ইসরায়েলি হামলার বিরুদ্ধে সৌদির প্রতিবাদ ঝিনাইদহে মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে জেলা বিএনপির র‍্যালি মাগুরার রিপোটার্স ইউনিটির শ্রীপুর উপজেলা শাখার আয়োজনে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত সাতক্ষীরায় জেলা প্রশাসনের মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উৎযাপন কোম্পানীগঞ্জ বসুরহাটে ইনফিনিক্স শোরুমের শুভ উদ্বোধন এ বছরের মধ্যেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন দিতে হবে : শরীফ উদ্দিন কোম্পানীগঞ্জে গরীব ও অসহায়দের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ করলেন সমাজসেবক আবদুর রহীম মুকসুদপুরে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন গোদাগাড়ীতে বিএনপি নানান আয়োজনে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালন বগুড়া শেরপুর স্বাধীনতা দিবসে জিয়াউর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পর্পণ ও শ্রদ্ধা নিবেদন। পবিত্র শবে কদর আগামীকাল কাল বিএফএ সম্মেলনে বক্তব্য দেবেন প্রধান উপদেষ্টা কোম্পানীগঞ্জে প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির নবগঠিত কমিটির ঘোষণা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’-এর ওপর নিষেধাজ্ঞার সুপারিশ মার্কিন সংস্থার বাংলাদেশের সঙ্গে গভীর সম্পর্ক স্থাপনে আগ্রহী পাকিস্তান ডোমারে বিএনপির ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত মহান স্বাধীনতা দিবসে বীর শহীদদের প্রতি নন্দীগ্রাম বিএনপি'র শ্রদ্ধা নিবেদন নন্দীগ্রামে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন গণঅভ্যুত্থানে শহীদ সোহেলের পরিবারে সাবেক এমপি মোশারফ হোসেনের উপহার আক্কেলপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর ইফতার মাহফিল

স্বৈরতন্ত্র নিপাত যাক; গণতন্ত্র মুক্তি পাক

সম্পাদকীয় ডেস্ক - প্রতিনিধি

প্রকাশের সময়: 24-11-2024 11:50:45 am


◾মো. তুহিন হোসেন : অর্থনীতি একটি রাষ্ট্রের মূল চালিকাশক্তি। কোন রাষ্ট্র অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ছাড়া কখনো অর্থনৈতিক সামরিক পরাশক্তি দেশ  হতে পারেনি । বিশেষ করে  তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলো অর্থনৈতিক পরাশক্তি না হওয়ার মূল প্রতিবন্ধকতা হলো এককেন্দ্রিক শাসন ব্যবস্থা। একক শাসন একটি দেশের গণতন্ত্রের  মেরুদণ্ডকে ভেঙে দেয়।  তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলো উনিশ শতকে স্বাধীনতা লাভ করলেও অনেক দেশে এখনো গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়নি এরমধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। এর অন্যতম কারণ  জনগণ ও রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দের সমন্বয়ের অভাব।  মূল কারণ রাজনৈতিক দলের ঐক্যের অভাব। রাজনৈতিক দলগুলো ধর্মীয় বিভাজনকে নিরসন না করে, ধর্মীয় বিভাজনকে  পুঁজি করে রাষ্ট্র পরিচালনা করতে চাই। জনগণের স্বার্থকে উপেক্ষা করে  নিজেদের স্বার্থ প্রাধান্য দিয়ে সংবিধান সংশোধন করেন।  বিরোধী দলের প্রতি দমন পীড়ন  চালাতে থাকে।  স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশের উপর ভারত পরোক্ষভাবে উপনিবেশ প্রতিষ্ঠা করতে প্রচেষ্টা চালায় ফলশ্রুতিতে আওয়ামী লীগের শাসনামলে এটি প্রতিষ্ঠা ফলে আওয়ামী লীগ হয়ে উঠে স্বৈরাচারী এবং  মিত্রপক্ষে সুবিধার জন্য যাবতীয় ক্ষেত্র প্রস্তুত করতে করে।  আওয়ামীলীগ রাজতন্ত্রের আদলে পরিবার তন্ত্র কায়েম করেছে। কোন রাষ্ট্রের সাথে কোন বিষয়ে চুক্তির সময় রাষ্ট্রের চেয়ে দলের প্রাধান্য দিয়ে চুক্তিতে সাক্ষর করেছে।  এমনকি প্রত্যেক নির্বাচনের পরই দেখা যায় প্রশাসনের বড়  রদবদল। 


যা একটি রাষ্ট্রকে   অর্থনৈতিক হুমকির মুখে ফেলে দেয়। নিজেদের সুবিধামতো যোগ্যতার বিচার না করে দলীয় ব্যক্তিবর্গকে প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অধিষ্ঠিত করেন ফলে উক্ত ব্যক্তিগণ দেশের জনগণের স্বার্থকে উপেক্ষা করে নিজেদের দলীয় সার্থকে প্রাধান্য দিয়ে থাকে  সেই সাথে সরকারকে  শাসন ক্ষমতা আঁকড়ে রাখার  জন্য উদগ্রীব হয়ে পড়ে  এবং অযোগ্যব্যক্তিদের কাজে সহযোগিতায় রাষ্ট্রে কাঠামো আরো দুর্বল করে দিয়েছে।  জনগণ গণতন্ত্রের সুফল হতে  বঞ্চিত হয়েছে। বাংলাদেশ স্বাধীনতার ৫৩ বছরে ও পরিবারতন্ত্রের শৃংখল হতে বের হতে পারেনি  যা একটি জাতির অর্থনৈতিক অনগ্রসরকে শ্লথ করে দেয়।  অবকাঠামোগত উন্নয়নে ক্ষতিগ্রস্থ করে  । দেশের সরকার  ও বিরোধী দল কেউ নিজ নিজ দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে পারেনি দেশের প্রেক্ষাপটে বিচার বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় ধর্ম, বর্ণ,সংস্কৃতির  ভিত্তিতে যে বিভাজন তার সমাধান না করে রাজনৈতিক নেতৃবর্গ  এই বিভাজনকে নিজেদের দলীয় স্বার্থে ব্যবহার করছে। স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে দরকার ছিল জাতীয় সংহতি অর্জন কিন্তু জাতীয় সংহতি অর্জিত না হওয়ায় দেশের অর্থনীতি বার বার ভেঙ্গে পড়েছে ।মুক্তিযুদ্ধের মানুষের  সময়  আকাঙ্ক্ষা ছিল স্বাধীনতা অর্জিত হলে দেশে বিদ্যমান শাসন ব্যবস্থার পরিবর্তন ঘটবে বর্তমানের  তুলনায় শাসন ব্যবস্থায় জনগণের সংশ্লিষ্টতা অনেক বেশি থাকবে। কিন্তু স্বাধীনতার পর  তেমন কোন পরিবর্তন আসেনি।যে দল যখনই ক্ষমতায় আসে তারা  একনায়ক তন্ত্র কায়েম করার জন্য   প্রশাসনকে ব্যবহার করছে এর মূল কারণ বিদেশি হস্তক্ষেপে ক্ষমতা দখল করে এবং পরবর্তী সময়ে টিকে থাকতে উৎসাহিত করে বিনিময়ে স্বৈরশাসক যেমন আওয়ামী লীগ ভারতের বশ্যতাস্বীকার  করার কারণে দেশের অর্থনীতিতে  অধপতনে নেমে গেছে।  এখনই আমাদের পরিবারতন্ত্রের  শৃঙ্খল হতে বেরিয়ে আসতে হবে। যতদিন পর্যন্ত  আমার পরিবারতন্ত্রের শৃঙ্খল হতে বের হতে পারব  ততদিন পর্যন্ত  বাংলাদেশ অর্থনৈতিক পরাশক্তি দেশ হতে পারবে না। এ দেশ আবারও অন্য কোন দেশের উপনিবেশে পরিণত হতে পারে।  বিশেষজ্ঞরা বলছেন  আমেরিকার প্রতিটি স্টেটে পৃথক কিছু আইন প্রণয়ন করা হয় প্রত্যেক স্টেট এর অতীত ঐতিহ্য বিবেচনা করে আইন প্রণয়ণ করা হয়, তেমনি  বাংলাদেশের প্রতিটি গোত্রের ভাষা, ধর্ম, বর্ণের ভিত্তিতে  সংবিধানিকভাবে পৃথক স্বীকৃতি দিয়ে এবং সামঞ্জস্য বিধান করে গোত্রীয় বিভাজন দূর করা সম্ভব। 


জনগণের ক্ষমতা প্রতিষ্ঠা করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অধিক গুরুত্ব দেওয়া উচিত এমন পরিমণ্ডল প্রতিষ্ঠা করতে হবে যেখানে জনগণ  শাসিত হওয়ার পরিবর্তে নিজেরাই নিজেদের শাসন করতে পারের। পারিবার  তন্ত্রের ফলে যে দল ক্ষমতাসীন হয় সেই দল রাষ্ট্রীয় সকল সুযোগ-সুবিধা পেয়ে থাকে সমাজে একটা শ্রেণি সৃষ্টি হয়েছিল যারা বৃত্তশালী ক্ষমতাসীন  এজন্য অর্থনৈতিক  উন্নয়ন 

আর জনসাধারণের উন্নয়নকে স্পষ্ট করতে পারেনি জনগন গণতন্ত্রের সুফল অনুধাবন করতে পারেনি আর এই সুযোগ দিয়েছে শ্রেণীর অন্য শ্রেণীর যারা গণতন্ত্রের যাত্রাকে ব্যহত করেছে এক প্রতিবেদনে দেখা যায় যেমন ধনীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে  তেমনি দরিদ্র মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে ফলে বৈষম্য আরো বেড়েছে।  গণতন্ত্রের ভিত্তিকে দুর্বল করে দিয়েছে। বর্তমান বিশ্বে বাংলাদেশ অন্যতম একটি আলোচিত সমালোচিত বিষয়ে পরিণত হয়েছে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের দাতা রাষ্ট্র সরকারের বিরুদ্ধে ব্যাপক  দুনীতির এনেছে, এমনকি অনেকে মন্তব্য করেছেন যে, "বাংলাদেশের একমাত্র উন্নয়নশীল শিল্প হল দুর্নীতি" স্বাধীনতার পর থেকে ক্ষমতাসীন দল  দুর্নীতির সাথে জড়িয়ে পড়েছে। সাধারণ মানুষ এবং বাইরের বিভিন্ন দাদা গোষ্ঠী তাদের প্রতি আস্থা রাখতে পারেনি। সামরিক বাহিনী হস্তক্ষেপ করেছে  ব্যহত হয়েছে গণতন্ত্র। এ প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞরা বলছেন মন্ত্রীরা নেয় ঘুষ শিক্ষকেরা ঘুষ চান ছাত্রদের নিকট আর পুলিশ ঘুষ নেন অপরাধীদের নিকট হতে। আমাদের দেশে দুটি সমস্যা ইঁদুর, সরকার।সরকার  দুর্নীতিপরায়ণ, অদক্ষ, অকর্মণ্য;আর আমাদের  ঘরবাড়ি ইঁদুরে ভরা। এদেশ হতে প্রতি বছর ৬.২  বিলিয়ন ডলার পাচার করেছে সরকারি- কর্মকর্তারা বিভিন্নভাবে তহবিল তসরুপ করছেন।  যেখানে  ভয়ংকর রকমের দুর্নীতি দেখা যায়।


খাতায়  ২০,০০০ কর্মকর্তা - কর্মচারী  আছে কিন্তু বাস্তবে একজনও নাই কর্মচারী কর্মকর্তা নামে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে প্রশাসনিক পর্যায়ে এসব  দুর্নীতি জনগণের কাছে  সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে, যা গণতন্ত্রের পথকে আরো করেছে কণ্ঠকময় । তাই আমাদের এখনই সময় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা,। গণতন্ত্র  দীর্ঘদিন চর্চার বিষয় দীর্ঘদিন চর্চের মাধ্যমে প্রসার  করে লাভ করতে পারে সাধারণত রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রী থাকেন সরকার প্রধান যারা জনগণ কর্তৃক প্রত্যক্ষ পরোক্ষভাবে নির্বাচিত হন। জনগণ বিভিন্ন আলোচনা সমালোচনা এবং পর্যালোচনা মাধ্যমে জাতীয় সংসদে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত  নিয়ে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন কিন্তু বাংলাদেশের সেটির লক্ষ্য করা যায় না রাষ্ট্রবিজ্ঞানীদের মতে সংসদ পদ্ধতির অত্যাবশ্যকীয় শর্তাবলি হলো -


ক) আইনসভার কাছে নির্বাহী কর্তৃত্বের জবাবদিহিতা, খ)বিচারবিভাগের স্বাধীনতা, গ)মত প্রকাশের স্বাধীনতা, ঘ)জনস্বার্থে পরিচালিত প্রশাসন,  ঙ) আইনের শাসন । কিন্তু  বাংলাদেশে পরিবার তন্ত্রের  ফলে  এগুলোর কোনটি উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায় না।  দেখা যায় নির্বাহী বিভাগ পরোক্ষভাবে বিচার বিভাগকে নিয়ন্ত্রণ করে  যেটি আইনের শাসনের পরিপন্থী । এখানে আইন বিভাগকে পুঁথিপাঠকে পরিণত করা হয়েছে।অন্তরবর্তীকালীন সরকারের কাছে গণতন্ত্রের মৌলিক বৈশিষ্ট্যকে বাস্তবায়িত করার জানাচ্ছি।একমাত্র গণতন্ত্রই কোন রাষ্ট্রেকে  অর্থনৈতিক, সামরিক দিক দিয়ে শক্তিশালী করে তুলতে পারে। 



|| মো তুহিন হোসেন  

লেখক ও শিক্ষার্থী 



আরও খবর