ঈদের শুভেচ্ছা জানানোর জন্য বার্তা ডিসিদের ১২ দফা নির্দেশনা দিলেন প্রধান উপদেষ্টা কলেজ কর্মচারীদের মাঝে রাজশাহী কলেজ ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে ঈদসামগ্রী বিতরণ ক্যাম্পাস কর্মচারীদের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ ইবি শিবিরের পুণ্যস্নান ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হল বারুণী উৎসব কালিগঞ্জ রিপোর্টার্স ক্লাবের পক্ষ থেকে দুস্থদের ঈদসামগ্রী ও খাদ্য সহায়তা প্রদান হযরত মাওলানা মির্জা এনায়েতুর রহমান বেগ কমপ্লেক্স পরিচালনা কমিটির সঃসাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন সৈয়দ আজমুল হক ‘জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি’ শ্যামনগর থানা পুলিশের অভিযানে আন্ত: জেলার মোটরসাইকেল চোর চক্রের ৫ সদস্য গ্রেফতার কুষ্টিয়া বাইপাসে ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেলের দুই আরোহী মা–ছেলের মৃ''ত্যু শেষমুহূর্তে ঈদের জমজমাট বেচাকেনা উখিয়ার ঈদ বাজারে মেয়েদের পছন্দ পাকিস্তানি থ্রি-পিস ঈশ্বরগঞ্জে ক্রয় সামর্থ্যহীনদের সুবিধার্থে সুলভ মূল্যের হাটে ১৮টি গরু জবাই বরিশালে দুই সাংবাদিকের উপর সন্ত্রাসী হামলা কুষ্টিয়া জেলার সর্বস্তরের জনগণকে জানাই পীর সাহেব চরমোনাইয়ের পক্ষ থেকে প্রাণঢালা ঈদের শুভেচ্ছা রোহিঙ্গাদের খাদ্য সহায়তা কমানোর সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে জাতিসংঘ জাতিসংঘ শূন্য বর্জ্য দিবসে প্রফেসর ইউনূসকে অভিনন্দন জানিয়েছেন তুরস্কের ফার্স্ট লেডি ঈদ যাত্রায় নির্দিষ্ট সময়ে ছাড়ছে ট্রেন, সংকট নেই বাসেরও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে চলেছে কানাডা পবিত্র জুমাতুল বিদা আজ চীনকে আরও বৃহত্তর ভূমিকা পালনের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

আজ সতীদাহ প্রথা নিষিদ্ধের ১৯৪ বছর

Md Nazmul Hasan ( Contributor )

প্রকাশের সময়: 04-12-2023 04:52:38 am

১৯ শতকের চিতকলায় সতীদাহ প্রথা

ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভালো, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার আশীর্বাদ-অভিশাপ।


তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সব সময় গুরুত্ব বহন করে। 


ঠিক তেমনি ১৮২৯ সালের ৪ ডিসেম্বর সতীদাহ প্রথাকে নিষিদ্ধ করা হয়।


সতীদাহ প্রথা ছিল হিন্দু ধর্মাবলম্বী কোনো সদ্য বিধবা নারীকে স্বামীর চিতায় সহমরণ বা আত্মাহুতি দিতে বাধ্য করার এক অমানবিক প্রথা। মূলত এই প্রথাটি ছিল সামাজিক ও ধর্মীয় হত্যাকাণ্ড। মৃত ব্যক্তির সম্পত্তির দখল নিতে এবং পারিবারিক মানসম্মান নষ্ট হওয়ার ভয় থেকে মৃত ব্যক্তির আত্মীয়রা সদ্য বিধবা হওয়া নারীকে জোর করে স্বামীর চিতায় পুড়িয়ে মারতেন।


রাজা রামমোহন রায় ১৮১২ সালে সতীদাহবিরোধী সামাজিক আন্দোলন শুরু করেন। ১৮২৮ সালে লর্ড উইলিয়াম বেন্টিঙ্ক বাংলার গভর্নর হয়ে আসলে রামমোহন রায় তার কাছে সতীদাহ প্রথা নিষিদ্ধ ঘোষণার জন্য আবেদন করেন। সতীদাহ প্রথা নিয়ে লর্ড বেনটিংক, যিনি সেসময় বাংলার গভর্নর জেনারেল ছিলেন, ৪৯ জন সিনিয়র সামরিক কর্মকর্তা এবং পাঁচজন বিচারকের মতামত নিয়েছিলেন। এরপর তিনি মনস্থির করেন “ভারতে ব্রিটিশ শাসনের ওপর কালিমা লেপনকারী” এই প্রথা বাতিলের সময় এসেছে। ১৮২৯ সালের ৪ ডিসেম্বর সতীদাহ প্রথাকে নিষিদ্ধ ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে ঘোষণা করে আইন পাস করেন লর্ড বেন্টিঙ্ক।


তার জারী করা আইনে বলা হয় “সতীদাহ হলো মনুষ্য চরিত্রের মৌলিক অনুভূতির চরম বিরুদ্ধ একটি প্রথা” এবং অনেক হিন্দুও এটিকে “বেআইনি এবং জঘন্য” বলে বিবেচনা করেন।


আইনে বলা হয় হিন্দু কোনো বিধবাকে পোড়ানোর জন্য জবরদস্তি করা বা ঐ কাজে সাহায্য অথবা উসকানি দেওয়ার সাথে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেলে তাকে পরোক্ষ হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত করা হবে। এমনকি কোনো বিধবা যদি স্বেচ্ছায় সতীদাহ করতেও চায়, তাহলেও সতীদাহের সাথে যে কোনো ধরনের সংশ্লিষ্টতা অপরাধ বলে গণ্য করা হবে।


অপরাধীকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার অধিকার দেওয়া হয় আদালতকে।


তবে আইনটি জারির পর, রাজা রামমোহন রায়ের নেতৃত্বে ৩০০ সুপরিচিত হিন্দু সমাজ সংস্কারক লর্ড বেনিটংককে ধন্যবাদ দেন। তাদের বিবৃতির ভাষা ছিল, “সজ্ঞানে নারী হত্যাকারী হিসাবে যে দুর্নাম আমাদের চরিত্রের সাথে জুড়ে গিয়েছিল তা থেকে চিরতরে আমাদের মুক্তি দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।“

আরও খবর