লাখাই উপজেলা পরিষদে কর্মরত মোহনদাস নানা অনিয়ম, দুর্নীতির অভিযোগ।
লাখাই উপজেলা পরিষদে কর্মরত মোহনদাস এর বিরুদ্ধে নানাঅনিয়ম, দূর্নীতি,স্বেচ্ছাচারিতা ও সরকারি সম্পত্তি দখলের অভিযোগ।
এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বরাবরে লিখিত আবেদন পত্র দাখিল করেছেন ভুক্তভোগী উপজেলা পরিষদ কর্মচারী ও ছাত্র জনতার পক্ষে মোফাক্কারুল হায়দার নামে এক ভুক্তভোগী।
লিখিত আবেদন পত্র সূত্রে জানা যায় উপজেলার পরিষদে কর্মরত সিএ টু উপজেলা চেয়ারম্যান মোহনদাস তথ্য গোপন করে বানিয়াচং উপজেলার স্থায়ী বাসিন্দা হয়েও উপজেলা পরিষদ এর সিএ টু উপজেলা চেয়ারম্যান হিসাবে নিয়োগ পান।এ ক্ষেত্রে সংসদ সদস্য এডভোকেট মোঃ আবু জাহির ও সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এডভোকেট মুশফিউল আলম আজাদকে৫ লক্ষ টাকা দিয়ে ম্যানেজ করে স্থানীয় বাসিন্দাদের বন্চিত করে নিয়োগ লাভ করেন। লাখাইয়ে সিএ টু উপজেলা চেয়ারম্যান হিসাবে নিয়োগ পেয়েই তিনি নামা অপকর্মে, জোরজবরদস্তি, দূর্নীতি সহ বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িত হয়ে পড়েন।অভিযোগে আরোও জানা যায় একজন সরকারি কর্মচারী হয়েও তিনি উপজেলা পরিষদ এর পুকুর, জলাশয়, চাষাবাদযোগ্য জমি অবৈধভাবে প্রভাব খাটিয়ে দখলে নিয়ে যায় এবং জনৈক মহিলার ২ টি ছাগল মেরে ফেলে কিন্তু ভয়ে তাঁর বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস পায়নি।মোহনদাস উপজেলা পরিষদ এর বিভিন্ন প্রজাতির গাছপালা কেটে বিক্রি করে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন এবং ঘরের আসবাবপত্র তৈরি করেছেন।তিনি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে বেইজ্জতি করেছেন এবং তার ভয়ে তটস্থ ছিল অনেক কর্মকর্তা।মোহনদাস উপজেলা পরিষদ এর কোয়ার্টার এর বসবাস করলেও শুরু থেকে সেপ্টেম্বর /২৪ পর্যন্ত কোন ভাড়া কর্তন করেননি।
উপজেলা কৃষি অফিসের বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণে অংশ নিয়ে নানা সুবিধা গ্রহণ করেছেন। স্থানীয় নির্বাচনে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এডভোকেট মুশফিউল আলম আজাদ এর পক্ষে প্রচারণা চালানো ও বিভিন্ন ভাবে কাজ করেছেন। এছাড়াও এন্তার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে।
এ বিষয়ে উপজেলা পরিষদ এর সিএটু উপজেলা চেয়ারম্যান মোহনদাস এর সাথে আলাপ কালে জানান আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদা সুলতানা এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান এ অভিযোগ এর একটি অনুলিপি আমার বরাবরে প্রেরণ করা হয়েছে। আমি বিষয়টি তদন্তের জন্য উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছি। প্রতিবেদন এর প্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।