প্রতিবছরের শেষে ৩১শে ডিসেম্বর রাত ১২টার পর নতুন বর্ষকে স্বাগতম জানানোর যে সংস্কৃতি, সেটাই 'থার্টি ফার্স্ট নাইট' নামে পরিচিত। থার্টি ফাস্ট নাইটে প্রচুর পটকা ও আতশবাজি আকাশের দিকে ছোড়া হয়। যার ফলে প্রচুর পরিমাণে শব্দে কম্পিত হয় চারদিক। ঘুমন্ত শিশু ও বৃদ্ধদের এই শব্দের কারণে ঘুমে ব্যঘাত ঘটে। হার্টের রোগীদের জন্য এটি আরো ভয়ানক। থার্টি ফার্স্ট নাইটে সাউন্ড বক্সে গান বাজিয়ে নানাধরনের অশ্লীল কর্মকান্ড করা হয়। যার ফলে মানুষ ঠিকমতো ঘুমাতে পারেনা।
থার্টি ফার্স্ট নাইট মূলত একটি পশ্চিমা সংস্কৃতি। একযুগ আগেও কেউ এগুলো পালন করতোনা। রাত ১১টা থেকে ভোর পর্যন্ত প্রতিটা বুদ্ধিমানের ঘুমানো উচিত। এইসময় ঘুমানোর যে গুরুত্ব সেটি দিনের বেলায় দ্বিগুন সময় ঘুমালেও পূরণ হবেনা। রাত জেগে থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপনের কারণে মস্ত্যিষ্কের ক্ষতি হয়। থার্টি ফার্স্ট নাইটে পটকা বা আতশবাজির কারণে তা অনেক সময় মানুষের শরীরে এসে লেগে যায়। এছাড়াও মানুষের শ্রবণশক্তি ক্ষতিগ্রস্থ করে।
থার্টি ফার্স্ট নাইট পালনে ধর্মীয় নিষেধও রয়েছে। বিশেষ করে ইসলাম ধর্মে অন্যের জন্য কষ্টদায়ক কাজ করা থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছে। এছাড়াও ইসলামের নবি মুহাম্মদ (সাঃ) বিজাতীয়দের সংস্কৃতি অনুসরণ করতে নিষেধ করেছেন।থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন একটি বিজাতীয় সংস্কৃতি।রাসূল (সাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি অন্য জাতির সাদৃশ্য অবলম্বন করে, সে তাদের দলভুক্ত গণ্য হবে’ (আবুদাঊদ হা/৪০৩১; মিশকাত হা/৪৩৪৭)
লেখক : মোঃমাহিন ভূঁইয়া