লাখাইয়ে সরকারী স্কুলের ছাদ যেন ধান শুকানোর মাঠ,কক্ষ রুম যেন ধান রাখার গোলা, শিক্ষা কর্মকর্তার কঠিন হুঁশিয়ারি ।
লাখাইয়ে সরকারী স্কুলের ছাদ যেন ধান শুকানোর মাঠ,কক্ষ রুম যেন ধান রাখার গোলা, অভিযোগ সত্যতায় শিক্ষা কর্মকর্তার কঠিন হুঁশিয়ারি ।
লাখাই উপজেলার মৌ-বাড়ি ধনাই মিয়া
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাদ দখল করে চলছে ধান শুকানোর কাজ। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের পানি পান করার নির্ধারিত কক্ষে ধান বস্তা ভর্তি করে রাখা হচ্ছে ধানের স্তুপ, এতে স্কুলের শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে।
সরেজমিনে পরিদর্শনকালে এ দৃশ্য লক্ষ্য করা যায়।
এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থী, অভিবাবক, স্থানীয় লোকজন।
স্থানীয়রা জানান, এ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এখলাছুর রহমানের যোগসাজে তার আত্বীয় রুবেল, লাভলী আক্তার এর পরিবারের লোকজন বিদ্যালয়টির ছাদ দখল করে প্রতিবছরই ধান শুকানের কাজ করে থাকেন।, এছাড়াও শিক্ষার্থীদের জন্য নির্ধারিত পানি পান করার কক্ষে বস্তা করে রাখা হয় ধানের বস্তা স্তুপীকৃত করে রাখা হয়েছে । এমনকি খরকোটা পর্যন্ত রাখা হয় বিদ্যালয়ের কক্ষের ভিতরে।
অভিযুক্ত লাভলি আক্তারের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ২/১দিনের মধ্যে ধান, খড়কোটা স্কুল থেকে নিয়ে যাবেন। তিনি বলেন, আমাদের জায়গা সংকট, এজন্য স্কুলের ছাদে ধান শুকাতে হচ্ছে, তবে কেউ প্রতিবাদ করে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।
কয়েকজন শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, বিভিন্ন মৌসুমে স্কুলের ছাদে ধানসহ বিভিন্ন ফসল শুকানোর ফলে পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে, ধুলোবালি কক্ষে প্রবেশ করলে শিক্ষার্থীদের সর্দি কাশির আশঙ্কা রয়েছে
এব্যাপারে বিদালয়টির প্রধান শিক্ষক এখলাছুর রহমান বলেন, আমি তাদেরকে নিষেধ করে দিলেও তারা অমান্য করে ধান শুকানোর কাজ করে থাকেন।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে জানিয়েছেন কি না প্রশ্ন করলে তিনি সুদোত্তর দেননি।
এব্যাপারে আলাপকালে লাখাই উপজেলা শিক্ষা অফিসার জামাল উদ্দিন জানান ইতিমধ্যে বিদ্যালয়ের ছাদে ধান শুকানোর কাজ বন্ধ করা হয়েছে। পুনরায় এধরনের কর্মকান্ড চালানো হলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।