সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে নির্বাচনী সহিংসতায় পরাজিত প্রার্থী বদিউজ্জামান ফকিরের দুঃসম্পর্কের চাচা আব্দুল আলিম নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
রোববার দিবাগত রাতে ঢাকার একটি হাসপাতলে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। নিহত আব্দুল আলিম বেলকুচি উপজেলার কামারপাড়া গ্রামের মৃত হায়দার আলী ছেলে। আটকরা হলেন, একই গ্রামের চান মিয়া, রাসেল ও আবুল।
নিহতের স্বজন ও স্থানীয়রা জানায় বেলকুচি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আব্দুল আলিম চেয়ারম্যান প্রার্থী বদিউজ্জামান ফকিরের মোটরসাইকেল প্রতীকের কর্মি ছিলেন। ৮ই মে নির্বাচন ভোটগ্রহণ শেষে প্রতিদ্বন্দ্বী দোয়াত কলম প্রতীকের প্রার্থী আমিনুল ইসলামের সরকার বিজয়ী হন। বিজয়ী হওয়ার পর তার কর্মী চান মিয়া, রাসেল, আবুল বাবলু, মান্নান, সাদ্দাম ও খালেক মেম্বরের নেতৃত্বে আব্দুল আলীমের উপর হামলা চালানো হয়। তাকে বেধড়ক মারপিট করে গুরুতর আহত করে। ওইদিন তাকে উদ্ধার করে বেলকুচি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ হসপিটালে তাকে রেকর্ড করে চিকিৎসকরা। সেখান থেকে রোববার দিবাগত রাতে ঢাকায় নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
মোটর সাইকেল প্রতীকের প্রার্থী বদিউজ্জামান ফকির বলেন, নিহত আব্দুল আলীম আমার চাচা। নির্বাচনের আগে থানা চত্বরে দোয়াত কলমের প্রার্থী আমিনুল ইসলাম সরকার ঘোষণা দিয়েছিল আমার রক্ত নিয়ে হোলি খেলবে। সেটা করতে না পেরে আজ আমার কর্মীদের রক্ত নিয়ে হোলি খেলছে। আমি এই হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। ঘটনার সাথে জড়িতদের শাস্তির দাবি জানাই।
এ বিষয়ে জানতে দোয়াত কলম প্রতীকের প্রার্থী আমিনুল ইসলাম সরকারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন কেটে দেন।
বেলকুচি থানার ওসি মোহাম্মদ আনিসুর রহমান জানান, নির্বাচনের দিন রাতে দুপক্ষের মধ্য মারামারি হয়। এরা একে অপরের চাচাতো ভাই। তারা দুজন দুই প্রার্থীর সমর্থক ছিল। আব্দুল আলীম চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এ ঘটনার সাথে জড়িত তিনজনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
৩ ঘন্টা ৫২ মিনিট আগে
৩ ঘন্টা ৫৩ মিনিট আগে
৪ ঘন্টা ১৫ মিনিট আগে
৪ ঘন্টা ১৬ মিনিট আগে
৪ ঘন্টা ২৬ মিনিট আগে
৪ ঘন্টা ৫২ মিনিট আগে