◾ মু, সায়েম আহমাদ
বিশ্বকাপ! যে নামটি শুনলে জনে-মণে হয়ে ওঠে আনন্দে আত্মহারা। ফুটবল বিশ্বকাপ উপলক্ষ্যে দেশের প্রতিটি জায়গায় সমর্থকগোষ্ঠীরা নিজ নিজ দলের প্রতি ভক্তি আর ভালোবাসার জায়গা থেকে আনন্দ উৎসব করে থাকে। নিজ দলের পতাকা তৈরি করা থেকে শুরু করে সবকিছুতেই নিজ দলকে সবার সেরায় রাখতে আগ্রহী হয়ে ওঠে। যেইভাবেই হোক নিজ দলকে অন্য দল থেকে সেরা হিসেবে প্রমাণ করতেই হবে। সেজন্য বিভিন্ন সময়ে তর্কে-বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে সমর্থকগোষ্ঠীরা।
এত কিছু সত্বেও আমাদের দেশে কিছু আবেগী দর্শক কিংবা এমন কিছু সমর্থক দেখা যায়। যারা কিনা এসব কিছু অতিরঞ্জিত করে ফেলে।প্রতিযোগিতামূলক ভাবনা থেকে নিজ দলের পতাকা সর্বোচ্চ বড় করার চিন্তাভাবনা করে এবং বাস্তবায়ন করে। অথচ এমন কিছু করা মোটেও ঠিক নয়। যখন খেলা অনুষ্ঠিত হয় নিজ দলের পরাজয় মেনে নিতে পারেন না। নিজ দলের হারের পর নিজেকে আত্মনিয়ন্ত্রণ করে রাখতে পারেন না। ফলে ঘটে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। হাতাহাতি থেকে শুরু করে মারামারি, ভাঙচুর ও আগুন এসব কিছু উচ্চ পর্যায়ে চলে যায়। এটি কোন দুঃখের কথা নয় , বরং বাস্তব চিত্র এমনই। তবে এটি শুধু আমাদের দেশে হচ্ছে এমন নয় বরং আমাদের পাশের দেশ ভারতেও এমন কিছু ঘটছে যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কল্যাণে জানতে পারি। তাই, আমাদের ভাবনায় রাখতে হবে যে, খেলাকে খেলার জায়গায় , নিজের ব্যক্তিগত জীবন, জীবনের জায়গায়। অর্থাৎ খেলাকে বিনোদনের উৎস হিসেবে নিতে হবে, জীবনের অংশ হিসেবে নয়। কিন্তু এই ছোট্ট কথাটি আমরা ভুলে যাই, ভুলে যাই নিজের ব্যক্তি জীবনের কথা। ফলেই ঘটে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। খেলা নিয়ে কখনো এমন অতিরঞ্জিত হওয়া উচিত বলে মনে করি না। সেজন্য আমাদের সবার উচিত হবে, এসব কিছু থেকে বিরত থেকে বিনোদনের মাধ্যম হিসেবে খেলাধুলা উপভোগ করা। বিশ্বকাপ ফুটবল উপলক্ষ্যে সংঘর্ষ কিংবা মনোমালিন্য নয় বরং সভ্য সমাজের আদর্শের প্রতীক হিসেবে গড়ে উঠুক এই প্রত্যাশা রাখি।
মু, সায়েম আহমাদ
তেজগাঁও, ঢাকা
৩ দিন ৬ ঘন্টা ৫০ মিনিট আগে
৯ দিন ১ ঘন্টা ৫ মিনিট আগে
১০ দিন ১ ঘন্টা ৫ মিনিট আগে
১৪ দিন ১০ ঘন্টা ৪১ মিনিট আগে
১৬ দিন ১৮ ঘন্টা ৪২ মিনিট আগে
২৩ দিন ৬ ঘন্টা ৩৯ মিনিট আগে
২৩ দিন ২৩ ঘন্টা ৩৭ মিনিট আগে
২৪ দিন ২১ ঘন্টা ৯ মিনিট আগে