মোহময়ী ফুলের সৌরভ স্নিগ্ধতা ছড়ানো চাঁদ,
ভালো নেই কেউ আঁধারে অবসাদ।
আক্রোশের সেই কার্পণ্য দৃষ্টি,
ভ্রুমরকৃষ্ণ আঁখি
এখন তো আর নেই
অমন
মাধবী কুঁড়ির মতন।
জাগ্রত শর্বরী হায়,
আক্ষেপের তৃষ্ণায়
আর নেওয়া হয়নি যতন।
ফুটিবে কি আঁধারে?
প্রভাতের আলোয় ফোটেনি যে বকুল।
বিনুনির চুল,
ফুটন্ত ফুল সুভাষ নাহি ছড়ায়!
এখনো কি প্রণয় বিরাগের কুহক জাগায়?
রয়েছে কি অন্তর অকাল রিক্ততায় ?
নিরব সম্মতি বলে সুখী নেই প্রাতের সকাল,
দিশেহার সেই সায়াহ্নের বিকাল!
আঁধারের জোনাকি শুধু নিভু নিভু জ্বলে
-
পূর্বের রজনী বিলাসিতা কভু নাহি মিলে।
গ্রীষ্মের কাল বৈশাখী আসিবে বলে,
বেদনা সহে না, সুখী মনে গিয়েছে বসন্ত চলে-
মোর ললাটে শীতের রিক্ততা ঢেলে।
যাক না চলে যদি থাকিতে নাহি চায়
উষ্ণতায় কাটাব প্রহর, কুয়াশার উত্তরীয় গায়।
পিছু নাহি চায় সুখ কামনায় ফেরানো দায়
ব্যক্ত বাক তখন ভালো হউক জীবন
অনলে জ্বলুক এ দেহ- আলোয় করিয়ো গঠন।
রাত্রীরে ডাকিয়া যায় গহীন আলোছায়ায় -
বলে ছিলে গুজিবে বর্ষার কদম
সুকেশিনীর খোপায়।
ব্যক্ত হিয়ার কাতরতা বাড়িয়া যায়-
অতৃপ্ত নিশির তৃষ্ণা জাগিয়া হায়
বাপাশের শূণ্য পাঁজরে, এখনো আঁখি ঝরে।
নিয়তির ভুলেই হারিয়েছে
নাহয় তার অনির্লিপ্ততায় দূরে ঠেলেছে আমায়!
বাস্তব অনুভূতির জাগরণ বুঝায়-
নেই তো সেই বিচরণ এই ত্রিসীমায়।
সজিব হোসেন