বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উপলক্ষে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) আয়োজিত বৈশাখী মেলায় দর্শনার্থীদের মন জয় করে নিয়েছে এক ব্যতিক্রমী নামের পিঠা—‘মেয়েদের মন’। রসায়ন বিভাগের স্টলে পাওয়া যাচ্ছে এই বিশেষ পিঠাটি মাত্র ১০ টাকায়। ব্যতিক্রমী নাম আর স্বাদের কারণে স্টলটিতে ভিড় করছেন অসংখ্য শিক্ষার্থী ও অতিথিরা।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) দিনব্যাপী এ মেলার আয়োজন করা হয়।
সকাল সাড়ে ৯টায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলীর নেতৃত্বে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মাধ্যমে শুরু হয় বৈশাখী উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা। শোভাযাত্রাটি প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে বৈশাখী চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। এতে অংশ নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মাসুদা কামাল, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোলায়মান, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আবদুল হাকিম, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেনসহ বিভিন্ন অনুষদের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীরা।
বৈশাখী মেলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও সংগঠনের পক্ষ থেকে স্থাপন করা স্টলে পরিবেশিত হয় ঐতিহ্যবাহী নানা ধরনের পিঠা ও মুখরোচক খাবার। পাটিসাপটা, দুধচিটা, চিতই, মালপোয়া, প্রজাপতি পিঠা, মাংসের পুলি, ডিমের পুডিং, টাকি পিঠা, ডোবা পিঠা, গোলাপ কাটা পিঠা, বেলুনি পিঠা, সুখ চিতই, পায়া পিঠাসহ বাহারি সব ঐতিহ্যবাহী ও আধুনিক খাবারের পসরা মেলায় জমজমাট পরিবেশ তৈরি করে।
মেলায় বিশেষ আকর্ষণ ছিল ‘মেয়েদের মন’ পিঠা ছাড়াও ‘জামাই বরণ পিঠা’, ‘হৃদয় হরণ’, ‘ব্যাকআপ’ ইত্যাদি ব্যতিক্রমী নামের পিঠা। এসব ব্যতিক্রমধর্মী উপস্থাপনা মেলায় এনে দেয় এক নতুন মাত্রা।
রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী জাহিদ হাসান জানান, “আমাদের স্টলে ব্যতিক্রমী একটি পিঠা রাখা হয়েছে ‘মেয়েদের মন’, দাম মাত্র ১০ টাকা। এর নাম শুনেই অনেকে স্টলে এসে ভিড় করছে।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী বলেন, “বাংলা নববর্ষ বাঙালির চিরায়ত ঐতিহ্য। এ উৎসব ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার মিলনমেলা। স্বল্প সময়ে এমন সফল আয়োজন করায় আয়োজকদের ধন্যবাদ জানাই।”
মেলার উদ্দেশ্য ছিল শিক্ষার্থীদের ঐতিহ্যবাহী খাবার ও সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত করা। শিক্ষার্থীরা জানান, এ ধরনের আয়োজন শুধু উৎসব নয়, তাদের জন্য এক অনন্য অভিজ্ঞতা।