কালিগঞ্জের কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন জামায়াত ইসলামীর ইফতার মাহফিল ও দোয়া অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় বোর্ড পরীক্ষায় সারা বাংলাদেশে 'আল ইসরা মাদরাসা'র ২য় স্থান অর্জন পীরগাছায় কর্মরত সাংবাদিকদে সম্মানে জামায়াতের ইফতার ও জায়নামাজ বিতরণ শেখ হাসিনাসহ ৭৩ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা আজ পবিত্র লাইলাতুল কদর রাজবাড়ীতে রাজবাড়ী জেলা বিএনপি ও রাজবাড়ী পৌর বিএনপির ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত ঢাকা কলেজ হাফেজ শিক্ষার্থীদের রমজানে তারাবি পড়ানোর প্রশান্তিমাখা অনুভূতি বগুড়ার দুপচাচিয়া উপজেলায় আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ !!! মধুপুরে বিএনপির চেয়ারপার্সনের রোগমুক্তি কামনায় দোয়া ও ইফতার মাহফিল আশাশুনিতে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালন বুধহাটায় বাস-ইঞ্জিন ভ্যান সংঘর্ষে ভ্যান চালক নিহত নড়িয়ায় চরলাউলানী সমাজ কল্যাণ ফাউন্ডেশনের ঈদ উপহার বিতরণ বানারীপাড়ার ৫ ইউনিয়নে জেলেদের মাঝে ভিজিএফ চাল বিতরন সুন্দরবন উপকূলে জেলেদের জালে মিলছেনা মাছ, নিরানন্দে কাটবে ঈদ লাখাইয়ে প্রতি বছরের ন্যায় গঙ্গাজলে (বেলেশ্বরী) পূজা অনুষ্ঠিত। এশিয়ার দেশগুলোর ভাগ্য একে অপরের সঙ্গে জড়িত : প্রধান উপদেষ্টা রেমিট্যান্সে নতুন ইতিহাস, ২৬ দিনে এলো ৩ বিলিয়ন ডলার যমুনা সেতুতে ২৪ ঘণ্টায় দুই কোটি ৭৯ লাখ টাকা টোল আদায় মেয়র ঘোষণা হলেও শপথ নিয়ে সংশয়, যা বললেন ইশরাক অসহায় আট শত পরিবারের ঈদের হাসি ফুটিয়েছে হোসাইন ইয়ুথ ফাউন্ডেশন

কোটা সংস্কার চাই | মোহাম্মদ আল আমীন

বর্তমান সময়ের সবচেয়ে আলোচিত এবং টক অব দা কান্ট্রিতে পরিণত হয়েছে 'কোটা-বিরোধী আন্দোলন'। এক মাসেরও বেশি সময় ধরে চলমান এই আন্দোলনে কোটা-প্রথার যৌক্তিক সমাধান চাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। সরকারের উপরিমহল চলমান এ-আন্দোলনে যে ভাবনায় আছে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। আসুন জেনে নেয়া যাক কোটা কী, কেন এই আন্দোলন এবং এর যৌক্তিকতাই বা কতোটুকু। 


সরকারি চাকরিতে অনগ্রসর ও তুলনামূলক পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে সম্মুখসারিতে নিয়ে আসার জন্য পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই কমবেশি কোটার প্রচলন আছে। বাংলাদেশে কোটা ব্যবস্থার সূচনা হয় ১৯৭২ সালে। মুক্তিযুদ্ধের পরপরই ক্ষতিগ্রস্ত গোষ্ঠীকে বিশেষ সুবিধা দেওয়ার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থার চালু করেন। সেসময় সরকারি চাকরিতে ৪০ শতাংশ জেলা কোটা, ১০ শতাংশ নারী কোটা, ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধাদের উপহার হিসেবে মুক্তিযোদ্ধা কোটা এবং শুধু ২০ শতাংশ নিয়োগ দেওয়া হতো মেধার ভিত্তিতে। 


পৃথিবীর কোনো দেশেই কোটা চিরস্থায়ী কোনো পদ্ধতি না। এটি প্রয়োজন অনুসারে বারবার সংস্কার করা হয়। উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে, সরকার 'ক' নামক জেলাকে ১৯৭২ সালে পিছিয়ে পড়া অঞ্চল হিসেবে বিবেচনা করেছিলেন, কিন্তু ৫৪ বছর পর আজকে সে জেলা উন্নত হতে পারে। সেক্ষেত্রে নতুন সংস্করণে বর্তমান প্রেক্ষাপটে কোন জেলা শিক্ষা-দীক্ষা, বাসস্থান, মৌলিক চাহিদায় পিছিয়ে রয়েছে তা পুনরায় সরকারকে ভাবতে হবে।


সরকারি চাকরিতে মাত্রাতিরিক্ত কোটাব্যবস্থার প্রতিবাদে সর্বস্তরের শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত হয়েছিল 'কোটা সংস্কার আন্দোলন'। আন্দোলনকারীরা কখনোই কোটা বাতিলের পক্ষে ছিলেন না। তারপরেও সরকার সব ধরনের কোটাকে বাতিল করে পরিপত্র জারি করে। ২০২৪ সালে এসে কোনো একজনেন রিটের পরিপ্রেক্ষিতে ৫ জুন হাইকোর্ট সেই পরিপত্রকে অবৈধ ঘোষণা করে। ফলে সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা ৩০ শতাংশ, নারী কোটা ১০ শতাংশ, জেলা কোটা ১০ শতাংশ, উপজাতি কোটা ৫ শতাংশ এবং প্রতিবন্ধী কোটা ১ শতাংশ রেখে মোট ৫৬ শতাংশই কোটার ভিত্তিতে এবং বাকি ৪৪ শতাংশ রাখা হয় সাধারণ মেধাবীদের জন্য। 


যে বৈষম্যের জন্য মুক্তিযুদ্ধের সূচনা এবং পশ্চিম পাকিস্তানের হাত থেকে আমাদের স্বাধীনতা লাভ, স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও এই বৈষম্য পুরোপুরি অযৌক্তিক। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহাল রাখলেও 'বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের' ব্যানারে সারাদেশের শিক্ষার্থীরা তীব্র আন্দোলন করছে। ১৮ সালের পরিপত্রে শুধু প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরিতে কোটাব্যবস্থা বাতিল করা হয়, কিন্তু বর্তমানে শিক্ষার্থীরা সকল গ্রেডে কোটা বাতিল করে নির্বাহী বিভাগের মাধ্যমে জাতীয় সংসদ থেকে আইন পাশ করানোর কথা বলছে, যাতে পরবর্তীতে কেউ রিট করলেও হাইকোর্ট তা অবৈধ ঘোষণা করতে না পারে। তবে ১৮ সালের মতো কোটা বাতিলের ফাঁদে পড়তে চায় না সাধারণ শিক্ষার্থী। কোটা বাতিল নয় বরং সংবিধান অনুযায়ী পিছিয়ে পড়া অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জন্য তা-যৌক্তিক মাত্রায় রাখা যেতে পারে। তবে কোনোভাবেই তা ৫ শতাংশের বেশি নয়। সরকার কাকে কত শতাংশ কোটা দিবে সে বিষয়ে কমিশন করে সিদ্ধান্ত নিতে পারে। শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা দ্রুত সরকার তাদের দাবি অনুযায়ী আইন পাশ করবে এবং মেধাভিত্তিক দুর্নীতিমুক্ত যোগ্য আমলার মাধ্যমে সরকারের যে 'স্মার্ট বাংলাদেশ' ভিশন, সেদিকে আরও একধাপ অগ্রসর হবে। 





মোহাম্মদ আল আমীন 

শিক্ষার্থী, অনার্স ৩য় বর্ষ, বাংলা বিভাগ। 

হাজী মোহাম্মদ মুহসীন হল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

আরও খবর


67dfae5b4a898-230325124651.webp
বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ - কতটা প্রমাণযোগ্য?

৪ দিন ১৬ ঘন্টা ৪৯ মিনিট আগে