নজরুল সঙ্গীত
সুরঞ্জীত্ গাইন
সঙ্গীতের দু'টি মূল ধারা আমরা জানি;
একটি ধ্রুপদ আরেকটি খেয়াল ব'লে মানি।
এবার তাহলে বিচারে আসুন;
বর্ণনা করা যাক দু'টি ধারার গুণ।
শাস্ত্রীয় সঙ্গীতে যাকে ধ্রুপদ নামে পাই;
তাহাতে হয়না কভু তান ও তেহাই।
আলাপ সহ অন্যান্য যে রীতি আছে;
আমরা পাই তাহা ধ্রুপদের কাছে।
ইহার যে গুণ খেয়ালে তাহা পাই;
আরও অতিরিক্ত গুণ হ'ল তান ও তেহাই।
অর্থাৎ কেবল শাস্ত্রীয় খেয়ালে;
গায়ন রীতিতে তান তেহাই চলে।
ইহা না মানিলে সঙ্গীতে শুদ্ধতা থাকেনা;
শুদ্ধ শিল্পী ব'লে কেউ আর ডাকেনা।
নজরুল সঙ্গীতে বড়ই বিস্ময়!
অজস্র গান আছে শাস্ত্রীয় দুইটি ধারায়।
যেমন, অরুণ কান্তি কেগো যোগী ভিখারী;
গানটি ধ্রুপদ অঙ্গের বলতে পারি।
শ্যামা তন্বী আমি মেঘ বরণা;
খেয়াল অঙ্গের ব'লে পাই ধারণা।
অনেক শিল্পী ধ্রুপদ অঙ্গে তেহাই করেণ দান;
ইহাতে নজরুল সঙ্গীতের হয় অপমান।
তহাদের কাছে হাত জোড় ক'রে বলি;
মনদিয়ে শুনবেন অনুপ জালোটার গান গুলি।
নজরুল সঙ্গীতের উনি শুদ্ধ সাধক;
অতি জনপ্রিয় সুমহান গায়ক।
বিখ্যাত শিল্পী খায়রুল আনাম শাকিল ভাই;
বিশ্বে যাঁহার তুলনা নাই।
শুনবেন মনদিয়ে মোঃ রফির গান;
তবেই সঠিক ভাবে পাবেন সমাধান।
আছেন সুপ্রভা, ফিরোজা, অনুপ ঘোষাল, অঞ্জলি;
জ্ঞানেন্দ্র, শচীন কর্তা, আঙুর-ইন্দু , কত আর বলি।
শুনবেন মনদিয়ে এনাদের গান;
তাহলে সহজে পাবেন সমাধান।