রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রেক্ষিতে বর্তমান বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জের মধ্যেও বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানি ইতিবাচক ধারায় রয়েছে। চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) ২ হাজার ৭৩১ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে, যা গতবছরের একই সময়ের তুলনায় ১০ দশমিক ৫৮ শতাংশ বেশি।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) আজ সোমবার এই হালনাগাদ পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে। এতে দেখা গেছে, গত ডিসেম্বরে ৫৩৬ কোটি ৫১ লাখ ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এই রপ্তানি গত বছরের ডিসেম্বরের চেয়ে ৯ দশমিক ৩৩ শতাংশ বেশি। গত বছরের ডিসেম্বরে ৪৯০ কোটি ৭৬ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছিল।
ইপিবির তথ্যানুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে ২ হাজার ২৯৯ কোটি ৬৬ লাখ ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। এই আয় গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৫ দশমিক ৫৬ শতাংশ বেশি। চলতি অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে নিট পোশাক রপ্তানীতে ১৩ শতাংশ এবং ওভেন পোশাকে ১৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
আলোচ্য সময়ে নিট পোশাক রপ্তানি হয় ১ হাজার ২৬৫ কোটি ৯৬ লাখ ডলারের এবং ওভেন রপ্তানির পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৩৩ কোটি ৭০ লাখ ডলার।
এছাড়া চলতি অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য ৬৩ কোটি ডলার, হোম টেক্সটাইলে ৬০ কোটি ডলার, কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য ৫০ কোটি ডলার এবং ৪৮ কোটি ডলারের পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এর মধ্যে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যে ১৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
উল্লেখ্য, পণ্য রপ্তানিতে চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের শুরুটা ছিল দুর্দান্ত। প্রথম দুই মাসে ৮৫৯ কোটি ডলার পণ্য রপ্তানি হয়। প্রবৃদ্ধিও ছিল ২৫ শতাংশ। তবে বৈশ্বিক পরিস্থিতির কারণে সেপ্টেম্বরে রপ্তানি কমেছে ৬ দশমিক ২৫ শতাংশ। অক্টোবরে কমেছিল ৭ দশমিক ৮৫ শতাংশ। অবশ্য নভেম্বরে রপ্তানি ঘুরে দাঁড়ায়। নভেম্বরে ৫০৯ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়। এ ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি হয় ২৬ শতাংশ। নভেম্বরে যে পরিমাণ রপ্তানি হয়েছে, তা ২০২২ সালের প্রথম ১১ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ।
চলতি অর্থবছরে ৫ হাজার ৮০০ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে।
১ দিন ২১ ঘন্টা ২৮ মিনিট আগে
২ দিন ১৭ ঘন্টা ৫৩ মিনিট আগে
২ দিন ২০ ঘন্টা ৪১ মিনিট আগে
৩ দিন ৬ ঘন্টা ২৭ মিনিট আগে
৩ দিন ৬ ঘন্টা ২৯ মিনিট আগে
৩ দিন ৬ ঘন্টা ৩০ মিনিট আগে
৩ দিন ১৯ ঘন্টা ১৯ মিনিট আগে
৫ দিন ৩০ মিনিট আগে