রংপুরের পীরগাছায় পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী বিথী আক্তারকে (২২) সবজি কাটা বটি দিয়ে কোপ মারেন স্বামী সেলিম মিয়া (৩১)। এতে বিথী আক্তারের ডান চোখের নিচে গালের উপরে লেগে গুরুত্বর রক্তাক্ত কাটা জখম হয়। বিথীর রক্তাক্ত জখম দেখে তার শাশুড়ি সেলিনা বেগম এগিয়ে আসলে তাকেও তার হাতে থাকা বটি দিয়ে মাথার উপরে বামপাশে চোট মারেন। বউ-শাশুড়ির চিৎকারে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান।
ঘটনাটি ঘটে গত ১৬ সেপ্টেম্বর উপজেলার পারুল ইউনিয়নের পূর্ব পারুল গ্রামের খলিল মিয়ার বাড়িতে। পরে ১৭ সেপ্টেম্বর বিথীর বাবা আবু বক্কর সিদ্দিক বাদি হয়ে সেলিম মিয়াকে আসামি করে পীরগাছা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-২৫, জিআর ২০৪।
সূত্রে জানা যায়, তিনবছর আগে পূর্ব পারুল গ্রামের খলিল মিয়ার ছেলে সেলিম মিয়ার সাথে একই উপজেলার ছাওলা ইউনিয়নের রতনপুর গ্রামের আবু বক্কর সিদ্দিকের মেয়ে বিথীর পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর তারা সুখের সংসার করে আসছিল। সংসার জীবনে তাদের ঘরে এক কন্যাশিশু রয়েছে। বিথী আবারও পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা।
কিছুদিন আগে বিথী ও তার শাশুড়ি সেলিনা বেগম মিলে আসামি সেলিম মিয়াকে তার অজান্তে ‘বিষ খাওয়াইছে’ এমন অভিযোগ তুলে সেলিম মিয়া তার স্ত্রী বিথী আক্তারকে মারপিট ও নির্যাতন করতে থাকে। এভাবে চলার পর ঘটনারদিন গত ১৬ সেপ্টেম্বর দুপুরে বিথী তার সাংসারিক কাজ করার সময় সেলিম মিয়া তাকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। তাকে গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে ক্ষিপ্ত হয়ে ঘর থেকে ধারালো বটি দিয়ে তার স্ত্রী ও গর্ভধারণী মাকে চোট মেরে গুরুত্বর জখম করে।
বিথীর মামা হাফিজার রহমান জানান, বিথীর অবস্থা গুরুত্বর হওয়ায় তাকে রংপুর থেকে ঢাকার একটি হাসপাতালে রেফাট করা হয়েছে।
পীরগাছা থানা ওসি (তদন্ত) নাহিদ ইসলাম জানান, এবিষয়ে একটি মামলা হয়েছে। আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
১৯ ঘন্টা ৩৩ মিনিট আগে
২০ ঘন্টা ১৭ মিনিট আগে
২২ ঘন্টা ৫ মিনিট আগে
২২ ঘন্টা ৬ মিনিট আগে
২২ ঘন্টা ৪৮ মিনিট আগে
২২ ঘন্টা ৫৫ মিনিট আগে