কুলিয়ারচরে পুরুষ শূন্য বাড়িতে প্রতিপক্ষের হামলায় তিন নারী আহত
কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে জায়গা সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জের ধরে পুরুষ শূন্য বাড়িতে প্রতিপক্ষের হামলায় তিন নারী আহত হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গত ৬ এপ্রিল রোববার দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলার বড়খারচর পশ্চিমপাড়া গ্রামের মালোশিয়া প্রবাসী মো. সাইফুল ইসলামের বাড়িতে এ হামলার ঘটনাটি ঘটে।
এ ঘটনায় প্রবাসী মো. সাইফুল ইসলামের স্ত্রী মোছা. নাদিয়া বেগম (২৬) বাদী হয়ে ৭ এপ্রিল সোমবার প্রতিপক্ষের মৃত কালাচাঁন মিয়ার ছেলে আব্দুল আহাদ (৬০), আব্দুল আহাদ এর স্ত্রী মোছা. কবিতা বেগম (৫৫), আব্দুল আহাদ এর ছেলে রয়েল মিয়া (৩৫) ও রয়েল মিয়ার স্ত্রী মোছা. সনিয়া বেগম (২৫) দের বিরুদ্ধে কুলিয়ারচর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, জায়গা সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষ নানাভাবে প্রবাসী সাইফুল ইসলামের মা, বোন ও স্ত্রীকে অত্যাচার করিয়া আসিতেছে।
গত ৬ এপ্রিল দুপর দেড়টার দিকে প্রতিপক্ষের আব্দুল আহাদ, মোছা. কবিতা বেগম, রয়েল মিয়া ও মোছা. সনিয়া বেগম দেশীয় মারাত্বক অস্ত্রাদী নিয়ে প্রবাসী সাইফুল ইসলামের বাড়িতে এসে হামলা করে ওই প্রবাসীর স্ত্রী মোছা. নাদিয়া বেগম (২৬), প্রবাসী মা মোছা. জুলেখা বেগম (৫৫) ও বোন মোছা. তানিয়া বেগম (২৩) কে এলোপাতাড়ি মারধর করে রক্তাক্ত জখম করে এবং তানিয়ার গলায় থাকা আট আনা ওজনের একটি স্বর্ণের চেইন নিয়ে যায়। এছাড়া ওই প্রবাসীর স্ত্রীর চুলে ও কাপড়ে ধরিয়া টানা হেছরা করিয়া বিবস্ত্র করিয়া শ্লীলতাহানি ঘটায়। এসময় আহতদের ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে কুলিয়ারচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। আহতদের মধ্যে মোছা. নাদিয়া বেগম ও মোছা. জুলেখা বেগম চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি চলে যায় এবং মোছা. তানিয়া বেগম হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
প্রবাসী মো. সাইফুল ইসলামের মা মোছা. জুলেখা বেগম (৫৫) বলেন, আমাদের বাড়িতে পুরুষ শূন্য থাকায় আমার দেবর আব্দুল আহাদ ও দেবরের ছেলে রয়েল মিয়াসহ চারজন মিলে আমাদের বাড়িতে আসিয়া আমাদের উপর হামলা করে মারধোর করে আমাদের আহত করে। এতেও তারা খ্যান্ত হয়নি। আমাদেরকে বিভিন্ন ভাবে প্রাননাশের হুমকি ধামকি দিচ্ছে। তাদের ভয়ে আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছি। আমরা এ ঘটনার বিচার দাবী করছি।
এব্যাপারে অভিযুক্তদের সাথে যোগাযোগ করা হলে অভিযুক্ত মোছা. কবিতা বেগম বলেন, জায়গা জমি নিয়ে সাইফুল ইসলামের বাড়ির লোকজনের সাথে আমাদের বিরোধ চলে আসছে। সাইফুল ইসলামের স্ত্রী, মা ও বোন মিলে আমাদের জায়গায় গাছ লাগাতে আসলে রয়েল মিয়ার সাথে লোহার সাবল নিয়ে কারাকারি হয়। এসময় সাবলের আঘাতে নাদিয়া বেগমের পা থেকে রক্ত ঝরতে থাকে। অন্যরা কি ভাবে আহত হয়েছে তা আমি দেখিনি। আমি বাদী হয়ে কুলিয়ারচর থানায় প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছি।
এব্যাপারে কুলিয়ারচর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. হেলাল উদ্দিন পিপিএম বলেন, এ ঘটনায় উভয় পক্ষের দুইটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।