সিরাজগঞ্জে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) এর সহকারী পরিচালক মো.শামীম রেজার বাসায় নগদ টাকা ও ৫ভরি স্বর্ণালঙ্কার চুরির ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় পুলিশকে জানানোর পর তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং পুলিশী কার্যক্রম অব্যাহত আছে বলেও জানা গেছে।
গত (৮ মার্চ) শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টা হতে ১০ই মার্চ রাত ১১টা এই সময়ের মধ্য চুরির ঘটনাটি ঘটেছে বলে দাবী করছেন সহকারি পরিচালক শামীম রেজা।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, শামীম রেজা দীর্ঘদিন ধরে শহরের ধানবান্ধি হিলালী রোড জহুরুল ইসলামের তিন তলা বিল্ডিং এর ১ম তলায় ভাড়া থাকতেন। বিশেষ প্রয়োজনে গত ৮মার্চ শুক্রবার থেকে ১০মার্চ তারিখ পর্যন্ত তিনি ও তার স্ত্রী তাজরিন রেজা বাড়ীর বাইরে যান। বাহিরে থেকে এসে দেখতে পান গ্রীল কেটে স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে একটি চোরচক্র।
থানায় অভিযোগসূত্রে জানা যায়, গত (৬মার্চ) বুধবার শশুর বাড়ী আমার স্ত্রী তাজরিন রেজা পাবনার ঈশ্বরদী যায়। তারপর (৮মার্চ) শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে বাসার দরজা ও বারান্দার গেটে তালা দিয়া ঢাকায় আমার অফিসের কাজে যান।
কাজ শেষে (১০মার্চ) রোববার রাত ১১টার দিকে বাসায় ফিরে দেখে বারান্দার গ্রীল ও জানালার গ্রীল কাটা। তারপর রুমের ভিতরে ঢুকে দেখে রুমে থাকা
মালামাল এলোমেলো। স্টিলের আলমারী এবং প্লাস্টিকের ওয়ারড্রপের ড্রয়ার খোলা। তারার খোঁজাখুঁজি করিয়া দেখিতে পায় যে স্টিলের আলমারীর ড্রয়ারে রক্ষিত স্বর্ণের গহনা এবং প্লাস্টিকের ওয়ারড্রপের ড্রয়ারে রাখা নগদ টাকা নেই। তাৎক্ষনিকভাবে বাসার মালিক সহ আশে পাশের আরো অনেককে ডেকে উক্ত বিষয়ে জানাই ও দেখাই। অজ্ঞাত চোর/চোরেরা গত ০৮ মার্চ সকাল সাড়ে ৭টা হতে ১০ই মার্চ তারিখ রাত ১১.০০ টার মধ্যে এর যে কোন সময় আমার বাসার বারান্দার গ্রীল ও জানালার গ্রীল ভেঙ্গে ঘরের ভিতরে ঢুকে ঘরে থাকা চাবী দ্বারা স্টিলের আলমারী ও প্লাস্টিকের ওয়ারড্রপের ড্রয়ার খুলে মালামাল চুরি করেছে। চুরি হয়ে যাওয়া মালামাল হল নগদ ৯,৭০০/-টাকা, একটি ০৩ ভরি ওজনের স্বর্ণের চুর, একটি ০১ ভরি ওজনের স্বর্ণের চেইন, একজোড়া
০৪ আনা স্বর্ণের দুল, একটি ০৪ আনা ওজনের স্বর্ণের আংটি, মোট ০৪ ভরি ০৮ আনা ওজনের গহনা. যার মূল্য অনুমান ৪,৫০,০০০/-টাকা। সর্ব মোট চুরি যাওয়া মালামালের মূল্য অনুমান ৪,৫৯,৭০০/- (চার লক্ষ উনষাট হাজার সাতশত) টাকা।
এ বিষয়ে সদর থানার সাব ইন্সপেক্টর (এসআই) মো. মোস্তাকিন বলেন, ঘটনা জানার পর তাৎক্ষনিক পরিদর্শন করেছি। ওই বাসাতে কোন সিসি ক্যামেরা ছিল না। সহকারী পরিচালক স্যারকে সাথে নিয়ে আশেপাশের সকল সিসি ক্যামেরায় দেখে কোন ক্লু পাওয়া যাচ্ছে না। তবে সার্বক্ষনিক জিজ্ঞাসাবাদ ও
মনিটরিং চালানো হচ্ছে।
সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সিরাজুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্তনাধীন রয়েছে।
২ ঘন্টা ২৮ মিনিট আগে
২ ঘন্টা ৩০ মিনিট আগে
২ ঘন্টা ৩১ মিনিট আগে
২ ঘন্টা ৩৫ মিনিট আগে
২ ঘন্টা ৫৪ মিনিট আগে
২ ঘন্টা ৫৭ মিনিট আগে
২ ঘন্টা ৫৯ মিনিট আগে