সুর্যমুখী ফুলের হাসিতে কৃষকের আনন্দ,সেলফি প্রেমিকদের আনাগোনা বেড়েই চলছে।
সূর্যমুখী ফুলের হাসিতে লাখাইয়ের কৃষক মোঃ চাঁন মিয়ার মুখে এখন হাসির ঝলক।
এ বছর প্রথম সূর্যমুখী ফুলের চাষ করছেন । প্রতিদিন সকাল-বিকেল শহরসহ আশপাশ এলাকা থেকে সৌন্দর্য পিয়াসীরা দল বেধে আসেন এই সূর্যমুখী ফুলের বাগান দেখতে। অনেকেই বাগানে ঢুকে শখ করে ছবি তুলেন। দেখা যায়, কেউ সেলফি তুলতে ব্যস্ত কেউবা পরিবারের ছবি তুলতে ব্যস্ত, আবার কেউ ঘুরে ঘুরে বাগান দেখছেন। এ যেন এক মনোমুগ্ধকর পরিবেশ।
এদিকে কৃষক চাঁন মিয়া বলেন অল্প পুঁজিতে সূর্যমুখী চাষে অধিক লাভের স্বপ্ন দেখছেন তিনি।
সরেজমিনে লাখাই উপজেলার পুর্ব মশাদিয়াগ্রাম ঘুরে দেখা গেছে সূর্যমুখী ফুলের বাগান ইতোমধ্যেই গাছে ফুল ধরতে শুরু করেছে। চারিদিকে হলুদ রঙের ফুলের মন মাতানো ঘ্রাণ, হলুদের সমাহার। প্রতিটি ফুলে মৌমাছির দল গুনগুন শব্দে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
মৌমাছিরা সূর্যমুখী ফুল থেকে মধু নেওয়ার চেষ্টায় ব্যস্ত। গ্রামে সূর্যের মতো হাসি দেওয়া হলুদ আভা ছড়ানো ফুলের সৌন্দর্যে আকৃষ্ট হয়ে প্রতিদিন বাগানে আসছেন ভ্রমণ পিপাসু নারী-পুরুষসহ বিভিন্ন বয়সী মানুষ।
ধর্মপুর গ্রামের বাসিন্দা ছাব্বির মিয়া মুটোফোনে জানান সূর্যমুখী বাগানে ঘুরতে আসা অনেক দর্শনার্থী সূর্যমুখী বাগানের সৌন্দর্যের প্রশংসা করছেন। অনেকে আসছে পরিবার নিয়ে। তারা বলছে আমরা খুব সুন্দরভাবে উপভোগ করতে পারছি। সূর্যমুখী ফুল দেখেও খুব ভালো লাগল।
সামছুন্নাহার শাম্মী নামে আরেকজন বলেন, ফুল দেখে খুব ভালো লেগেছে। এখানে ঘুরতে আসলে মানুষ নিরাস হবে না। এই ফুল থেকে আবার তেলও তৈরি হয়। এই তেল খুব দামি। একই সঙ্গে তেল ও ফুল দুইটাই খুব ভালো। মানুষের উচিত বেশি বেশি করে সূর্যমুখী চাষ করা।
সূর্যমুখী বাগানে ঘুরতে আসা নাজমা বেগম জানান, বাবার বাড়ি বেড়াতে এসেছি। ফেসবুকে অনেকেই দেখি সূর্যমুখী বাগানে ঘোরার ছবি দিচ্ছে। সেই লোভেই বাগানে ঘুরতে আসা। এখানে এসে খুব ভালো লেগেছে। এই প্রথম সূর্যমুখী বাগান দেখলাম।
সুর্যমুখী বাগান মালিক চাঁন মিয়া জানান, আমার২ বিঘা জমিতে সূর্যমুখী চাষ করেছি। দুই বিঘা জমি চাষে প্রায় ১২ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। যে ফুল এখন গাছে আছে তা দিয়ে আশা করছি লাভবান হতে পারব।
তিনি আরও জানান,লাখাই উপজেলা কৃষি অফিসারের পরামর্শে তিনি তার জমিতে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করেছেন। বেশ লাভবান হবে।
তিনি বলেন আরও, কৃষি অফিস থেকে তাদেরকে বিনামূল্যে সূর্যমুখীর বীজ ও সার দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যেই প্রতিটি গাছেই ফুল ধরেছে। আশাকরি সূর্যমুখী চাষে সফলতা আসবে। লাভবান হতে পারব।
এ ব্যাপারে লাখাই উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি অফিসার ফারুক তালুকদার বলেন, ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরে ৫জন কৃষকের প্রমোদনার আওতায় চাঁন মিয়া এই সূর্যমুখী চাষাবাদ করছেন, সূর্যমুখী চাষ জমির উর্বরতার জন্য ভালো। এতে পোকামাকড় আক্রমণ করে কম। বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক চাষাবাদ হলে পর্যটকদের আগমন ঘটবে,
তিনি আরও বলেন,
সূর্যমুখী চাষে কৃষকদেরকে উদ্বুদ্ধ করতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কৃষকদেরকে বিনামূল্যে সূর্যমুখীর বীজ ও সার দেওয়া হয়েছে। ভোজ্য তেলের চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে আগামী দিনে উন্নত জাতের সূর্যমুখী চাষাবাদের পরিকল্পনার কথা জানান কৃষি বিভাগের এই কর্মকর্তা।