প্রাচীনকালে গ্রাম-বাংলায় ঢেঁকির ব্যবহার ছিল ব্যাপক। ধান ভানা,পৌষ পার্বনে বাহারী রকমের পিঠা তৈরীর জন্য চালের ছাতু(গুড়া) তৈরী করতে ঢেঁকি ছাড়া আর কোন যন্ত্র ছিল না।ধান ঘেকে চাল তৈরী করার একমাত যন্ত্র ছিল ঢেঁকি।
ভোর মসজিদে আযান দেওয়ার সাথ সাথে শুরু হয়ে যেত ঢেঁকিতে ধান ভানার ধুম। ঢেঁকির ধুপধাপ শব্দে মুখরিত হয়ে উঠতো প্রতিটি গ্রাম। ঢেঁকি দিয়ে ধান ভানার কাজটি করতো মূলত মহিলারা।ঢেঁকির যুগের মহিলাদের মধ্যে কোন অলসতা দেখা যেত না। ঢেঁকের যুগের মহিলাদের মধ্যে বিলাসীতা বলতে কোন কিছু ছিল না।তারা ছিল স্বল্প শিক্ষিত। তাদের মধ্যে আবার কেউ বিদ্যালয়ের কাছেও যান নি।
বর্তমানে যান্ত্রিকযুগে হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহি ধান ভানার একমাত্র যন্ত্র ঢেঁকি। হাজারো গ্রাম খুঁজে দেখা মিলেনা ঢেঁকির। নিজের কর্মদায়িত্ব পালন করতে গতকাল গিয়েছিলাম নেত্রকোণা জেলার পূর্বধলা বিল কাউসি গ্রামের কেনু মেম্বারের বাড়িতে। ঘরের বারান্দায় দেখ মিললো একটি ঢেঁকি। কৌতুহল নিয়ে একটি ছবি তুলে নিলাম।
সত্তর-আশি দশকে যারা জন্ম গ্রহণ করেছে তারা অল্প সংখ্যক ঢেঁকি দেখলেও যারা নব্বই দশকে জন্ম গ্রহণ করছে মনে হয় ৯৯% লোক ঢেঁকি দেখেনি। বর্তমান যুগের ছেলে-মেয়েরা ঢেঁকি বলে কাঠের যন্ত্র ছিল যা দিয়ে ধান ভানা,পিঠা তৈরার চালের ছাতু তৈরী করা হতো তা হয়তো অনেকই জানে না বা চিনে না।
আধুনিকযুগে বিভিন্ন যন্ত্রের সাথে তাল মিলাতে না পেরে হারিয় যাচ্ছে গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহি ধান ভানার যন্ত্র ঢেঁকি। এখনও কোন রোগী চিকিৎসার জন্য ডাক্তারের নিকট গেলে পথ্য হিসাবে ঢেঁকি ছাঁটা চালের ভাত খাওয়ার পরামর্শ দেন।বড়ই পরিতাপের বিষয় সে ঢেঁকি ছাঁটা চাল আর মেলানো যায় না।
ভবিষ্যত বংশধরদের চিনার জন্য ঢেঁকিকেও যাদুঘরে রাখা প্রয়োজন।যাতে করে আমাদপর সন্তানেরা জানতে পারে কৃষকের ঘরের ধান ভানার ঢেঁকি নামের একটি যন্ত্র ছিল যা আমাদের পূর্বপুরুষেরা ব্যবহার করতেন।
৭ দিন ১৮ ঘন্টা ১৮ মিনিট আগে
৮ দিন ৮ ঘন্টা ৩৬ মিনিট আগে
১০ দিন ৭ ঘন্টা ৩৮ মিনিট আগে
১৩ দিন ১০ ঘন্টা ৪৬ মিনিট আগে
১৮ দিন ২১ ঘন্টা ১০ মিনিট আগে
২৩ দিন ৬ ঘন্টা ৫৬ মিনিট আগে
২৩ দিন ৭ ঘন্টা ২৪ মিনিট আগে
২৩ দিন ২১ ঘন্টা ১০ মিনিট আগে