বিশ্বসেরা হাফেজ ইন্দোনেশিয়ার জাকি, দেশসেরা নেত্রকোনার ইরশাদুল ফ্যাসিস্ট সরকার ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করার জন্য ইলিয়াস আলীসহ বিএনপি নেতাকর্মীকে গুম করে- তাহসিনা রুশদীর লুনা ডোমারে জমিয়তের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত উলিপুরে তবকপুর ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগের দাবীতে মানববন্ধন বাকৃবির শাহজালাল হলের উদ্যোগে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত পীরগাছায় ছাওলা ইউনিয়ন জামায়াতের আয়োজনে ইফতার মাহফিল সেনাবাহিনীর অভিযানে সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে ইয়াবা, রামদা ও মাদক সেবনের সরঞ্জামসহ আটক ২ বগুড়ায় জুয়ার আসর থেকে কৃষকলীগ নেতাসহ গ্রেপ্তার চার ক্ষেতলালে শত শত রোজাদারকে ইফতার করালেন সাবেক ছাত্রনেতা আব্বাস আলী বেগমগঞ্জে সাংবাদিকদের সাথে জামায়াতে ইসলামীর মতবিনিময় ও ইফতার গণঅভ্যুত্থানে আহত শিক্ষার্থীদের সম্মানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইফতার না:গঞ্জ জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ইফতার মাহফিল হবিগঞ্জে মউশিক শিক্ষক কল্যাণ পরিষদের মানববন্ধন বড়লেখায় বিএনপি নেতা সাজু দায়িত্ব নিলেন হতদরিদ্র একশ' শিক্ষার্থীর নতুন করে সুন্দরবনের গুলিশাখালী আগুন পানি সংকট,নেভাতে জোয়ারের অপেক্ষা শ্রীমঙ্গলে শিক্ষকদের সম্মানে হাজী সোনা মিয়া সুরজান বিবি আলিয়া মাদ্রাসার ইফতার সংস্কার কমিশনের ১১৩টি প্রস্তাবে একমত এনসিপি ঈদ মিছিল হবে ঢাকায়, বসবে মেলা: আসিফ মাহমুদ পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌ রুটে যাত্রী পারাপারের জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি। গোয়ালন্দ উপজেলা সাউন্ড ও লাইটিং ব্যবসায়ীর উদ্যোগে দোয়া ও ইফতার মাহফিল।

নিত্যপণ্যের দাম শহর থেকে গ্রামে বেশি কেন?

দেশচিত্র নিউজ ডেস্ক

প্রকাশের সময়: 23-10-2023 03:56:23 am

© ফাইল ছবি



◾শেখ আব্দুল্লাহ : নিত্যপণ্য কিনতে দিশেহারা অবস্থা গ্রামের স্বল্প আয়ের খেটে খাওয়া মানুষেরা। শহরকে ছাড়িয়ে গ্রামের হাট-বাজারে চড়ামূল্যে বিক্রি হচ্ছে নিত্যপণ্যের জিনিস। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে শহরেরে চেয়ে গ্রামে নিত্যপণ্যের দাম কম হওয়াটা স্বাভাবিক ছিল। কারণ, গ্রাম থেকে উৎপাদন হয়ে সবকিছু শহরে আসে।


দেশের উৎপাদিত মোট খাদ্যশস্যের ৮৫ শতাংশেরও বেশি গ্রাম থেকে আসে। গ্রাম থেকে শহরে পণ্য পরিবহন খরচের জন্য পণ্যের দাম বেশি পড়ে যায়। ফলে শহরের দাম কিছুটা বেশি হতে পারে; কিন্তু গ্রামে সে হিসাবে কম থাকার কথা।

সরকার গত ১৪ সেপ্টেম্বর নিত্যপণ্য জিনিসের তালিকার প্রথম সারির পণ্যগুলো ডিম, আলু, পেঁয়াজের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছিলো। ডিমের দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল প্রতি হালি ৪৮ টাকা, আলু ৩৫-৩৬ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ৬৪-৬৫ টাকা। কিন্তু এটা বাস্তবায়ন হয়েছে কতটুকু নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়।


শহরে নিয়মিত খাদ্য অধিদপ্তরের অভিযান পরিচালনা করার কারণে কিছু কিছু বড় বাজারে কয়েকদিনের জন্য সরকার কর্তৃক আরোপিত নির্ধারিত মূল্যে পণ্য বিক্রি হলেও গ্রামে দৃশ্যটা পুরোপুরি ভিন্ন চিত্র। সরকারি ঘোষণার পরেও একদিনের জন্যও গ্রামে ডিম,আলু, পেঁয়াজের দামে নির্ধারিত মূল্যে বিক্রি হয়নি। ডিমের দাম সরকার কর্তৃক হালি প্রতি ৪৮ টাকা নির্ধারণ করা হলেও গ্রামে বিক্রি হচ্ছে প্রতি হালি ডিম ৫৫-৫৮ টাকা। এরকম নির্ধারিত মূল্য থেকে আলু, পেয়াজ কেজি প্রতি ১৫-২০ টাকা বেশি মূল্যে বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা।


এছাড়াও গ্রামে সবজির বাজারও লাগামহীন দাম; বর্তমানে বাজারে ৮০-১০০ টাকার কমে কোনো সবজি ক্রয় করা যাচ্ছে না। মাছ মাংস নয়, সবজি কেনাই এখন গ্রামের স্বল্প আয়ের মানুষের কাছে কঠিন হয়ে দাড়িয়েছে। যদিও শহরের সবজির বাজারেও লাগামহীন দাম বেড়েছে। কিন্তু সর্বসাধারণের ভাবনার বিষয় শহরের তুলনায় গ্রামে সবজির দাম কম থাকাটা স্বাভাবিক; গ্রামে সবজির দাম লাগামহীন কেন! তাই এমতাবস্থায় গ্রামের মানুষ দায়ী করছে খাদ্য অধিদপ্তরে মনিটরিং-এর অভাবকে। যদি গ্রামের বড় বড় পাইকারি-খুচরা বাজারগুলোতে নিয়মিত খাদ্য অধিদপ্তর কর্তৃক মনিটরিং করা হতো তাহলে নিত্যপণ্যের দামের ভারসম্য কিছুটা বজায় থাকত।


তাই কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি গ্রামের স্বল্প আয়ের মানুষের জীবনের দুর্ভোগ লাঘব করতে নিত্যপণ্যের দাম শিথিল করার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ নেন।


◾ শেখ আব্দুল্লাহ

লেখক ও শিক্ষার্থী


আরও খবর