প্রকাশের সময়: 12-01-2025 09:34:29 am
দেশের মধ্যাঞ্চলের জেলা জামালপুর। পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদ, যমুনা নদীর বিধৌত সমতল ভূমি, চরাঞ্চল ও বালুচর নিয়ে গঠিত এটি৷ বিগত দিনের তুলনায় এখনো কম তাপমাত্রা হলেও ঘন কুয়াশা আর শীতে নাকাল এই জনপদ। উত্তর থেকে বয়ে আসা শীতের ঠান্ডা হাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন বিভিন্ন শ্রেণির খেটে খাওয়া মানুষের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা।
শীত উপেক্ষা করে জামালপুরের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেফমুবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা তাদের কর্মব্যস্ত জীবন চালিয়ে যাচ্ছে। ঘন কুয়াশা উপেক্ষা করে সূর্যের আলোর দেখা মিলতে দুপুর ঘনিয়ে আসে তথাপিও শিক্ষার্থীদের থেমে থাকার সময় নেই৷ শহরে থাকা শিক্ষার্থীদের ঘুম থেকে তড়িঘড়ি করে উঠে ধরতে হয় আটটার বাস৷ কখনোবা ব্রেকফাস্টের সময় থাকেনা৷ লক্ষ ক্লাসে যথাসময়ে উপস্থিতি৷ তীব্র শীতে থেমে থাকেনা ল্যাব, মিডটার্ম, ভাইবা, প্রেজেন্টেশন এমনকি সেমিস্টার ফাইনালও৷
শীতের সকালে ক্যাফেটেরিয়ায় বন্ধুদের সাথে ধোঁয়া উঠা চায়ের চুমুকে আড্ডায় উঠে আসে ব্যক্তিগত, একাডেমিক, ক্যারিয়ার, রাষ্ট্র ও রাজনীতির আলাপ৷ ছোট্টখাট্টো বির্তকও বেশ জমে৷ আবার সুখ ও দুঃখ উভয়ই ভাগাভাগি করে নেয় বন্ধুরা৷ দুষ্টামি ও রসিকতায় প্রাণচঞ্চলতাও উঠে আসে বৈরী এই শীতে৷ সিনিয়র জুনিয়র সম্পর্কের আরেকটু উষ্ণতা ছাড়িয়ে যায় আদা কিংবা লেবুর পাঁচ টাকা চায়ে৷ আবার সময় করে প্রেয়সীর সাথে একটুখানি সময় কাটানোর কথাও ভুলেনা এখানকার যুগলবন্দীরা৷
অন্যদিকে ক্যাম্পাসের রাস্তার দু'পাশে ভদ্রছেলের ন্যায় সারিবদ্ধ দেবদারু গাছগুলোয় অতিথি পাখিদের ডাক ও মাঠের ঘাসে জমে পড়া শিশিরবিন্দু দেখলে কবির কাব্যিক মাত্রায় নতুন সূর যুক্ত হবে৷ কবির ভাষায় -
“বৃক্ষের পদতলে জীর্ণ পত্রের অশেষ উৎসব/ বাতাসে কিসের গন্ধ, কাদের সংগীত/ একদিন ঘুম ভেঙে দেখি, এসে গেছে শীত।”
তীক্ষ্ম শীতের সকালটা কখনোবা সন্ধ্যার মতো ধূ-ধূ কুয়াশার অন্ধকারে ছেঁয়ে যায়৷ তারমধ্যে দমকা হওয়া বহমান৷ সারাদিনের একাডেমিক ব্যস্ততা শেষে কারো কারো ক্লাব এক্টিভিজম, কারো টিউশনি আবার কারো চাকরি প্রস্তুতিটাও মাথায় রাখতে হয়৷ শহরের মোড়ে মোড়ে স্বল্পদামে চিতই পিঠাসহ বৈচিত্র্যময় মুখরোচক পিঠার দোকানগুলোয় পিঠা খাওয়া এ যেন শতমাইল দূরে থেকেও মাতৃস্নেহে শীতের আমেজ পাওয়া৷ শীত কঠিন বাস্তবতা শেখায়, শীত কর্কটময় পথ ঠেলে লড়াই করে বাঁচতে শেখায়৷
কুয়াশা মোড়ানো শীতের ঋতু একটু ভিন্ন৷ শীত উপেক্ষা করে নিত্যদিনের কর্মব্যস্ততায় হাঁপিয়ে পড়লেও বৈরী শীত জন্মদেয় নিত্যনতুন স্মৃতি৷ বছরজুড়ে হলের ডাইনিং কিংবা মেসের অতৃপ্তিময় খাবারের পর শীতে রকমারি ও শৈল্পিক খাবারের দেখা মেলে সাথে ত্বকের প্রতি একটু সচেতনতাও আসে বেখায়ালী ব্যাচেলরদের৷ বাহারী রঙের শীতবস্ত্রে ছেঁয়ে যায় ক্যাম্পাস৷ নবীন শিক্ষার্থীদের হুডি বানানোর ধূম এ যেন আরেক নস্টালজিয়াকে স্বরণ করিয়ে দেয়৷ ছোট্ট এই ক্যাম্পাসে শীতের স্মৃতি গুলো অমলিন হয়ে থাকুক এই প্রত্যাশায়৷
৭ ঘন্টা ১৭ মিনিট আগে
১১ ঘন্টা ২০ মিনিট আগে
১১ ঘন্টা ২৭ মিনিট আগে
১৪ ঘন্টা ১ মিনিট আগে
১৪ ঘন্টা ৬ মিনিট আগে
১৫ ঘন্টা ৪২ মিনিট আগে
১৬ ঘন্টা ৭ মিনিট আগে
১ দিন ৪৪ মিনিট আগে