতুর টোল ও জ্বালানির তেলের দাম বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন অজুহাতে বাস মালিকেরা বাসের অতিরিক্ত ভাড়া নির্ধারন করেন। ঢাকা থেকে গোপালগঞ্জ যাওয়ার বাসের ভাড়া ছিল ৩৫০ টাকা। পদ্মাসেতু চালু হওয়ার পর ঢাকা থেকে গোপালগঞ্জ মাত্র ১২০/১৩০ কি:মি পথ নানা অজুহাতে ৫০০ টাকা নির্ধারণ করা হলেও, যাত্রীরা ভোগান্তি দূর হওয়ার কথা চিন্তা করে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিষয়টি মেনে নেন। কিন্তু অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিষয়টি যাত্রীরা মেনে নেওয়া সত্বেও, ঈদ আসলে যাত্রীদের টিকিট প্রতি আরো অতিরিক্ত টাকা গুনতে হয় । প্রতিটি টিকিট ৬৫০ থেকে ৭৫০ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়, অর্থাৎ টিকিট প্রতি ১৫০ থেকে ২৫০ টাকা গুনতে হয়। টিকিট কাউন্টারে দায়িত্বরত লোকদের কাছে এই অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিষয়টি যাত্রীরা জানতে চাইলে সদুত্তর পান না।
ফলে বাধ্য হয়ে ঘরফেরা যাত্রীদের বাড়ি যাওয়ার তাড়নায় অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে বাড়ি ফিরতে হয় এবং ছুটি শেষে আবারও অতিরিক্ত ভাড়াগুনে কর্মস্থলে আসতে হয়; যাত্রীদের এ ভোগান্তি যেন দেখার কেও নাই। আর এই অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিষয়টি দক্ষিণবঙ্গের সব রুটেই দেখা যায়।
তাই বাস মালিক সমিতির কাছে দক্ষিণবঙ্গের মানুষের মনের দাবি প্রতি ঈদে যে অতিরিক্ত বাসের ভাড়া আদায় করা হয়, তা যেন বন্ধ করা হয়। এছাড়া প্রশাসনেরও এ অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধের বিষয় জোর দিতে হবে। প্রতিটি বাস কাউন্টারে গিয়ে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিষয়টি মনিটরিং করতে হবে। যদি কোনো পরিবহন সেবার পাওয়া জন্য যাত্রীদের অতিরিক্ত টাকা গুনতে হয় তাহলে সে পরিবহন মালিকদের প্রতি আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে।
লেখক: শেখ আব্দুল্লাহ
শিক্ষার্থী : ইতিহাস বিভাগ, ঢাকা কলেজ, ঢাকা।
১ দিন ৮ ঘন্টা ৮ মিনিট আগে
১ দিন ৮ ঘন্টা ১৩ মিনিট আগে
৫ দিন ৭ ঘন্টা ২৭ মিনিট আগে
৫ দিন ১৫ ঘন্টা ১২ মিনিট আগে
৭ দিন ১ ঘন্টা ১৭ মিনিট আগে
৭ দিন ১২ ঘন্টা ৭ মিনিট আগে
৯ দিন ৫ ঘন্টা ৫১ মিনিট আগে
৯ দিন ১৬ ঘন্টা ৫৬ মিনিট আগে