"রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশোধিত উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় প্রথম দুটো বিল্ডিং এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন।" বিছানায় মল ত্যাগ করার ঘটনায় মাদকাসক্ত বাবার হাতে ছেলে খুন গাজীপুর জেলা ছাত্র কল্যাণ পরিষদের নতুন কমিটি ঘোষণা নাগেশ্বরী পৌরসভার সাবেক মেয়র মোহাম্মদ হোসেন ফাকু গ্রেফতার লেক্সাস গার্ডেনে বানিয়াচং মডেল প্রেসক্লাবের ৪র্থ বার্ষিক আনন্দ ভ্রমণ ঈদে নতুন নোট কবে থেকে পাওয়া যাবে, মিলবে ব্যাংকের যেসব শাখায় অন্তর্বর্তী সরকারের কারও নামে কোন স্থাপনা হবে না: ওয়াহিদউদ্দিন শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক মানের খুনি: সালাউদ্দিন আহমেদ ৬২ শতাংশ ভারতীয় শেখ হাসিনাকে তাড়িয়ে দিতে চান লামায় ২৬ রাবার শ্রমিককে অপহরণ ঢাকা থেকে ফুলবাড়ী এসেও গ্রেফতার এড়াতে পারলেন না কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেত্রী দোলনা আক্তার পরিকল্পিতভাবে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলা ধর্মপাশা অপারেশন ডেভিল হান্টে যুবলীগ নেতা গ্রেফতার দিনাজপুরে সাংবাদিকদের সাথে নবাগত পুলিশ সুপারের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত পুনর্গঠনের জন্য গাজার 'দখল' নিতে পারে যুক্তরাষ্ট্র: প্রতিবাদ জবি শিক্ষার্থীদের আধুনিক রাষ্ট্রে সবার মাঝে জ্ঞান-বিজ্ঞানের পাশাপাশি ইসলামের শান্তির বার্তা পৌঁছিয়ে দিতে হবে : জবি উপাচার্য নাচ গান কবিতায় জবিতে বসন্ত বরণ শহীদ সাজিদের স্মরণে জবিতে ছাত্র অধিকার পরিষদের ক্রিকেট টুর্নামেন্ট নড়িয়ার মিনি চিড়িয়াখানায় অবৈধভাবে রাখা ৩১টি বিভিন্ন বন্যপ্রাণী উদ্ধার ও অবমুক্ত আশাশুনি প্রেসক্লাবের প্রয়াত সাংবাদিকদের স্মরণে স্মরণসভা ও দোয়া অনুষ্ঠান

ফুটবলের উন্নয়নে সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে সরকার’

দেশচিত্র নিউজ ডেস্ক

প্রকাশের সময়: 13-07-2024 02:20:38 pm


দেশের ফুটবল উন্নয়নে সরকারের সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


১৩ জুলাই, শনিবার বিকেলে বাংলাদেশ আর্মি স্টেডিয়ামে শেখ হাসিনা আন্তঃব্যাংক ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল শেষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা জানান তিনি।


প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার বাবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ফুটবল খেলতেন, আমার ভাই শেখ কামাল ও শেখ জামালও ফুটবল খেলতেন। এখন আমাদের নাতি নাতনীরাও ফুটবল খেলছে। দেশের এই জনপ্রিয় খেলার উন্নতির লক্ষ্যে সব ধরনের সহযোগিতা সরকার অব্যাহত রাখবে।


তিনি আরও বলেন, অনেকে খেলাধুলার মাধ্যমে বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরেন। খেলাধুলার মাধ্যমে প্রতিযোগিতার চর্চা গড়ে ওঠে। এতে নিজেকে দেশের জন্য যোগ্য করে গড়ে তোলা যায়। বাংলাদেশ অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। এ ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।


খেলাধুলার প্রসারে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যখন সরকারে এসেছি তখন থেকে আমার প্রচেষ্টা, বাংলাদেশ যেন খেলাধুলায় আরও এগিয়ে যায়, ছেলেমেয়েরা আরও বেশি মনোযোগী হয়। বাংলাদেশের প্রত্যেকটা উপজেলায় আমরা খেলার মাঠ করে দিচ্ছি, সেটা হলো শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম।


শেখ হাসিনা বলেন, আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি সবাই যেন খেলাধুলার প্রতি আরও মনোযোগী হয়।


প্রশিক্ষণের ওপর গুরুত্বারোপ করে সরকারপ্রধান বলেন, প্রশিক্ষণের মাধ্যমে খেলোয়াড়দের উপযুক্ত করে গড়ে তোলা, এটা সবচেয়ে বেশি দরকার। সেজন্য আমরা প্রত্যেক বিভাগে একটি করে বিকেএসপি করে দিচ্ছি।


শেখ হাসিনা বলেন, আমরা চাই খেলাধুলা সব দিক থেকে দেশ এগিয়ে যাক। আজকে ডিজিটাল বাংলাদেশ আমরা করেছি।


প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা আমাদের অর্থনীতিকে উন্নত করেছি, দারিদ্র্যের হার আমরা অর্ধেকের বেশি কমিয়ে এনেছি, এখন ১৮ দশমিক ৭ ভাগ। অতি দারিদ্র্যের হার ২৫ ভাগের ওপরে ছিল, তা ৫ দশমিক ৬ ভাগে নামিয়ে এনেছি। ইনশাল্লাহ, এইটুকু থাকবে না। বাংলাদেশে কোনো মানুষ অতিদরিদ্র থাকবে না। প্রত্যেককে বিনা পয়সায় ঘর করে দিচ্ছি, লেখাপড়ার বই দিচ্ছি, বৃত্তি দিচ্ছি, সব ধরনের সহযোগিতা করে যাচ্ছি।


শেখ হাসিনা আশা প্রকাশ করে বলেন, আন্তর্জাতিক পর্যায়েও বাংলাদেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, এই ধারা অব্যাহত রেখে আমরা এগিয়ে যাব। বাংলাদেশ অপ্রতিরোধ্য গতিতে বিশ্ব দরবারে এগিয়ে যাবে, উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে।


খেলাধুলায় বাংলাদেশ ভালো করছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সারা বাংলাদেশে মেয়েদের বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট এবং ছেলেদের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ফুটবল টুর্নামেন্ট প্রতিযোগিতা আছে। সেখান থেকে ধীরে ধীরে ভালো খেলোয়াড় উঠে আসছে। তারা শুধু দেশে না, দেশের মাটি পার হয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশের জন্য মর্যাদা বয়ে নিয়ে আসছে। বাংলাদেশকে খেলাধুলার মাধ্যমে বিশ্বের কাছে তুলে ধরা, এটা তারা করছে।


ফুটবল টুর্নামেন্টটি আয়োজনের জন্য বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশনকে ধন্যবাদ জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, এই খেলাধুলার মধ্যে দিয়ে এক সময় উপযুক্ত খেলোয়াড় গড়ে উঠবে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খেলাধুলা করে কোনোদিন হয়ত ফুটবলে আমরা চ্যাম্পিয়নও হয়ে যেতে পারি। সেটাই আমাদের প্রচেষ্টা থাকবে।


অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকসের (বিএবি) চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার।


টুর্নামেন্টের ফাইনালে স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানিকে ২-০ হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় ইসলামী ব্যাংক প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি।


এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফাইনাল ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধ এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।

আরও খবর