জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার সঙ্গে মার্কিন প্রতিনিধিদলের বৈঠক‌ লোহাগাড়ায় ট্রাকের ধাক্কায় এক ব্যক্তির মৃত্যু। একজন চালকের হাতে শত শত দায়িত্ব নির্ভর করে : মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক জয়পুরহাটে মাদ্রাসার সৌন্দর্য বর্ধনে বৃক্ষ রোপনের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ পাঁচবিবিতে দুই দিনব্যাপি গ্রীষ্মকালীন ফসল উৎপাদন বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত টাঙ্গাইলের মধুপুরে নকল সরবরাহের অভিযোগে শিক্ষক গ্রেফতার দেবহাটায় এসএসসি পরীক্ষার্থীদের মাঝে তরুণ দলের পানি ও স্যালাইন বিতরণ বাঘায় জেলা প্রশাসকের সাথে উপজেলা প্রশাসনের মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় বাংলা সংসদের ভিপি শহিদুল, জিএস ইনামুল আদমদীঘিতে ইভটিজিং করায় যুবকের জেল-জরিমানা বগুড়ার জেলা প্রশাসকের আদমদীঘির বিভিন্ন দপ্তর পরিদর্শন ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টায় সহযোগিতা, জাপা নেতার বিরুদ্ধে মামলা! নোয়াখালীত আনিত মিথ্যা অভিযোগে সাংবাদিক সম্মেলনের প্রতিবাদে সভা ঝিনাইগাতীতে দম্পতিদের জন্য জেন্ডার ও উন্নয়ন বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত ঝিনাইগাতীর নলকুড়া ইউনিয়নে অংশগ্রহণমূলক মনিটরিং বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত ঝিনাইগাতীর গৌরীপুর ইউনিয়নে অন্তর্ভুক্তিকরণ (প্রতিবন্ধিতা), তৃতীয় লিঙ্গ, আদিবাসীদের অধিকার বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত ঝিনাইগাতীর ধানশাইল ইউনিয়নে সুশীল সমাজ ও সরকারি খাতের কর্মসূচিকে শক্তিশালী করার জন্য সমাজে দুর্নীতি প্রতিরোধ বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত এলাকায় বিষবাষ্প নাকি পূর্ব শত্রুতায় ঘরে আগুন ববি অধ্যাপককে আওয়ামী দোসর আখ্যা দিয়ে সিন্ডিকেট থেকে অব্যাহতি- শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ক্ষেতলালে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের মাঝে বকনা ও ষাঁড় গরু বিতরণ

মহামারী রূপে পরিণত হচ্ছে শব্দ দূষণ

দেশচিত্র নিউজ ডেস্ক

প্রকাশের সময়: 05-08-2022 09:21:29 am

ফাইল ছবি


• মোঃ রুবেল আহমেদ: 


বর্তমানে একটি মারাত্মক সমস্যার নাম

শব্দদূষণ। ২০২২ সালের UNEP (United Nations Environment Programme) এর তথ্য মতে, শব্দ দূষণে বাংলাদেশের অবস্থান শীর্ষে। বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে কোলাহলপূর্ণ নগর হিসেবে পরিচিত ঢাকা শহর। Frontuers-2022 এর প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ঢাকায় শব্দের গড় মাত্রা ১১৯ ডেসিবেল। যা বিশ্বের ৬১টি দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারতের মুরাদাবাদ। তৃতীয় ও চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে যথাক্রমে-পাকিস্তানের ইসলামাবাদ ও বাংলাদেশের রাজশাহী শহর। শব্দ দূষণের ফলে সবচেয়ে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্তের স্বীকার হচ্ছে ট্রাফিক পুলিশগণ। ১১.৮% ট্রাফিক পুলিশের শ্রবণশক্তি চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ঢাকায় আমরা যে শব্দ শুনি তা সহনীয় মাত্রার দ্বিগুণ। যদিও WHO (World Health Organization) এর নির্দেশনা অনুযায়ী আবাসিক এলাকায় সর্বোচ্চ দিনে ৫৫ ডেসিবেল এবং রাতে ৪৫ ডেসিবেল শব্দ ব্যবহারের নির্দেশ রয়েছে। বাণিজ্যিক এলাকায় দিনে ৭০ ডেসিবেল এবং রাতে ৬০ ডেসিবেল শব্দ ব্যবহার করা যাবে। হাসপাতাল, শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান, অফিসে-আদালতের আশেপাশে ১০০ মিটারের মধ্যে রাতে ৪০ ডেসিবেল ও দিনে ৫০ ডেসিবেল শব্দ ব্যবহারের নির্দেশ রয়েছে। 




সম্প্রতি ইক্যাপস এবং ইকিউএমএস কনসালটিং লিমিটেডের উদ্যোগে বাংলাদেশের ১৭ জায়গায় শব্দের মাত্রা হিসেব করা হয়। যেখানে দেখা যায় বাংলাদেশ মেডিক্যালের সামনে শব্দের মাত্রা ৭০ ডেসিবেল এবং সেন্ট্রাল হসপিটালের সামনে শব্দের মাত্রা ৮৯.৯ ডেসিবেল। ১৭ টি স্থানের গড় শব্দের মাত্রা ৮১.৭ ডেসিবেল। যা নির্ধারিত এবং সহনীয় মাত্রার চেয়ে কয়েক গুণ বেশি। Water Keepers Bangladesh এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঢাকা শহরে সবচেয়ে বেশি শব্দ দূষণ হয় গুলশান-২ চত্ত্বরে। আর সবচেয়ে কম শব্দ দূষণ হয় জাতীয় সংসদ ভবনের এলাকায়। সাধারণত মানুষ কথা বলে ৩০ থেকে ৪০ ডেসিবেল শব্দে। আশেপাশে ৪৫ ডেসিবেল শব্দ থাকলে এক স্বাভাবিক মানুষ ঘুমাইতে পারে না। ৭০ ডেসিবেল পর্যন্ত শব্দ মানুষের কান গ্রহণ করতে পারে। ৮০ থেকে ৮৫ ডেসিবেলের উপরে গেলেই ক্ষতিগ্রস্ততা শুরু হয়। শব্দ দূষণের ফলে জনজীবনে যেসব সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে- হাইপার টেনশন, আলসার, হৃদরোগ, মাথাব্যথা, স্মরণশক্তি হ্রাস, স্নায়ুর সমস্যা ও মানসিক চাপ বেড়ে যাচ্ছে। 


WHO এর এক সমীক্ষা অনুযায়ী, মানুষের অসুস্থতার প্রথম কারণ বায়ুদূষণ এবং দ্বিতীয় কারণ হচ্ছে শব্দদূষণ। এই শব্দ দূষণের ফলে হৃদরোগে পরিমাণ বছরে প্রায় ৪৮ হাজার টা দেখা যায়। যার ফলে ১২ হাজার অপ্রাপ্ত বয়সীর মৃত্যু হয়। ১২ মিলিয়ন মানুষ ক্রনিক হাই এনোয়েন্সের শিকার হয়। এবং ৬.৫ মিলিয়ন মানুষ ক্রনিক হাই স্লিপ ডিসটারভেন্সের শিকার হয়। Australian Academy of Science এর রিপোর্ট মতে শব্দ দূষণের ফলে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে গর্ভবতী নারী ও শিশু। শিশুরা পড়ায় মনোযোগ হারিয়ে ফেলে। যদিও শব্দ দূষণ রোধে ২০০৬ সাল থেকে পরিবেশ সংরক্ষণ আইন কর্তৃক বিধিমালা রয়েছে কিন্তু এসব আইন প্রয়োগে কারো কোন ধরনের হস্তক্ষেপ নেই। বিধিমালা অনুযায়ী কেউ যদি নিয়ম বর্হিভূত শব্দ ব্যবহার করে তাহলে ঐ ব্যক্তির একমাসের কারাদণ্ড বা ৫ হাজার টাকা জরিমানা এবং একই অপরাধ যদি দ্বিতীয়বার করে তাহলে ৬ মাসের কারাদণ্ড বা ১০ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দন্ডে দন্ডিত হবে। কিন্তু আইনের প্রয়োগ যথাযথ হয়নি বলে এখনও পর্যন্ত শব্দ দূষণের শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশ। সাম্প্রতিক তথ্যমতে, করোনা মহামারিতে মারা গেছে ৬.৩১ মিলিয়ন মানুষ। এই দিকে শব্দ দূষণের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে প্রতিবছর ২২ মিলিয়ন মানুষ। অতএব বলা যায়, বাংলাদেশ শব্দ দূষণের শীর্ষে থাকায় শব্দ দূষণ দেশের এক নতুন মহামারী রূপে পরিণত হচ্ছে। 


লেখক: রুবেল আহমেদ

ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ

ঢাকা কলেজ, ঢাকা।

আরও খবর


deshchitro-67f32034a3e9c-070425064540.webp
সড়কে মৃত্যুর মিছিল বন্ধ হোক

১১ দিন ৩ ঘন্টা ০ মিনিট আগে


67f00c4be906d-040425104355.webp
অবহেলার পাত্র নাকি সভ্যতার স্থপতি?

১৩ দিন ১১ ঘন্টা ২ মিনিট আগে


deshchitro-67e77b5f5d7ad-290325104727.webp
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ঈদ ভাবনা

১৯ দিন ২২ ঘন্টা ৫৮ মিনিট আগে


67e68cb231674-280325054906.webp
ঈদের শুভেচ্ছা জানানোর জন্য বার্তা

২০ দিন ১৫ ঘন্টা ৫৬ মিনিট আগে