ভারতে হত্যা হওয়া সাবেক এমপি আনারের বিলাসবহুল গাড়ি কুষ্টিয়া থেকে উদ্ধার! সীমান্ত দিয়ে চামড়া পাচারের কোন সম্ভাবনা নেই: জয়পুরহাটে বাণিজ্য উপদেষ্টা ভাট পিয়ারী জঃ রাঃ সাঃ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮৬ ব্যাচের দ্বিতীয় পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত চাঁদাবাজির অভিযোগে শ্রীউলার মহাসিন আটক মোংলায় যুবদল নেতার উপর সন্ত্রাসী হামলালা, অবস্থা সংকটময় বড়লেখায় শহিদ ডা. আব্দুন নুর ওয়েলনেস সেন্টারের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত সারিয়াকান্দি বাঙালী নদীতে গোসলে নেমে নারী শিক্ষার্থী নিখোঁজ সারিয়াকান্দি-সোনাতলায় জামায়াতের মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত এডভোকেট ডায়রীটি হারিয়ে গেল এডভোকেট কেশব কুমার আচার্য এর। মানবতার দৃষ্টান্ত দেখালেন তুরস্কের  খানলার ফাউন্ডেশন কোর্ট ডায়রী হারিয়ে গেল এডভোকেট কেশব কুমার আচার্য এর। বানিয়াচং তাহফিজুল কোরআন ফাউন্ডেশনের দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিল সম্পন্ন মৌলভীবাজারে পৃথক দুর্ঘটনায় দুই ভাইসহ ৫ জনের মৃত্যু জুড়ীতে মেয়েকে সাঁতার শেখাতে গিয়ে পুকুরে ডুবে বাবা-মেয়ের মৃত্যু মৌলভীবাজারে এবারো সক্রিয় চামড়া সিন্ডিকেট, সরকার নির্ধারিত দামে বিক্রি হয়নি চামড়া নূরনগর আশালতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৭০ বছরের মিলন মেলা অনুষ্ঠিত: সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে বর্ণাঢ্য আয়োজন শৈলকুপা বিসিএস অফিসার্স ফোরামের ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় নুরনগর আশালতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৭০ বছরের মিলনমেলা অনুষ্ঠিত লালপুরে আশার আলো রক্ত বন্ধনে ফ্রি ব্লাড গ্রুপ নির্ণয় ক্যাম্প নাগেশ্বরীতে অনুষ্ঠিত হলো বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামির ঈদ পূর্ণমিলন

মৌলভীবাজারে এবারো সক্রিয় চামড়া সিন্ডিকেট, সরকার নির্ধারিত দামে বিক্রি হয়নি চামড়া

চামড়া সংরক্ষণের জন্য ১৭৭টি এতিমখানা ও কওমি মাদরাসায় সরকারের পক্ষ থেকে ১২০ টন লবণ বরাদ্দ দেওয়া হলেও জেলার বেশিরভাগ মাদ্রাসায় চামড়া সংরক্ষণ না করে কম দামে বিক্রি অভিযোগ ওঠেছে


মৌলভীবাজারে কোরবানির পশুর চামড়া বিক্রিতে সিন্ডিকেট চক্রের কবলে পড়েছেন মৌসুমী চামড়া ব্যবসায়ীরা। এ ছাড়া বিভিন্ন কওমি মাদরাসা ও এতিমখানর জন্য চামড়া সংগ্রহকারীরাও বিপাকে পড়েছেন। তারা সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী চামড়ার কাঙ্খিত দাম না পেয়ে পানির দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। ঈদের দিন থেকে আজ পর্যন্ত মৌলভীবাজার জেলার বিভিন্ন উপজেলায় সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা যায়, সিন্ডিকেটের কাছে এবারও জিম্মি মৌলভীবাজারে কাঁচা চামড়ার বাজার। সরকার নির্ধারিত দাম থাকলেও তা মানছেন না আড়তদাররা। মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, ইচ্ছেমতো দাম নির্ধারণ করে তাদের ‘পানির দামে’ চামড়া বিক্রি করতে বাধ্য করা হচ্ছে। কওমি মাদরাসা ও এতিমখানার পরিচালকদের অভিযোগ, আড়তদাররা সিন্ডিকেট গড়ে মৌলভীবাজার জেলায় চামড়ার বাজার নিয়ন্ত্রণ করছেন। চামড়ার বাজারে ধস নামায় এবারো বঞ্চিত হয়েছেন গরিব, এতিম-দুস্থরা।  চামড়ার প্রকৃত মূল্য না পেয়ে ব্যাপক লোকসানের মুখে পড়েছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। তারা ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করে অভিযোগ করছেন, প্রশাসনের তদারকির অভাবে সরকার নির্ধারিত দাম কার্যকর হয়নি। তবে এসব অভিযোগ মানতে নারাজ আড়ৎদাররা। তাদের দাবি, লবণের দাম, শ্রমিক মজুরি আর সংরক্ষণাগারের বাড়তি ভাড়ার অঙ্ক যোগ করতে হয় চামড়ার সাথে। ট্যানারি মালিকদের কাছে বাকি বিক্রির কারণে থাকে মূলধন সংকটও। 

এদিকে চামড়া শিল্পের সংকট নিরসনে এবং চামড়ার মান নিয়ন্ত্রণের জন্য এ বছর থেকে এতিমখানা ও কওমি মাদরাসায় সরকারি ভর্তুকিতে লবণ দিচ্ছে সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় মৌলভীবাজার জেলায় চামড়া সংরক্ষণের জন্য ১৭৭টি এতিমখানা ও কওমি মাদরাসায় সরকারের পক্ষ থেকে ১২০ টন লবণ বরাদ্দ দেওয়া হলেওে জেলার বেশিরভাগ মাদ্রাসায় চামড়া সংরক্ষণ না করে কম দামে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠেছে।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ঈদের কয়েকদিন আগে মৌলভীবাজার জেলার ১৭৭টি এতিমখানা ও কওমি মাদরাসায় চাহিদা অনুযায়ী লবণ বরাদ্দ করা হয়। এরমধ্যে সদর উপজেলায় ১৩টি, কমলগঞ্জ উপজেলায় ১৬টি, রাজনগর উপজেলায় ৩৯টি, কুলাউড়া উপজেলায় ৩৫টি, জুড়ী উপজেলায় ২২টি, শ্রীমঙ্গল উপজেলায় ৩০টি ও বড়লেখা উপজেলায় ২২টি এতিমখানা, কওমি ও হাফিজিয়া মাদরাসা রয়েছে। কোরবানির পশুর চামড়ার মান নিয়ন্ত্রণে প্রত্যেক রুর জন্য ৮ কেজি, মহিষের জন্য ১০ কেজি, ভেড়ার জন্য ৪ কেজি ও ছাগলের জন্য ৩ কেজি লবণ দেওয়া হয়। চামড়া সংরক্ষণের জন্য ১৭৭টি মাদরাসায় আলাদা করে সংরক্ষণাগার করার জন্য জেলা প্রশাসন থেকে নির্দেশনা দেওয়া হলেও কার্যকর হয়নি সিংহভাগ মাদ্রাসায়। এটি বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসন থেকেও উল্লেখযোগ্য তৎপরতা চোখে পড়েনি। 

জেলার বিভিন্ন মাদরাসা ও এতিমখানার পরিচালকের সাথে কথা বলে জানা যায়, সরকার লবন বরাদ্দ দিলেও প্রশিক্ষণ এবং সংরক্ষণের জায়গার ব্যবস্থা করে দেয়নি। যার কারণে অধিকাংশের বেশি মাদ্রাসায় চামড়া বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। কিছু মাদ্রাসায় লবনযুক্ত করে বিক্রির প্রক্রিয়া করছে। জেলার শ্রীমঙ্গলের দারুল উলুম মুঈনুস সুন্নাহসহ কয়েকটি মাদ্রসায় চামড়া লবন দিয়ে সংরক্ষণ করা হয়েছে।

মৌলভীবাজার শহরের জামেয়া আরাবিয়া ইসলামিয়া টাইটেলা মাদ্রাসা ও এতিমখানা লিল্লা বোডিং এর প্রিন্সিপাল মুফতি হাবিবুর রহমান বলেন, সরকার এ বছর চামড়ার দাম নির্ধারণ করে দিলেও ক্রেতারা এই দামের ধারে কাছেও নেই। গরুর চামড়ার দাম তারা বলছেন ২৫০ থেকে সর্বোচ্চ ৩৫০ টাকা। আমি বললাম সরকার তো এ বছর চামড়ার দাম নির্ধারণ করেছে, পরিস্থিতিও ভালো। চামড়া ব্যবসায়ীরা বলেন এগুলোর সাথে কোনো মিল নেই, এগুলো ভুয়া। এবারও চামড়ার কেনায় ক্রেতাদের মাঝে কোনো উৎসাহ-উদ্দীপনা নেই। ন্যায্য মূল্য নিয়ে দুশ্চিন্তার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, যে অবস্থা দেখছি এবারও বহু চামড়া নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। 

শ্রীমঙ্গল শহরের স্টেশন রোডে কাঁচা চামড়ার বাজারে দেখা হয় শ্রীমঙ্গল শহরতলীর রামনগর ছওতুল হেরা মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক এর সাথে। তিনি বলেন, মাদরাসার এতিম ও গরিব ফান্ডের জন্য সংগ্রহ করা কাঁচা চামড়াগুলো পিকআপ গাড়িযোগে শহরে নিয়ে এসেছি। বেচার জন্য একাধিক চামড়া ব্যবসায়ির দ্বারে দ্বারে ঘুরছি, কিন্তু তারা পানির দামে চামড়া কিনতে চান। প্রতিটি গরুর চামড়ার দাম বলছেন ৮০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১৭০ টাকা। সরকার ঘোষিত চামড়ার দামে কেউ চামড়া ক্রয় করতে চাননি। নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থেকে বাধ্য হয়ে চামড়াগুলো পানির দামে বিক্রি করেছি। এছাড়া ছাগলের চামড়াগুলো কোনো ব্যবসায়ী কিনতে চাননি। পরে টাকা ছাড়াই দিয়ে এসেছি তাদের। 

আশিদ্রোন জামিউল উলুম মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা আব্দুল মালিক বলেন, আমাদের মাদরাসায় ৯৩টি গরুর চামড়া সংগ্রহ করা হয়েছিল। প্রতিটি গরুর চামড়া ২২০ টাকা করে বিক্রি করেছি, আর ৬০টি ছাগলের চামড়া লবনজাত করে সংরক্ষণ করেছি। তিনি বলেন চামড়া সংরক্ষণের জন্য সরকার লবন বরাদ্দ দিলেও প্রশিক্ষণ ও জায়গার কোনো ব্যবস্থা করেনি।  

মৌলভীবাজার কাজিরগাঁও এলাকার সৈয়দ আবুল হাসান বলেন, তিনি এবার ২ লাখ ২০ হাজার টাকায় গরুর চামড়া ২০০ টাকায় বিক্রি করেছেন। কমলগঞ্জের শমসেরনগর এলাকার আব্দুস শহিদ বলেন, শমসেরন ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় সর্বোচ্চ ২৫০ টাকা দরে চামড়া বিক্রির খবর শোনা গেছে। তিনি নিজেও তার কোরবানির পশুর চামড়া ২৫০ টাকা দরে বিক্রি করেছেন। 

জুড়ী উপজেলার হাসনাত কাইয়ুম বলেন, ৩ লাখ টাকার কোরবানির পশুরি চামড়া আমি ২৫০ টাকায় বিক্রি করেছি। বড়লেখার তামজিদ তরফদার বলেন, এবার ২ লাখ ১০ হাজার টাকার পশুর চামড়া ৩০০ টাকায় বিক্রি করেছি। শ্রীমঙ্গল কলেজ রোড এলাকার আবুল হোসেন জানান, তিনি ৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা দামের গরু চামড়া বিক্রি করেছেন মাত্র ২৫০ টাকায়। 

সংশ্লিষ্ট মাদরাসা সুত্রে জানা যায়, ষাড়েরগঞ্জ জামেয়া ইসলামিয়া মাদরাসায় সংগ্রহ করা গরুর চামড়া প্রতি পিস ১৬০ টাকা করে বিক্রি করা হয়েছে। কমলগঞ্জের মুন্সিবাজার টাইটেল মাদরাসায় সংগ্রহ করা ২২৫টি গরুর চামড়া প্রতি পিছ ৩৫৫ টাকায় বিক্রি করা হয়েছে। রাজনগর গগাঁও লিলজান বিবি মহিলা মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা আবদুর রহমান সোহেল বলেন, চামড়া শিল্প পুরোনো সেই সিন্ডিকেটের আন্ডারেই চলছে। দামে কোনো ব্যতয় নেই, সেই আগের মতই।

অবসরপ্রাপ্ত চিকিৎসক আবুল হোসেন বলেন, ২০ বছর আগে যেই চামড়া হাজার টাকায় বিক্রি হতো, সেটা গত কয়েক বছর ১০০-২০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এবারও পানির দরে চামড়া বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু এটা কি যথেষ্ট? সরকার যদি সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না  নেয়, তাহলে এই উন্নতিও স্থায়ী হবে না।

শ্রীমঙ্গল শহরের হাজী সোনা মিয়া সুরজান বিবি আলিয়া মাদ্রাসা ও বায়তুল আমান দারুল উলুম মাদ্রাসা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ শাহিন আহমেদ বলেন, আমাদের মাদ্রাসায় এবার শতাধিক চামড়া সংগ্রহ করা হয়েছে। কিন্তু গড়ে সর্বোচ্চ ৩০০ দরে প্রতি পিছ চামড়া বিক্রি করতে হয়েছে। ভেবেছিলাম এবার সরকার কর্তৃক নির্ধারিত দামে বিক্রি করে ন্যায্য মূল্য পাবো, কিন্তু সিন্ডিকেট থেকেই গেলো। একটি সিন্ডিকেট তাদের মনোপলি দিয়ে ইচ্ছেমতো দাম নির্ধারণ করছে। সরকারের নির্ধারিত মূল্য কার্যকর করা যাচ্ছে না। অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে হবে।

কাঁচা চামড়া সংগ্রহ করে আড়তে বিক্রি করতে এসেছেন ময়না মিয়া। তিনি বলেন, এখানে আড়ৎদাররা কয়েকজন মিলে সিন্ডিকেট। ওরা যে দামে চায়, সেই দামেই আমাদের বিক্রি করতে হচ্ছে। আমাদের কোনো উপায়  নেই। 

জেলার চামড়া ব্যবসায়ী লায়েক মিয়া বলেন, গত ২০২১ সাল থেকে ২০২৪ পর্যন্ত চামড়া কিনে ৭ লক্ষ টাকার লোকসানের শিকার হয়েছি।  এখনও আমার ঘরে ৭০০ পিছ চামড়া স্টক রয়েছে বেচতে পারিনি। চামড়া কেনা বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলা,  কিন্তু আমার ছেলে বললো এবার ভালো দামে বিক্রি করা যাবে, আরও ইনভেস্ট করতে।  ছেলের কথায় এখন পর্যন্ত ৫০০ পিছ চামড়া প্রতি পিছ গড়ে ২৫০ টাকা দওে কিনেছি। কিন্তু যে দামে কিনেছি ট্যানারির কাছে এই দামে বিক্রি করতে পারবো কিনা দুশ্চিন্তায় আছি। কারণ  কেনা সবগুলো চামড়ায় শ্রমিক দিয়ে লবণ যুক্ত করতে হবে। এতে পরিবহন খরচ ও শ্রমিকের পারিশ্রমিকের কারণে চামড়ার ক্রয় মূল্য  বেড়ে যাবে। 

চামড়ার আড়তদার খলিল মিয়া জানান, তারা শ্রীমঙ্গল স্টেশন রোডসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে কয়েকশ চামড়া কিনেছেন। প্রতি পিছ চামড়া গড়ে ১৫০-৩০০ টাকা দরে। সংরক্ষণের জন্য প্রতিটি চামড়ায় লবণ ও অন্যান্য খরচ বাবদ ৪০০-৫০০ টাকা পড়ে। তারপরেও আমরা বেশি দামে চামড়া কিনেছি। এবার প্রচন্ড গরম। পরিশ্রমও বেশি হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে আমরা সরকারের নির্ধারিত দামে চামড়া কিনতে পারি না। এটা সম্ভবও হয় না।

আরেক চামড়া ক্রেতা রফিক মিয়া বলেন, শহর থেকে গ্রামে ঘুরে চামড়া কিনি। এই ঈদে এবার ২৫০-৩০০ টাকার মধ্যে কিনেছি। কিন্তু বিকালে আড়তে দাম শুনে হতাশ হয়েছি। চামড়া খারাপের কথা বলে প্রতিটি চামড়ায় ৮০-১২০ টাকা লোকসান হচ্ছে। যেহেতু আমাদের সংরক্ষণের ব্যবস্থা নাই তাই বাধ্য হয়ে বিক্রি করতে হচ্ছে। লোকসান হলে কি করার আছে। ছাগলের চামড়ার তো দামই বলছে না। 

এদিকে সিন্ডিকেটের ভাষ্য সঠিক নয় দাবি করে কয়েকজন স্থানীয় চামড়ার আড়তদার জানান, অনেক মৌসুমী ব্যবসায়ী বছরে দুয়েকদিনের দিনের জন্য চামড়া কিনে ব্যবসা করেন। তারা চামড়ার গুণগত মান সম্পর্কে জানে না বলেই বেশি দামে চামড়া কিনেন। এরপরে এসে বলে লোকসান হচ্ছে। কারণ আড়তদার তো আর নিম্নমানের চামড়া টাকা দিয়ে কিনবে না। এটাই মৌসুমী ব্যবসায়ীদের মূল সমস্যা। এখানে সিন্ডিকেট কোনো বিষয় না। 

স্থানীয়রা বলছেন, চামড়া বাজারের এই নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে স্থানীয় প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কার্যকর পদক্ষেপ দেখা যায়নি। পদক্ষেপ নেওয়া হলে চামড়া বাজারে সিন্ডিকেট করে কেউ চামড়া কিনতে পারবেন না। তাহলে সরকারের বেঁধে দেওয়া দামে চামড়া বিক্রি করতে পারবেন মৌসুমী ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের নামে সংগ্রহকারী ব্যক্তিরা। না হলে প্রতিবেশী দেশ ভারতে চামড়া পাচারের আশঙ্কা থাকে। 

এ বিষয়ে মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক মো. ইসরাইল হোসেন, সরকার নির্ধারিত মূল্যে কোরবানির পশুর চামড়া বিক্রি করার জন্য চেষ্টা করা হয়েছে। ন্যায্য দাম নিশ্চিতে মাঠে ম্যাজিস্ট্রেস্ট, ইউএন ও সেনাবাহিনী ছিলেন। আমাদের ম্যাজিস্ট্রেটরা জানিয়েছেন জেলায়  চামড়া ৩০০-৪০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। বিষয়টি ঢাকায় জানিয়েছি।  ডিসি আরও বলেন, গত বছর যে চামড়া ১০০-১৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল এ বছর সে চামড়া ৩০০-৩৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এতো বছরের জঞ্জাল এক বছরে শেষ করা কঠিন। মৌলভীবাজারে একটি চামড়া ৪৫০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে। আশা করি আগামী বছর চামড়ার মূল্য আরও বৃদ্ধি পাবে।


Tag
আরও খবর