গত ০৯/০৫/২০২৪ ইং তারিখ স্থানীয় গণমাধ্যম দৈনিক কক্সবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত “স্ত্রী কর্তৃক স্বামীকে বিবাহ বিচ্ছেদ” সংক্রান্ত প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিটি আমি প্রতিবাদকারীর দৃষ্টিগোচর হয়েছে। উক্ত বিজ্ঞপ্তিতে মা এ নাইন, পিতা— উছেন নাইন (উষা), মাতা—য়াইনু, সাং— দক্ষিণ মগপাড়া, চৌফলদন্ডী, কক্সবাজার কর্তৃক আমি প্রতিবাদকারীর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। বিজ্ঞপ্তিটি আমার মানহানি এবং আমাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য সংবাদপত্রে প্রকাশিত করেছে। তাই উক্ত প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিটির বিরুদ্ধে আমি তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
আমি প্রতিবাদকারী স্থানীয় চৌফলদন্ডী রাখাইন পাড়া দক্ষিণারাম বৌদ্ধ বিহার পরিচালনা কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং চৌফলদন্ডী দক্ষিণ রাখাইন পাড়া সমাজ পরিচালনা কমিটির বর্তমান সাধারণ সম্পাদক। স্থানীয়ভাবে এবং সামাজিকভাবে আমি প্রতিবাদকারীকে সকলে চিনে ও জানে। সেখানে আমি প্রতিবাদকারী মদ্যপ অবস্থায় উপরোক্ত মা এ নাইন’কে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের যে অভিযোগ তোলা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও হাস্যকরও বটে। কারণে—অকারণে তার পিতা—মাতা ও পরিবার বংশধরদের গালিগালাজ ও কটুক্তি করার যে অভিযোগ তোলা হয়েছে তাও সম্পূর্ণ মিথ্যা ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। আমি একজন সমাজ পরিচালক হিসেবে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের ও স্থানীয় জনসাধারণের এসব বিষয়ে বোধগম্য নয় এবং আমিও উক্ত ডাহা মিথ্যা, বানোয়াট অভিযোগ মেনে নিতে পারছি না।
প্রকৃত বিষয় হচ্ছে, গত ১৪/১১/২০১৮ ইং তারিখ উপরোক্ত মা এ নাইন এর সাথে বৌদ্ধ ধমীর্য় রীতিনীতি অনুসরণ করে আমি বৈবাহিক বন্ধনে আবদ্ধ হই। এরপর থেকে মা এ নাইন’কে আদর্শ স্ত্রীর মর্যাদা এবং তাহার ভরণ পোষন এবং যাবতীয় দায়—দায়িত্ব নিষ্ঠার সাথে পালন করে এসেছি। কিন্তু বিবাহের পর তার চলাফেরা বেপরোয়া এবং চারিত্রিকগত বৈশিষ্ট্য বিনষ্ট হয়ে উঠলে স্থানীয় ও সামাজিকভাবে তাকে সঠিক পথে আনার চেষ্টা করি। সেই সূত্রে তার সাথে আমার সাংসারিক মনোমালিন্য দেখা দিলে তাকে অনেকভাবে চেষ্টা করে সঠিক পথে ফেরাতে না পারায় স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে এবং সামাজিকভাবে গত ২৬/০৪/২০২৪ ইং তারিখ দুইজনই সাংসারিক জীবন থেকে আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। সেই থেকে আমরা উভয়ে আলাদাভাবে জীবন—যাপন করছি। সম্প্রতি তার একটি ফেসবুক একাউন্ট আমি চালাচ্ছি দাবি করে আমার বিরুদ্ধে বিভিন্নভাবে অভিযোগ তুলে। পরে ওই ফেসবুক একাউন্ট নিজেই ডিসএ্যাবল (নিস্ক্রিয়) করে দেয়। এতেই বুঝা যায় মা এ নাইন আমার বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত কুৎসা রটনা ও মানহানি করে যাচ্ছে।
প্রকৃত পক্ষে, মা এ নাইন আমাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে প্রতিনিয়ত মানহানি করে যাচ্ছে। সামাজিকগতভাবে আমার খ্যাতি ও সুনাম নষ্ট করার জন্য উদ্দেশ্যমূলকভাবে সংবাদ মাধ্যমে কুৎসা রটনা করছে। বিগত সাড়ে ৪ বৎসর আলাদা থাকার পরও সংবাদ মাধ্যমে আমার বিরুদ্ধে কুৎসা রটনা করা মানে আমার মানহানি করার তার সুষ্পষ্ট লক্ষ্য প্রতীয়মান। সূতরাং তার এই মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যে প্রণোদিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রচারে আমার মানহানি হয়েছে বিধায় আমি তার এই প্রতিবেদনে ক্ষুব্ধ। তার বিজ্ঞপ্তির বিরুদ্ধে আমি আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছি। সূতরাং মা এ নাইন এর প্রকাশিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কাউকে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য বিনীতভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি এবং প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি।
প্রতিবাদকারী
ক্যহিন ছেন
পিতা—মৃত মংহ্লা থোইন
সাং— দক্ষিণ রাখাইন পাড়া, চৌফলদন্ডী, কক্সবাজার।
সাবেক সাধারণ সম্পাদক—চৌফলদন্ডী রাখাইন পাড়া দক্ষিণারাম বৌদ্ধ বিহার পরিচালনা কমিটি
বর্তমান সাধারণ সম্পাদক—চৌফলদন্ডী দক্ষিণ রাখাইন পাড়া সমাজ পরিচালনা কমিটি।
১ ঘন্টা ৮ মিনিট আগে
২ ঘন্টা ৩১ মিনিট আগে
৩ ঘন্টা ১৩ মিনিট আগে
৩ ঘন্টা ১৬ মিনিট আগে
৩ ঘন্টা ৩০ মিনিট আগে