রমজানে খেজুর খাওয়ার রয়েছে অসংখ্য উপকারিতা। এটি সুন্নত এবং স্বাস্থ্যগত দিক থেকেও অত্যন্ত উপকারী। ইফতারে খেজুর খেলে শরীর দ্রুত শক্তি ফিরে পায় এবং নানা পুষ্টিগুণ সরবরাহ করে। নিচে রমজানে খেজুর খাওয়ার উপকারিতা তুলে ধরা হলো—
রাসুলুল্লাহ (সা.) ইফতার করার সময় খেজুর দিয়ে ইফতার করতেন। তাই এটি সুন্নাত অনুসারে ইফতার করার অন্যতম উত্তম পদ্ধতি।
দিনভর রোজা রাখার পর শরীরে গ্লুকোজের ঘাটতি হয়। খেজুরে প্রাকৃতিক শর্করা (গ্লুকোজ, ফ্রুক্টোজ, সুক্রোজ) থাকে, যা তাৎক্ষণিক শক্তি পুনরুদ্ধারে সহায়তা করে।
খেজুর ফাইবারসমৃদ্ধ, যা হজমশক্তি উন্নত করে, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এবং পরিপাকতন্ত্রকে সুস্থ রাখে।
রমজানে দীর্ঘক্ষণ না খাওয়ার কারণে শরীরে পানির ঘাটতি হতে পারে। খেজুরে থাকা খনিজ ও ইলেক্ট্রোলাইটস শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে।
সারাদিন না খেয়ে থাকার পর ইফতারে ভারী খাবার খেলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হতে পারে। খেজুর পাকস্থলীতে সহজে হজম হয় এবং অম্লতা (এসিডিটি) কমাতে সাহায্য করে।
খেজুরে থাকা পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখে এবং উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে, যা রোজার সময় শরীরের ভারসাম্য ঠিক রাখতে সাহায্য করে।
খেজুরে থাকা ভিটামিন বি৬ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট স্মৃতিশক্তি উন্নত করে এবং মানসিক প্রশান্তি দেয়, যা রোজার সময় ধৈর্যশক্তি ধরে রাখতে সাহায্য করে।
খেজুর খেলে দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা অনুভূত হয়, ফলে অতিরিক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকা সহজ হয় এবং শরীর সুস্থ থাকে।
রমজানে খেজুর নিয়মিত খেলে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে, কারণ এতে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও পুষ্টি উপাদান রয়েছে।
রমজানে ঘুমের সময় পরিবর্তিত হয়। খেজুরে থাকা ট্রিপটোফ্যান নামক উপাদান মস্তিষ্কে সেরোটোনিন উৎপাদনে সহায়তা করে, যা ভালো ঘুম আনতে সাহায্য করে।
রমজানে ইফতারে ২-৩টি খেজুর খাওয়া শরীরের জন্য খুবই উপকারী। এটি শরীরকে সুস্থ রাখতে এবং রোজার প্রভাব সামলাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
১১ দিন ১ ঘন্টা ২০ মিনিট আগে
২০ দিন ১৫ ঘন্টা ৫৪ মিনিট আগে
২৫ দিন ৩ ঘন্টা ৩০ মিনিট আগে
৩৬ দিন ২১ ঘন্টা ১২ মিনিট আগে
৪২ দিন ৯ ঘন্টা ৫৭ মিনিট আগে
৪৫ দিন ১৯ ঘন্টা ৫৩ মিনিট আগে
৪৮ দিন ২১ ঘন্টা ৪৫ মিনিট আগে
৫৮ দিন ৯ ঘন্টা ২৭ মিনিট আগে