আগামি ১৭ জুন ঈদুল আজহা তথা কোরবানির ঈদ। কোরবানি ঈদের প্রধান কাজ সামর্থ অনুযায়ী পশু কোরবানি দেয়া। তার আলোকে কক্সবাজার জেলায় এবারের ঈদে সাপ্তাহিক হাটসহ ছোট-বড় ৯৪টি কোরবানি পশুর হাট বসতে যাচ্ছে । এর মধ্যে স্থায়ী হাট রয়েছে ৪৮ টি এবং ঈদুল আজহা উপলক্ষে ৪৬টি। বাজারে ক্রেতা বিক্রেতা ও সর্বসাধারণের নিরাপত্তা বিবেচনায় এবার ৩ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহন করেছে প্রশাসন।
জানা গেছে, বাজারে কোরবানের পশু পরীক্ষার জন্য প্রাণী সম্পদ দপ্তরের পক্ষ থেকে থাকবে পশু টেষ্ট মেডিকেল টিম। জাল নোট সনাক্তকরণে বাজারে থাকছে বিশেষ জালনোট সনাক্তকরণ মেশিন। ছিনতাইকারীদের দৌরাত্ম্য বন্ধে এবং ক্রেতা- বিক্রেতাদের সার্বিক নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবে পুলিশের বিশেষ টিম।
কোরবানের বাজারে নিরাপত্তা ও সার্বিক বিষয়ে কক্সবাজারের স্থানীয় সরকার শাখার উপ পরিচালক এসএম ফেরদৌস ইসলাম বলেন- কোরবানের পশুর হাটের নানা বিষয় নিয়ে প্রস্তুতির জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের বিভিন্ন নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তারা নিয়ম অনুয়ায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। এছাড়া ক্রেতা-বিক্রেতাদের র্নিবিঘ্নের জন্য প্রতিটি বাজারে নিরাপত্তা জোরদারের ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। সর্বসাধারণ যাতে নির্বিঘ্নে পশু ক্রয় বিক্রয় করতে পারে সে ব্যাপারে পুলিশকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া হয়। প্রতিটি বাজারে ১টি করে পুলিশের মোবাইল টিম কাজ করবে পাশাপাশি সাদা পোশাকে ও বিশেষ পুলিশ সদস্যরা আলাদাভাবে মোতায়েন থাকবে।
তিনি বলেন -কক্সবাজার পৌরসভার পক্ষ থেকে একটি কোরবানের পশুর হাট বসানোর জন্য আবেদন করা হয়েছে , আমরা সুবিধাজনক স্থানে অস্থায়ী বাজার বসানোর অনুমতি প্রদান করেছি।
জানাযায়, এ বছর কক্সবাজার জেলায় ৯৪টি পশুর হাট বসছে। এরমধ্যে স্থায়ী বাজার ৪৮ টি, কোরবান উপলক্ষে ৪৬টি। উপজেলা ভিত্তিক অনুমোদিত বাজারের সংখ্যা হলো সদরে ১৪টি, রামুতে ১৩টি, চকরিয়ায় ১৬টি, পেকুয়ায় ৮টি, উখিয়ায় ৮টি, টেকনাফে ৭টি, মহেশখালীতে ৬টি, কুতুবদিয়ায় ৬টি রয়েছে। তবে বেসরকারি হিসাবে বাজারের সংখ্যা শতাধিক বলে জানা গেছে।
এদিকে সদরে ১৪টি কোরবানের পশুর হাট ইজারা হলেও প্রাণী সম্পদ অফিসের তথ্যমতে পশুর হাট বসছে ৭টি।
এদিকে গত বুধবার খরুলিয়া বাজারে শতাধিক গরু বিক্রি হয়েছে। গতকাল ছিল নিয়মিত হাটবারের পাশাপাশি কোরবানের পশুর হাট। ইতোমধ্যে খরুলিয়া বাজারে সহস্রাধিক গরু মহিষ মজুদ রয়েছে। গতবছর গরুর সারি প্রায় আধা কিলোমিটার পর্যন্ত সড়কজুড়ে ছিল। এ বছর প্রচুর গরু বাজারে সরবরাহ থাকলেও মাঝারি মানের গরুর দাম বেশি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে আগামী সপ্তাহে গরু বিক্রি বাড়তে পারে সদরের ঈদগাঁও বাজার, পিএমখালীর জুমছড়ি বাজার, রামুর কলঘর বাজার, মিঠাছড়ির কাটির রাস্তা বাজার, গর্জনিয়া বাজার, উখিয়ার রুমখাঁ বাজারসহ প্রায় সবকটি বাজারে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন বাজারে দেশীয় প্রচুর গরু মজুদ করেছে বিক্রেতারা। হাটগুলোতে ক্রেতা সাধারণের নিরাপত্তা জোরদারের পুলিশি টহল জোরদারের পাশাপাশি নতুন করে সাজানো হয়েছে।
আগামী সপ্তাহ থেকে কোরবানির পশুর হাট জমতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেন ইজারাদারগণ। এবারে ইজারা সহনীয় পর্যায়ে রাখতে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
৫৮ মিনিট আগে
২ ঘন্টা ২১ মিনিট আগে
৩ ঘন্টা ৩ মিনিট আগে
৩ ঘন্টা ২৫ মিনিট আগে
৪ ঘন্টা ১৮ মিনিট আগে
৪ ঘন্টা ৪৪ মিনিট আগে
১০ ঘন্টা ৩৯ মিনিট আগে
১৩ ঘন্টা ৩২ মিনিট আগে