বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) নির্মাণকাজের নিয়ন্ত্রণে একচ্ছত্র প্রভাব বিস্তার করছে একটি ‘সিন্ডিকেট’। অভিযোগ উঠেছে, উপ-প্রকৌশলী মুরশীদ আবেদিনের নেতৃত্বে গড়ে ওঠা এই চক্র ঘুরেফিরে একই ঠিকাদারকে কাজ পাইয়ে দিচ্ছে। ঠিকাদার মনুকে সামনে রেখে সিন্ডিকেটটি একক আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করেছে বলে অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, একাধিক কাজ ঘুরেফিরে কিছু নির্দিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের হাতেই যাচ্ছে। এতে প্রতিযোগিতার পরিবেশ যেমন ব্যাহত হচ্ছে, তেমনি স্বচ্ছতাও প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে।
জানা গেছে, উপ-প্রকৌশলী মুরশীদ আবেদিন নিজে ও ঘনিষ্ঠদের মালিকানাধীন তিনটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে নিয়মিত কাজ পেয়ে আসছেন। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো—ধারা এন্টারপ্রাইজ, আমেনা কনস্ট্রাকশন এবং এমএস মাকিন ট্রেডার্স। এমএস মাকিন ট্রেডার্স প্রতিষ্ঠানটি মুরশীদের ভাতিজার নামে হলেও এর নিয়ন্ত্রণ তাঁর হাতেই। আমেনা কনস্ট্রাকশনের মালিক আওলাদ হোসেন মনু।
কেয়ামতে পাপীদের বিরুদ্ধে চার সাক্ষীকেয়ামতে পাপীদের বিরুদ্ধে চার সাক্ষী
নির্মাণকাজে অনিয়মের অভিযোগ করে কয়েকজন ঠিকাদার জানান, টেন্ডারে এমন সব শর্ত রাখা হয়, যা অনেকের পক্ষে পূরণ করা সম্ভব নয়। কাগজ জমা দেওয়ার পরও অংশগ্রহণকারীদের রেট আগেভাগেই জানিয়ে দেওয়া হয়, যেন পছন্দের ঠিকাদার মাত্র এক-দুই টাকা কম দিয়ে কাজটি নিশ্চিত করতে পারে।
দলিলপত্র ঘেঁটে দেখা যায়, গত এক বছরে এমএস মাকিন ট্রেডার্স ১৪ লাখ টাকার ৮টি কাজ পেয়েছে। ধারা এন্টারপ্রাইজ পেয়েছে ৫১ লাখ টাকার অস্থায়ী গ্যারেজ নির্মাণের কাজ, যা নির্ধারিত সময়ের চেয়ে দ্বিগুণ সময় নিয়ে শেষ হয় এবং প্রকল্পের বিল বাড়ানো হয়। ১৬ লাখ টাকার পুলিশ বক্স নির্মাণের কাজ দুই ধাপে টেন্ডার করে দেওয়া হয় মনুকে, যা নিয়মবহির্ভূত। তাপসী রাবেয়া হলে ড্রেন নির্মাণের কাজ পেয়েছে আমেনা কনস্ট্রাকশন, যার মূল্য ২১ লাখ টাকা। বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি মাত্র দুই কক্ষবিশিষ্ট ভবনের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৩ লাখ টাকা এবং সুফিয়া কামাল হলের পাশে ড্রেন নির্মাণে খরচ দেখানো হয়েছে ১৪ লাখ টাকা। সবকটি প্রকল্পেই ঘুরেফিরে দেখা গেছে ওই তিনটি প্রতিষ্ঠানের নাম।
এ বিষয়ে ঠিকাদার আওলাদ হোসেন মনু বলেন, ‘আমি বিভিন্ন লোকের নামে কাজ করি।’ পাশে থাকা একজন ঠিকাদারকে দেখিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘তার নামেও কাজ করেছি।’
তিনি দাবি করেন, ‘মুরশীদ আবেদিন আমার বস। আমি ওপেন বিডিংয়ের মাধ্যমেই কাজ করি।’
পিএসজির ট্রেবলে বাধা ইন্তারপিএসজির ট্রেবলে বাধা ইন্তার
অন্যদিকে, উপ-প্রকৌশলী মুরশীদ আবেদিন সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমি কাউকে কাজ পাইয়ে দিই না। মনু অনেক কাজ পায় না। সবকিছু নিয়ম মেনেই হচ্ছে। তবে আমি ভবিষ্যতে তাকে আর কোনো কাজ দেব না।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মাদ তৌফিক আলম বলেন, ‘আমি নতুন এসেছি, তাই সবকিছু জানি না। তবে আপনারা যদি তথ্য দেন, আমি অবশ্যই তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব।’
৬ ঘন্টা ৪৬ মিনিট আগে
৮ ঘন্টা ৩ মিনিট আগে
৮ ঘন্টা ৩২ মিনিট আগে
৯ ঘন্টা ৪৮ মিনিট আগে
১০ ঘন্টা ১৫ মিনিট আগে
১০ ঘন্টা ২০ মিনিট আগে
১০ ঘন্টা ২৬ মিনিট আগে