ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ২০২৩ বিশ্বকাপের প্রথম অঘটন ঘটাল আফগানিস্তান। ২৮৫ রানের লক্ষ্যে খেলতে নামা ইংলিশ ব্যাটারদের রীতিমত নাকানি-চুবানি খায়িয়েছে রশিদ-নবীরা। আফগান বোলিং তোপে মাত্র ২১৫ রানেই অলআউট ইংল্যান্ড। ফলে গতবারের চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে ৬৯ রানের বড় জয় পায় আফগানরা। বিশ্বকাপে ১৭টি ম্যাচ খেলে এই নিয়ে দ্বিতীয় জয় পেল আফগানরা।
রোববার (১৫ অক্টোবর) দুপুর আড়াইটায় দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে মুখোমুখি ডিফেন্ডিং চ্যাস্পিয়ন ইংল্যান্ড ও আফগানিস্তান। যেখানে ম্যাচে টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ইংলিশ অধিনায়ক জস বাটলার। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে রাহমানুল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরানের ওপেনিং জুটির ঝোড়ো সূচনা এবং শেষদিকে ইকরাম আলীখিল, রশিদ খান ও মুজিব-উর-রহমানের বুদ্ধিদীপ্ত ব্যাটিংয়ে নির্ধারিত ৫০ ওভারের ১ বল বাকি থাকতে ২৮৪ রানের অলআউট হয় আফগানরা।
২৮৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামা ইংল্যান্ড শুরুতেই চাপে পড়ে। দলীয় ৩ রানের মাথায় জনি বেয়ারস্টোকে এলবিডাব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন ফারুকী। এরপর ৩৩ রানের মাথায় মুজিব উর রহমানের বলে সরাসরি বোল্ড হন রুট। আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান ডেভিড মালানও ফিরেন ৬৮ রানের মাথায়।
এরপর জুটি বাধেন হ্যারি ব্রুক ও অধিনায়ক জস বাটলার। তবে দলীয় শতরান পূর্ণ হওয়ার আগেই চতুর্থ ব্যাটার হিসেবে ফেরেন বাটলার। বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি লিয়াম লিভিংস্টোনও। বিধ্বংসী এই ব্যাটারকে এলবিডাব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন রশিদ খান। ১৩৮ রানের মাথায় স্যাম কারেনকে বিদায় করেন নবী।
১৬০ রানে ক্রিস ওকসকে ফেরানোর পর ১৬৯ রানে ফেরান হাফ সেঞ্চুরি (৬৬) তুলে নেওয়া হ্যারি ব্রুককেও। নবম উইকেটে অবশ্য ভালো জুটি গড়েন আদিল রশিদ এবং মার্ক উড। তাদের ২৯ রানের জুটি ভাঙেন রশিদ, আদিল রশিদকে ফিরিয়ে। ইংলিশদের গুঁড়িয়ে দেন সেই রশিদ খানই। শেষ পর্যন্ত ২১৫ রান করতে সক্ষম হয় দলটি।
আফগানিস্তানের হয়ে ৩টি করে উইকেট নেন রশিদ খান ও মুজিব। মোহাম্মদ নবী ২ এবং ১টি করে উইকেট নেন ফারুকি ও নাভিন।
এরআগে, প্রথমে ব্যাট করতে নেমে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ঝোড়ো সূচনা এনে দেন আফগানিস্তানের দুই ওপেনার রাহমানুল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান। একপাশে ইব্রাহিম রয়েসয়ে খেললেও মারমুখি ব্যাটিং করতে থাকেন রাহমানুল্লাহ। পাওয়ার প্লের দশ ওভারে আসে ৭৯ রান। আফগানিস্তান দলীয় শতরান পূর্ণ করে মাত্র ১২ ওভার ৪ বলে। প্রথম ১৬ ওভারেই দুই ওপেনার তুলে ফেলেন ১১১ রান।
তবে ছন্দপতন ঘটে ১৭তম ওভারে। আদিল রশিদের করা সেই ওভারের চতুর্থ বলে রুটের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ২৮ রান করা ইব্রাহিম। ওই ওভারে এক উইকেট হারানোর পর ১৯তম ওভারে হারায় আরও ২ উইকেট। আবারও সেই রশিদের আঘাত। এবার আফগানদের ওয়ান ডাউন ব্যাটার রহমতকে স্ট্যাম্পিং করে দেন জস বাটলার। তার পরের বলে ফিরে যান ঝড় তোলা রাহমানুল্লাহ। দুর্ভাগ্যজনকভাবে রানআউট হয়ে ফেরেন তিনি। তবে তার আগে ৫৭ বলে ৮টি চার ও ৪টি ছক্কায় করেন গুরুত্বপূর্ণ ৮০ রান। এরপর মাঠে নামা আজমতউল্লাহ ওমরজাই বেশিক্ষণ পিচে টিকে থাকতে পারেননি। মাত্র ৭৬ রানের ব্যবধানে ৬ উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে যায় আফগানস্তান।
সপ্তম উইকেটে জুটিতে রশিদ খানকে সঙ্গে নিয়ে ৪৮ বলে ৪৩ রানের জুটি গড়েন ইকরাম আলি খিল। ২২ বলে ৩টি বাউন্ডারির সাহায্যে ২৩ রান করে ফেরেন রশিদ খান।এরপর মুজিব উর রহমানের সঙ্গে মাত্র ২৩ বলে ৪৪ রানের জুটি গড়ে ফেরেন ইকরাম। তিনি ৬৬ বলে তিনটি চার আর ২টি ছক্কার সাহায্যে ৫৮ রান করে ফেরেন।
দলীয় ২৭৭ রানে নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে ফেরেন মুজিব। তার আগে মাত্র ১৬ বলে তিন চার আর এক ছক্কায় খেলেন ২৮ রানের ঝড়ো ইনিংস। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে ফজলহক ফারুকি আউট হওয়ার মধ্য দিয়ে ২৮৫ রানে অলআউট হয় আফগানিস্তান।
ইংলিশ বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়েছেন আদিল রশিদ। র্মাক উড ২টি এবং জো রুট, লিয়াম লিভিংস্টোন, রিস টপলি নেন ১টি করে উইকেট।
১৯ দিন ৭ ঘন্টা ৪৮ মিনিট আগে
২০ দিন ৮ ঘন্টা ৩৬ মিনিট আগে
২৪ দিন ৫ ঘন্টা ১৭ মিনিট আগে
২৫ দিন ৫ ঘন্টা ৩০ মিনিট আগে
২৫ দিন ৫ ঘন্টা ৩৬ মিনিট আগে
২৯ দিন ৯ ঘন্টা ৪৪ মিনিট আগে
৩৬ দিন ২১ ঘন্টা ৫৩ মিনিট আগে
৩৯ দিন ৯ ঘন্টা ২৩ মিনিট আগে