লাখাইয়ে সাংবাদিককে প্রাণনাশের হুমকিদাতা ট্রাক্টর চালক ফজলের খুঁটির জোর কোথায়।
লাখাইয়ে সাংবাদিককে প্রাননাশের হুমকিদাতা ট্রাক্টর চালক ফজলের খুঁটির জোর কোথায়।
লাখাইয়ে সাংবাদিককে প্রাণনাশের হুমকির ঘটনায় সাধারণ ডায়েরি ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হলেও হুমকি প্রদানকারী ফজল মিয়ার বিরুদ্ধে আইনগতভাবে জোড়ালো কোন পদক্ষেপ দৃশ্যমান নয়।এমনকি সাধারণ ডায়েরি করার পরও অদ্যাবধি কোন প্রকার তদন্তও হয়নি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায় লাখাই উপজেলার সাংবাদিক ও লাখাই প্রেসক্লাব এর সিনিয়র সহসভাপতি এমএ ওয়াহেদকে প্রাণনাশের হুমকি প্রদানকারী ট্রাক্টর চালক ফজল মিয়া প্রকাশ্য ঘুরে বেড়াচ্ছে। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ করা হলেও রহস্যজনক কারণে তার বিরূদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। এদিকে, এ ঘটনায় তার কিছু হবে না প্রকাশ্য বলে বেড়াচ্ছে। সাংবাদিককে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে থেমে থাকেনি তাঁর অবৈধভাবে কৃষি জমির টপসয়েল বিক্রির ব্যবসা বরঞ্চ সে দেদারছে জমির টপ সয়েল বিক্রি করে যাচ্ছে। জমির টপ সয়েল প্রকাশ্য বিক্রি করলেও দেখার যেন কেউ নেই।
অভিযুক্ত ট্রাক্টর চালক ফজল মিয়া উপজেলার করাব ইউনিয়নের পূর্ব করাব গ্রামের মৃত ছব্দর মিয়ার ছেলে।
জানা যায়,গত ২৬ ডিসেম্বর দুপুরে সংবাদ সংগ্রহ করতে করাব ইউনিয়নের আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে ফজল মিয়ার মোরগের ফার্মে যান। এ সময় অবৈধভাবে ট্রাক্টর দ্বারা মাটি এনে সরকারি খাল বরাট করছিলেন ফজল মিয়া
এ সময় সাংবাদিক এমএ ওয়াহদে অবৈধভাবে মাটি উত্তোলনের ছবি তুলায় ফজল মিয়া হুমকি দিয়া বলে আমার অনুমতি না নিয়ে ছবি তুললেন কেন। এই নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি। একপর্যায়ে ফজল মিয়া বলে আমার ট্রাক্টর গাড়ীর সামনে পড়লে তোর জীবন শেষ করে দিব তবেই ছিনবে আমি কে। এক পর্যায়ে ফজল মিয়া সাংবাদিক এমএ ওয়াহেদ এর মোটর সাইকেল এর চাবি ছিনাইয়া নিয়া যায়। এ সময় তার কয়েকজন আত্মীয়-স্বজন নিয়ে সাংবাদিককে ছবি ডিলেট করতে চাপ সৃষ্টি করে এবং তাকে অবরূদ্ধ করে রাখে। পরে এলাকাবাসী এসে সাংবাদিক এমএ ওয়াহদকে উদ্ধার করে এবং মোটর সাইকেলের চাবি ফেরত দেয়। এরপর সাংবাদিক এমএ ওয়াহদে লাখাই থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করে।
এ ব্যাপারে তদন্তকারী কর্মকর্তা লাখাই থানার উপ-পরিদর্শক জালাল আহমেদ বলেন- অভিযোগের প্রেক্ষিতে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আদালত আমাকে তদন্ত করা সিদ্ধান্ত দেয়নি।