রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার আম বাগান গুলোতে আমের সোনালী মুকুলে ভরে গেছে সবুজ গুটিতে। দেখে মনে হচ্ছে আম গাছ গুলোতে সোনালী আভায় সবুজ যেন উকি মারছে। গাছে গাছে আমরে গুটিতে ভরে যাওয়ায়
বেড়েছে আম চাষিদের ব্যস্ততা। গুটি যাতে না ঝরে পড়ে এজন্য নিয়মিত ওষুধ স্প্রেসহ বাগানগুলোতে পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছে আম চাষিরা।
এ দৃশ্য উপজেলার প্রতিটি আম বাগানগুলোতে।
কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, এবার আবহাওয়া অনুকলে থাকায় সময়মত আমের মুকুল এসেছে। আমের গুটিতে ভরেও গেছে আমগাছ। বড় ধরনের কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না ঘটলে এ বছর আমের বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছেন কৃষি বিভাগ ও আম চাষি।
কৃষি বিভাগ ও আমচাষিরা আরো জানায়, স্বাদের দিক থেকে গোদাগাড়ী উপজেলার আম দেশজুড়ে সুখ্যাতি আছে। এখানকার আম সুস্বাদু হওয়ায় আমরে চাহিদা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে আমের বাগানও বৃদ্ধি পাচ্ছে।
গোদাগাড়ী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সুত্রে জানা যায়, এ উপজেলায় ১ হাজার ২শ” ২৭ হেক্টোর জমিতে আমের বাগান রয়েছে। গত বছর প্রতি হেক্টোরে ১২ টন করে আম উৎপাদন হয়ে ছিল। যে ভাবে আম গাছে গুটি এসেছে আশা করা যায় এবার আরো বেশী আম উৎপাদন হবে এ উপজেলায়।
এখানকার মাটির গুণেই ল্যাংড়া, গোপালভোগ, ক্ষীরসাপাতি, হিমসাগর, বোম্বাই ইত্যাদি জাতের আম খুবই সুস্বাদু। বিশেষ করে নিয়মিত জাত ল্যাংড়া, গোপালভোগ, ক্ষীরসাপাতি, আম্রপালি,আশ্বিনা জাতের বাগান বেশি থাকলেও গবেষণায় বের হওয়া বারি-৩, বারি-৪ জাতের বাগান তৈরির ক্ষেত্রেও আগ্রহী হয়ে উঠছে অনেকে। সেই সঙ্গে বানিজ্যিক ভাবে আম চাষের জন্য নতুন নতুন বাগানগুলো তৈরী হচ্ছে বনেদি ও হাইব্রিট জাতের আম গাছ দিয়ে।
উপজেলার আমচাষী নয়ন জানান, এবার আমগাছে সময়মত মুকুল এসেছে এবং গাছে গুটিতে ভরে গেছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবার বাগানে আমের সমারোহ ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। আশা করছি এবার আমের উৎপাদন ভাল হবে।
গোদাগাড়ী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-কৃষি কর্মকর্তা আবুল হোসেন জানান, এবার আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় প্রতিটি আম গাছ গুটিতে ভরে গেছে। বড় ধরনের কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না ঘটলে এবার গত বছরের তুলনয় আমের উৎপাদন বেশী হওয়া সম্ভাবনা রয়েছে।