◾তামিম হোসেন : সংক্ষিপ্ত জীবনে ছোট্ট এই ভুবনে, এক এক জন এক একটা ব্যাথা, যন্ত্রণা নিয়ে বেঁচে আছে। কেউ ফ্যামিলির সমস্যা, কেউ টাকার সমস্যা, কেউ নারী, বাড়ি, গাড়ি, ধন-সম্পদ, উত্তরাধিকার,লক্ষ পুরোন, চাকরি পাওয়ার আশায়, পড়া লেখা, টাকা পয়সা ইত্যাদি সমস্যায় জড়িত পৃথিবীর কেউ না কেউ।
কারো হাজারো কোটি টাকা আছে কিন্তু পরিবারে শান্তি নেই। কারো পরিবার আছে কিন্তু টাকা পয়সা নেই। এই সম্পর্ক গড়তেছে আবার বিচ্ছেদ। পত্রিকার পাতা খুললে এখন এই গুলোই চোখে পড়ে।কেউ কাঙ্ক্ষিত ফল পাঁচ্ছে না তাই ডিপ্রেশনে ভুগতেছে।দিন যত যাচ্ছে ডিপ্রেশন ততই গ্রাশ করতেছে। কারো প্রেম ভেঙ্গে যাচ্ছে, প্রিয় মানুষের শোকে বেঁচে থেকেও মনে হচ্ছে জিন্দা লাশ হয়ে আছে। এক সময় ধৈর্য হারিয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে। আচ্ছা আত্মহত্যা করলেই কি বেঁচে গেলাম?
ভেবে দেখুন তো আপনি আত্মহত্যা করার পর আপনার পরিবার আপনাকে ছাড়া কিভাবে জীবন অতিবাহিত করবে? আপনার শোকে শোকে তারা কি ভালো থাকতে পারবে?)
এতো কষ্ট করে আপনাকে লালন পালন করলো, আপনার মা-বাবা, এতো কষ্ট, এতো পরিশ্রম একবার তাদের কথা ভাবুন, তাদের কথা চিন্তা করুন, আপনার মৃত্যুতে তাদের কি অবস্থা হবে। তারা কিভাবে বেঁচে থাকবে। তাদের চোখের জল শুকিয়ে যাবে আপনার জন্য কাঁদতে কাঁদতে। আপনার বাবা-মা আপনার চোখের দিকে তাকিয়ে বেঁচে থাকে। আপনার হাসিতে তারা হাসি খুশি থাকে, আপনি যদি না থাকেন, তাহলে তাদের কি অবস্থা হবে? আত্মহত্যা মহা পাপ। প্রতিটা ধর্মে আত্মহত্যা করতে নিষেধ করেছে।
আমাদের ইসলাম ধর্মে আত্মহত্যা হারাম, আত্মহত্যা কারির অবস্থান জাহান্নাম। আপনি আত্মহত্যা করে বেঁচে যাবেন না বরং আত্মহত্যা করে নতুন বিপদে নিজেকে জড়াবেন। একবার ভাবুন আপনি যে মেয়ে বা নারীর জন্য জীবন শেষ করে দিচ্ছেন, সে কি একবার হলেও আপনার কথা ভাবে? বরং সে অন্য কারো হাত ধরে চলে যাবে, না হয় অন্য কাউকে বিয়ে করে এক সময় আপনাকে ভুলে যাবে, সংসার জীবন ব্যস্ত হয়ে পরবে। কিন্তু তার জন্য নিজেকে শেষ করে দিচ্ছেন এবং নিজের পরিবারকে শোকের মধ্যে ফেলে দিচ্ছেন। আত্মহত্যা না করে নিজের পরিবারের দিকে তাকান, তাদের কথা ভাবুন। ধৈর্য ধরুন সময় সব বদলে দিবে। কারণ আপনার জন্য আপনার সৃষ্টিকর্তা সঠিক পরিকল্পনা কারি। সৃষ্টিকর্তা যা করেন আপনার ভালোর জন্য করেন। সে আপনাকে সঠিক পথ খুঁজে দিবে। তার কাছে বেশি বেশি চাইতে থাকুন, নিজেকে ধৈর্যশীল তৈরি করুন। নিজের প্রতি আস্থা হারাবেন না। আত্মহত্যা বেঁচে যাওয়া নয় বরং আপনার জন্য নতুন ভয়ানক পথে হাটা। পরিবারের জন্য শোকের আধার নেমে আসবে।
আমাদের মাঝে হাজারো বিপদ, আপদ, ডিপ্রেশন আসবে তখন আমাদের ধৈর্য ধারণ করতে হবে। নিজেকে বুঝাতে হবে, বেশি বেশি সৃষ্টিকর্তার কাছে সঠিক পথ চাইতে হবে। নিজেকে কখনোই শেষ করা যাবে না। যতো মেঘ আসুখ, যত কালো আধার আসুখ, সময় হলে সঠিক রাস্তা খুজে পাবেন, অপেক্ষায় আঁধার আলোর সন্ধান মিলবে।
তাই আসুন আমরা আত্মহত্যাকে না বলি। পাড়ায়-মহল্যায়, গ্রামে-গঞ্জে, হাটে-বাজারে, স্কুল -কলেজ, ভার্সিটি, মাদ্রাসা মসজিদে ইত্যাদি আত্মহত্যা যেনো না করে, সেই কথা গুলো বলি এবং মানুষকে সচেতন করি।আত্মহত্যা মানে বেঁচে যাওয়া নয় বরং আত্মহত্যায় পরিবারবর্গের এবং নিজেকে বিবদে ফেলা। আসুন আত্মহত্যাকে না বলি, জীবন বাঁচিয়ে নিজেকে গড়ি।
তামিম হোসেন
শিক্ষার্থী, ঢাকা কলেজ
১ দিন ১৬ ঘন্টা ৩৬ মিনিট আগে
১ দিন ১৬ ঘন্টা ৪২ মিনিট আগে
৫ দিন ১৫ ঘন্টা ৫৬ মিনিট আগে
৫ দিন ২৩ ঘন্টা ৪০ মিনিট আগে
৭ দিন ৯ ঘন্টা ৪৬ মিনিট আগে
৭ দিন ২০ ঘন্টা ৩৫ মিনিট আগে
৯ দিন ১৪ ঘন্টা ১৯ মিনিট আগে
১০ দিন ১ ঘন্টা ২৪ মিনিট আগে