◾মো. মাহিন ভূইঁয়া || বাংলাদেশে নারীদের জন্য আলাদা স্বতন্ত্র শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানসহ অনেক কিছু করা হলেও এখন পর্যন্ত কোনো বাস সার্ভিস চালু করা হয়নি। পাবলিক বাস আর ট্রেনগুলোতে নারীদেরকে পুরুষদের সাথে গাদাগাদি করে যাতায়াত করতে হয়। এসব বাস ও ট্রেনগুলোতে নারীরা নিয়মিতভাবেই যৌন-হেনস্তা কিংবা নিরাপত্তাহীনতার সম্মুখীন হচ্ছে।
লোকাল, মেইল ও এক্সপ্রেস ট্রেনগুলোতে একই ঘটনা ঘটছে। অনেক দুশ্চিরিত্রের মানুষরা ভীড়ের মধ্যে নারীদের গাঁ ঘেষে দাড়ানোর চেষ্টা করে।যার ফলে নিয়মিতভাবেই নারীদেরকে বিব্রতকর অবস্থার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এসব নারীদেরও আর কিছু করার উপায়ও থাকেনা। অধিকাংশ নারীরা পাবলিক বাস ও লোকাল ট্রেনে দাড়িয়ে যেতে বাধ্য হন। তথাকথিত নারীবাদীরাও কখনো এসব বিষয় নিয়ে কথা বলেনা।
রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের বাস চলাচলের রুটগুলোতে দ্রুত নারীদের জন্য আলাদা বিশেষ বাস সার্ভিস চালু করা প্রয়োজন।
প্রতিরুটে কমপক্ষে দুটি করে হলেও নারীদের জন্য আলাদা বাস সার্ভিস চালু করা অতীব জরুরী। BRTC এর মতো যেসব দ্ধি-তলাবিশিষ্ট বাস আছে, সেগুলোর নিচের তলা শুধুমাত্র নারীদের জন্য বরাদ্দ করা অতীব জরুরী। মেট্রোরেলে যেভাবে নারীদের জন্য কিছু কোচ আলাদাভাবে বরাদ্দ করা হয়েছে ঠিক সেভাবে এক্সপ্রেস, মেইল ও লোকাল ট্রেনগুলোতেও নারীদের জন্য কয়েকটি কোচ বিশেষভাবে বরাদ্দ রাখতে হবে।নারীদের জন্য পৃথক বাস সার্ভিস চালু করার জন্য সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থাগুলোকেও এগিয়ে আসতে হবে।বাস মালিকদেরও নারীদের জন্য আলাদা বাস সার্ভিস চালু করার জন্য এগিয়ে আসা উচিত।এতে করে বাস মালিকরাও আর্থিকভাবে লাভবান হবে।
লেখক: মোঃমাহিন ভূইঁয়া
শিক্ষার্থী, সমাজবিজ্ঞান
ঢাকা কলেজ