১১ বছরের দাম্পত্য কলহ, নির্যাতন আর ঝগড়ার ভয়াবহ পরিসমাপ্তি। যশোরের অভয়নগরে স্ত্রী ও দুই কন্যাসন্তানকে শ্বাসরোধ করে নির্মমভাবে হত্যার দায়ে জহিরুল ইসলাম ওরফে বাবু (৩৬) নামের এক পাষণ্ড স্বামীকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত।সোমবার (৬ অক্টোবর, ২০২৫) দুপুরে যশোরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৮ম আদালতের বিচারক মো: জাকির হোসেন টিপু এই রায় ঘোষণা করেন।আদালতের অতিরিক্ত পিপি মাহাবুবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বাবু যশোর সদর উপজেলার জগন্নাথপুর এলাকার বাসিন্দা। রায় ঘোষণার সময় বাবু আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।আদালত ও মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের ১৫ জুলাই পারিবারিক কলহের জেরে নিজ শ্বশুরবাড়ি (অভয়নগর উপজেলার সিদ্ধিপাশা গ্রাম) থেকে স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন বিথি (৩২) এবং দুই মেয়ে সুমাইয়া (৯) ও সাফিয়াকে (২) নিয়ে ফিরছিলেন বাবু। পথেই চরম আকার ধারণ করে তাদের দীর্ঘদিনের দাম্পত্য দ্বন্দ্ব।হত্যা স্থান: অভয়নগর উপজেলার চাঁপাতলা গ্রাম।হত্যাকাণ্ড: ফেরার পথে পারিবারিক ঝগড়ার জেরে বাবু শ্বাসরোধ করে একে একে স্ত্রী ও দুই কন্যাসন্তানকে হত্যা করেন।মরদেহ ফেলে রাখা: হত্যার পর তিনজনকেই যশোর-খুলনা মহাসড়কের পাশে চেঙ্গুটিয়া এলাকার একটি বাগানে ফেলে রেখে যান বাবু।
এই নৃশংস ঘটনার পর পরই জহিরুল ইসলাম ওরফে বাবু নিজেই বসুন্দিয়া পুলিশ তদন্তকেন্দ্রে গিয়ে পুরো ঘটনা স্বীকার করেন। পুলিশ তাকে হেফাজতে নেয় এবং পরে ডিবিতে স্থানান্তর করা হয়।মামলার অভিযোগ: টাকা নিয়েও থামেনি নির্যাতনমামলার বাদী ও নিহত বিথির বাবা মুজিবর রহমান অভিযোগ করেন, বিয়ের পর থেকেই যৌতুকসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বাবু তার মেয়েকে নির্যাতন করতেন। এমনকি পারিবারিক কলহ মেটাতে বাবুকে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাতেও নির্যাতন বন্ধ হয়নি।পিতার অভিযোগ অনুযায়ী, ঘটনার দিনও ঝগড়া ও মারধরের পর বাবু পথের মধ্যে পরিকল্পিতভাবে স্ত্রী ও মাসুম দুই মেয়েকে হত্যা করেন। পুলিশের তদন্তে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হয়। ২০২২ সালের ৩০ নভেম্বর অভয়নগর থানার এসআই গোলাম হোসেন আদালতে বাবুর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) জমা দেন। অবশেষে সোমবার এই জঘন্য অপরাধের জন্য আদালত তাকে সর্বোচ্চ শাস্তি অর্থাৎ মৃত্যুদণ্ড দিলেন।
১ ঘন্টা ৪৬ মিনিট আগে
১ ঘন্টা ৪৭ মিনিট আগে
৩ ঘন্টা ১৯ মিনিট আগে
৩ ঘন্টা ৩৮ মিনিট আগে
১০ ঘন্টা ৩৭ মিনিট আগে
১৪ ঘন্টা ১৯ মিনিট আগে
১৪ ঘন্টা ২৬ মিনিট আগে