অস্থির
বিশ্ব জ্বালানি বাজার। প্রতি মাসেই বাড়ছে দাম। ফলে ভর্তুকি দিয়ে
আমদানিনির্ভর এই পণ্য বিক্রি করায় অতিরিক্ত লোকসান দুশ্চিন্তায় ফেলেছে
সরকারকে। এমন পরিস্থিতিতে জ্বালানির দাম আপাতত আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে
সমন্বয় করতে যাচ্ছে সরকার।
বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
তিনি বলেন, আমাদের অর্থনীতি ঠিক জায়গায় আছে। আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির দাম অনেক বেড়ে গেছে। যেগুলো আমরা ব্যবহার করি, সেগুলোতে সরকার ভর্তুকি দিয়ে আসছে। আমরা কৃষিতে ভর্তুকি দেই, জ্বালানিতে ভর্তুকি দেই। এভাবে ভর্তুকির পরিমাণ বাড়ছে। করোনার কারণে বিশ্বব্যাপী পণ্য পরিহনের বেশ কয়েকটি অপ্রতাশিত খাতে খরচ বেড়েছে। এর বেশিরভাগই স্বাস্থ্য নিরাপত্তা সংক্রান্ত। ফলে জ্বালানি তেলের দাম ব্যাপকহারে হারে বাড়ছে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, সারাবিশ্বে জ্বালানির দাম বাড়ার কারণেই আমাদের এখানেও বাড়ছে। এখানে আমাদের কোনো হাত নেই। বিশ্ববাজারে দাম সবসময় বাড়তি। সবসময়ই জ্বালানি তেলে ভর্তুকি দিয়ে চলতে হয়। কিন্তু ভর্তুকিতেও একটা লিমিট রয়েছে, কারণ এজন্য আলাদা বরাদ্দ থাকে। এজন্য সরকার আপাতত আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করতে যাচ্ছে। সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে শিগগিরই এই সিদ্ধান্ত আসবে। জ্বালানি বা এলএমজি আমদানিতে সরকারকে অনেক বেশি ব্যয় করতে হচ্ছে। কারণ দাম বেড়ে গেছে। এটা নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের বেশ কয়েকটি বৈঠক হয়েছে। উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই, এটাই বাস্তবতা।
তিনি বলেন, তেল আমদানির এফওবি প্রাইস (জাহাজে উঠানো পর্যন্ত দাম), কিন্তু সিএনএ প্রাইস (পণ্য খালাসে করে গ্রাহক পর্যন্ত পৌঁছানোর দাম) এতো বেড়েছে কী বলবো! একদেশ থেকে আরেক দেশে জ্বাহাজ গেলে, যদি সেই জাহাজের কাউকে করোনা আক্রান্ত পাওয়া যায়, তাহলে পুরো জাহাজের সবাইকে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বাধ্য করা হচ্ছে। সেটা লং টাইমের জন্য। এই যে অপ্রত্যাশিত বাড়তি খরচ, তা কভার করার জন্য কোম্পানিগুলো বেশি অর্থ চার্জ করছে।
তিনি আরও বলেন, এতেই ব্যয় অনেক বেড়ে গেছে। বিশ্ব বাজারে বাড়লে লোকাল বাজারে কী করতে হবে। আমরা কখনো বিশ্ব বাজারের চাইতে বেশি দামে জ্বালানি তেল বাজারে সরবরাহ করিনি। আমাদেরকে ভর্তুকী দিয়ে চলতে হয়। কিন্তু ভর্তুকীতেও একটা লিমিট রয়েছে, কারণ এজন্য আলাদা বরাদ্দ থাকে। কি হবে সেটা এখনও জানি না। সরকার যখন সিদ্ধান্ত নেবে, তখন জানা যাবে। এক্ষেত্রে অর্থমন্ত্রণালয়ের পরামর্শ চাইলে দেওয়া হবে। কিন্তু সেটা সময়ই বলে দেবে কী মতামত দেবো।
বিদেশি বিনিয়োগ নিয়ে এক প্রশ্নের জনাবে তিনি বলেন, দেশে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগের একটি সম্ভবনা তৈরি হয়েছিল। জাপানের একটি বড় বিনিয়োগও এসেছিল। এরপর করোনায় সবকিছু পিছিয়ে দিয়েছে। সৌদি থেকে বড় বিনিয়োগের একটি প্রক্রিয়া প্রায় শেষ পর্যায়ে ছিল। কিন্তু করোনায় তা আর আলোর মুখ দেখেনি। এখন বিনিয়োগ আসবে কী না- তা নির্ভর করছে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার ওপর। মানুষ ফিজিক্যালি আসতে না পারলে বিনিয়োগ আসবে কী করে।
১৬ ঘন্টা ৪০ মিনিট আগে
৩ দিন ২ ঘন্টা ১৮ মিনিট আগে
৪ দিন ১৮ মিনিট আগে
৪ দিন ২১ ঘন্টা ১৬ মিনিট আগে
৪ দিন ২৩ ঘন্টা ১৫ মিনিট আগে
৪ দিন ২৩ ঘন্টা ১৯ মিনিট আগে
৬ দিন ৫৪ মিনিট আগে
৭ দিন ১ ঘন্টা ৫৮ মিনিট আগে