কালো পতাকা নিয়ে দেশের জনগণ দ্বাদশ জাতীয় সংসদকে ঘৃণা জানাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেছেন, আজকে ডামি নির্বাচনের সংসদ বসছে বিকেল তিনটায়। সকাল থেকে সারা দেশে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল কেউ লাল পতাকা, কেউ কালো পতাকা নিয়ে রাস্তায় রাস্তায় হাঁটা… জনগণ কী উদযাপন করছে এই সংসদ? অর্থাৎ তিরস্কার দিচ্ছে, ঘৃণা জানাচ্ছে, ক্ষোভ প্রকাশ করছে।
মঙ্গলবার সকালে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত মানবন্ধনে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, যাদের লাজ-লজ্জা-ভয় নাই…. তাঁদের দ্বারাই এ রকম সংসদে বসা যায়।
বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে গয়েশ্বর বলেন, লড়াই আমাদের চলমান, লড়াই আমাদের থেমে নেই। বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে লড়াইয়ের কৌশল পরিবর্তন হয়….। আজকে (৩০ জানুয়ারি দ্বাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশনের দিন) অনেকের দাবি ছিল, অনেকের প্রস্তাব ছিল আমরা যেন হরতাল দেই… বিএনপি আজকে সেই হরতালটি ঘোষণা করেনি।
গয়েশ্বর আরো বলেন, ‘বিএনপি যেভাবে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বিগত দিন চলেছে, সেই শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মধ্য দিয়ে গণতান্ত্রিক রীতি-নীতির মধ্যেই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন করে যাচ্ছে এবং করে যাবে। আমরা রেকর্ড করতে পারিনি এক সরকারের মেয়াদে ১৭৩ দিন হরতাল দেওয়ার, আমরা রেকর্ড করতে পারিনি গান পাউডার দিয়ে শেরাটনের সামনে বাসে মানুষ মারা, আমরা এখনো দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারিনি, চলমান পথিককে বিবস্ত্র করা, আমরা এখনো পারিনি লগি-বৈঠা দিয়ে মানুষ মেরে তাঁর উপরে নাচ-গান করা। এ রকম সংস্কৃতি কাদের মনে… যারা গণতন্ত্রের বিশ্বাস করে না। এ রকম সংস্কৃতি কাদের মনে… যারা জোর করে ভোট ছাড়া ক্ষমতায় থাকে।
বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐক্য সুদৃঢ় করেই সরকারের পতন ঘটানো হবে বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের উদ্যোগে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, বেগম খালেদা জিয়াসহ রাজবন্দিদের মুক্তি এবং ‘ডামি’ সংসদ বাতিলের দাবিতে এই মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
সরকারের লুটপাট-দুর্নীতির কঠোর সমালোচনা করে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, লুটপাট করতে হলে একটা সরকারের পক্ষে একা সম্ভব হয় না। তার সঙ্গে পার্টনার লাগে… যেটা সরকার ও সরকারের সহযোগীরা এক হয়েছে, সরকার ও দুর্নীতিবাজরা আজকে একাকার হয়ে গেছে। সেজন্য বাংলাদেশের কোষাগার কেন শূন্য? উন্নয়নের এত স্বাদ কেন… উন্নয়নের অপর নাম দুর্নীতি, লুটপাট। এই লুটপাটের মধ্য দিয়ে সেই টাকা বিদেশে পাচার করা হচ্ছে। কোনো কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা নেই। দিনের পর দিন বেকার এত বাড়ছে, দ্রব্যমূল্য বাড়ছে। এই অবস্থা থেকে উত্তরণে আমরা যে স্ট্রাগল অব ইউনিটি করে ৭ জানুয়ারি ভোট বর্জনে সফল হয়েছি। এখন আমাদের ইউনিটি অব স্ট্রাগল অর্থাৎ এই জাতীয় ইউনিটি নিয়ে আগামী দিন লড়াই করতে হবে, সরকারের পতন ঘটাতে হবে।
সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক এজেডএম জাহিদ হোসেনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব কাদের গণি চৌধুরীর সঞ্চালনায় ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের রুহুল আমিন গাজী, জিয়া পরিষদের অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস, ইউনির্ভাসিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অধ্যাপক এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের অধ্যাপক শামসুল আলম সেলিম, শিক্ষক-কর্মচারি ঐক্যজোটের অধ্যক্ষ সেলিম ভুঁইয়া, ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের রিয়াজুল ইসলাম রিজু, ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের ওবায়দুল কবির খান, এগ্ররিচালচারিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের শফিকুর রহমান শফিক, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের অ্যাডভোকেট আবেদ রাজা, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের শহীদুল ইসলাম, জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের মাহবুবুল আলম শামীম, নার্সেস অ্যাসোসিয়েশনের জাহানারা সিদ্দিকী, ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশসের সাখাওয়াত হোসেন, ডিপ্লোমা এগ্রিকালচারিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের জিয়াউর হায়দার পলাশ, জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক জোটের রফিকুল ইসলাম, এমট্যাবের হাফিজুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
৪ দিন ১৮ ঘন্টা ৭ মিনিট আগে
৪ দিন ১৮ ঘন্টা ১৬ মিনিট আগে
৫ দিন ১৬ ঘন্টা ২০ মিনিট আগে
৫ দিন ১৬ ঘন্টা ৩২ মিনিট আগে
৬ দিন ৬ ঘন্টা ৫৮ মিনিট আগে
৬ দিন ১০ ঘন্টা ২২ মিনিট আগে
৭ দিন ৪ ঘন্টা ৫৩ মিনিট আগে
৭ দিন ৭ ঘন্টা ০ মিনিট আগে