মু.মেহেদী হাসান সাগর
খাদ্য,বস্ত্র,বাসস্থান,শিক্ষা,চিকিৎসা এই ৫টি মানুষের মৌলিক চাহিদা। সমাজে বেচে থাকার জন্য উল্লেখিত বিষয়গুলো অপরিহার্য।উন্নত বিশ্বের সাথে পাল্লা দিয়ে ক্রমান্বয়ে এগিয়ে যাচ্ছে আমাদের সোনার বাংলা। আমাদের নিজস্ব অর্থয়ানে পদ্মাসেতু হয়েছে। বিশ্বের বুকে আমাদের মর্যাদা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমাদের মাথাপিছু আয়,জিডিপি,প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি পাচ্ছে। শিক্ষার হার বৃদ্ধি পাচ্ছে অন্যদিকে সরকার নিজস্ব অর্থায়নে বসতভিটা করে দিচ্ছে ভ’মিহীন মানুষদেও। দূর্ত গতিতে পরিবর্তন হচ্ছে দেশের চিত্র এতদসত্তে¡ও মৌলিক চাহিদার একটি আগের চিত্রই রয়েগেছে আর তাহলো চিকিৎসা ব্যবস্থা। সমাজ জীবনের সকল আনন্দ ভোগ করার জন্য আমাদের সুসাস্থ্য থাকা আবাশ্যক। অসুস্থতা আমাদের জীবনের সকল আনন্দ নষ্ট করে দেয়। তাই জীবনের সকল আনন্দ ভোগ করার জন্য সুসাস্থ্য কামনা করা আমাদের মৌলিক অধিকার। চিকিৎসা অবহেলা বা চিকিৎসা পেতে বিলম্ব হওয়া একটি পরিবারের কাছে কতটা যন্তণাদায়ক তা শুধু উপলব্ধি করতে পারে স্বজনহারা পরিবারগুলো,করোনাকালিন সময় চিকিৎসা না পাওয়া পরিগুলোর হাহাকার আমরা দেখেছি। চিকিৎসা ব্যাবস্থার ভয়াবহ অনিয়মের চিত্র ও আমরা দেখছি। সাধারণ মানুষের ভোগান্তি আমাদের দেশের নেতৃবৃন্দ তা দেখতে পায় না। না দেখতে পাওয়ার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। আমাদের দেশের অধিকাংশ নেতৃবৃন্দ উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ ভ্রমন করে তাই তারা উপলব্ধি করতে পারেনা চিকিৎসা না পাওয়া বা চিকিৎসা ক্ষেত্রে অবহেলিত হওয়ার যন্ত্রণা। উন্নত রাষ্ট্রে চিকিৎসা নেওয়ার যে সংস্কৃতি গড়ে ওঠেছে আমাদের দেশে তা রোধ করা না গেলে হয়তো আমাদের দেশের চিকিৎসা ব্যাবস্তার এ চিত্র কখনো পরিবর্তন হবে না। যোগাযোগ ব্যবস্থার অমূল পরিবর্তনের জন্য সরকার যেধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে তা অভানীয়। যে ধরনের পদক্ষেপ যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করার জন্য সরকার নিছে ঠিক একই পদক্ষেপ যদি স্বাস্থ্য খাতের উন্নতর জন্য নেওয়া হয় তাহলে তা হবে জনগনের জন্য কল্যাণকর। ভ্রমন তখন আনন্দ দায়ক হয়,যখন মানুষ সুস্বাস্থের অধীকার হয়। তাই মৌলিক অধীকারগুলোর দিকে আগে নজর দেওয়া উচিত। মৌলিক অধীকারগুলো ক্ষুন্ন হলে বাহ্যিক উন্নয়নগুলো ব্যাহত হয়ে যাবে। গ্রামগঞ্জের সরকারি হাসপাতালগুলোতে উন্নত চিকিৎসা নেই বল্লেই চলে। জেলা সদর হাসপাতালগুলোতেও উন্নত চিকিৎসার অভাব। ইমারজেন্সি আইসিইউ বা ভেন্টিলেটার এর প্রয়োজন হলে হাসপাতাল কতৃপক্ষ তা দিতে অপারগতা সিকার করে নেয়।আইসিইউ,ভেন্টিলেটার বা উন্নত চিকিৎসার জন্য ক্লিনিকগুলোর দারস্ত হতে হয়।বেসরকারি ক্লিনিকগুলো উন্নত চিকিৎসার নামে অপ্রয়োজনীয় টেস্ট করার মাধ্যমে গরীব অসহায় মানুষের শেষ সম্বলটুকু কেরে নেয়।্ ইমারজেন্সি আইসিইউ বা ভেন্টিলেটারের প্রয়োজনে হলে ক্লিনিকগুলোর দারস্ত হতে হয়। অসহায় ও দুর্বল মানুষের এই দূর্দীন তাদের সুফল বয়ে আনে। আইসিইউ বা উন্নত চিকিৎসার বিল আকাশচুম্বি হয়ে দারায়। এই বিল পরিশোধ করার জন্য গরীব অসহায় মানুষগুলো তাদের ভিটামাটি পর্যন্ত বিক্রি করে এমনকি কিস্তি নিতে বাধ্য হয়। এখানে চিন্তার বিষয় হলো একটি ওয়ার্ড বা মহল্লায় কতজন লোক বসবাস করে। সাধারণত একটি গ্রামকে একটি ওয়ার্ড হিসাবে ধরা হয় এবং প্রতিটি ইউনিয়নে নয়টি গ্রাম নিয়ে গঠিত। বর্তমানে বাংলাদেশে ৮৭১৯১ টি গ্রাম আছে ও গ্রামগুলিতে গড়ে ২৩২ টি পরিবার রয়েছে। একটি গ্রামে গড়ে ২৩২ টি পরিবার বসবাস প্রত্যেক পরিবারে যদি গড়ে সর্বনি¤œ ২ জন করে ও সদস্য ধরা হয় তাহলে তা দারায় ৪৬৪ জনে এটাতো শুধু একটি গ্রামের হিসাব। কয়েকটিা গ্রাম বা ইউনিয়র্ন মিলে একটি উপজেলা গঠিত হয় এবং কয়েকটি উপজেলা নিয়ে একটি জেলা গঠিত হয়। এতগুলো পরিবার এতগুলো মানুষের জন্য একটি উপজেলা বা একটি জেলায় ১৫/২০ টি আইসিইউ বেড নেই! অথচ চিকিৎসা ব্যবস্থা মানুষের মৌলিক অধিকার। গ্রামগঞ্জের মানুষগুলো চিকিৎসা ব্যবস্থার কাছে যেন অসহায়।
উন্নত চিকিৎসা এখনো শহর কেন্দ্রিক। নিম্ন মধ্যবিত্র শ্রেণীর মানুষের শহরে যাতায়াত করাটাই কষ্টসাধ্য ব্যাপার সেখানে আবার মরার উপর খাঁড়ার ঘা হয় দাঁড়ায় থাকা,খাওয়ার ব্যায়ভার বহন করা। তার মধ্যে রয়েছে দালালদের হয়রানি,প্রতারিত হওয়ার সম্ভাবনা। অপর দিকে রয়েছে সরকারি হাসপালে অনিয়ম,বিশৃঙ্খল পরিবেশ,শৃঙ্খলার অভাব,স্বজনপ্রীতি নানন প্রতিবন্ধকতা।সরকারি হাসপাতালগুলোতে দালালদের উপচে পড়া ভিড়।কোন রোগী ডাক্তার দেখানো হলে তাদের কাছ থেকে জোরপূর্বক পেশক্রিপশন নিয়ে ছবি তোলা এবং দালালরা কোন কোন ক্ষেত্রে সরকারি হাসপাতালের দূর্ভোগের কথা বলে ক্লিনিকগুলোতে যাওয়ার পরামর্শ প্রদান করে থাকে।
যে সকল ক্লিনিকগুলোতে তারা যাওয়ার পরামর্শ প্রমাদ করে তার অধিকাংশগুলোতে একটি নির্দিষ্ট সময়ের পর সরকারি ডাক্তারদের নিজস্ব চেম্বার রয়েছে এবং সেখানে চিকিৎসা নেওয়ার জন্য তারা উৎসাহ প্রদান করে।দালালদের এই দৌরাত্ম ডাক্তারদের যোগসাজসের মাধ্যমেই সংগঠিত হয়। দালালদের এই যোগসাজস বা প্রতিবন্ধকতা সকলের নিকট ওপেন সিক্রেট এখানেই শেষ নয় ডাক্তারদের অধিকাংশ ঔষধ কম্পানির সা থে চুক্তিকরে পেসক্রিপশনে ঔষুধের নামের পরিবর্তে কম্পানির নাম লেখে দেয়।সরকারি হাসপাতালগুলো চিকিৎসার জন্য মধ্যবিত্র ও নিম্ন মধ্যবিত্র শ্রেণীর মানুষের একমাত্র ভরসার জায়গা। সরকারি হাসপাতালগুলোর অব্যবন্থাপনা ও বিশৃঙ্খল পরিবেশ গরীব অসহায় মানুষের জন্য অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই কেন্দ্রীয় সরকার ও স্থানীয় সরকারের সমন্বয়ের মাধ্যমে সরকারি হাসপাতালগুলো আধুনিকায়ন করা উচিত।
মু.মেহেদী হাসান সাগর
শিক্ষার্থি রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ।
ঢাকা কলেজ,ঢাকা।
৬ দিন ৫ ঘন্টা ৫৩ মিনিট আগে
১২ দিন ৯ মিনিট আগে
১৭ দিন ৯ ঘন্টা ৪৪ মিনিট আগে
১৯ দিন ১৭ ঘন্টা ৪৬ মিনিট আগে
২৬ দিন ৫ ঘন্টা ৪৩ মিনিট আগে
২৬ দিন ২২ ঘন্টা ৪১ মিনিট আগে
২৭ দিন ২০ ঘন্টা ১৩ মিনিট আগে