গতকাল ৫ অক্টোবর ছিলো বিশ্ব শিক্ষক দিবস। এই দিনে শিক্ষার্থী গভীর আবেগ আর অনুভূতির সাথে স্মরণ করেন তাদের জীবনের সবচেয়ে প্রিয় শিক্ষকদের। ১৯৯৫ সাল থেকে এই শিক্ষক দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। বিশ্বের প্রায় ১০০টি দেশ এই দিবসটি পালন করা হয়ে থাকে। শিক্ষক দিবসের এই দিনে গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা পেয়েছেন ঢাকা কলেজের সহকারী অধ্যাপক নাজমুন নাহার।
অধ্যাপক নাজমুন নাহার ৩০ তম বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) এর মাধ্যমে উত্তীর্ণ হয়ে কর্মজীবনে প্রবেশ করেন। বর্তমানে তিনি ঢাকা কলেজের অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আছেন। এর আগে তিনি নারায়ণগঞ্জের সরকারি তোলারাম কলেজে দায়িত্বরত ছিলেন। কর্মজীবনে তিনি পেয়েছেন অসংখ্য শিক্ষার্থীর ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা। শিক্ষার্থীদের কাছে যেন মায়ের আসনে সমাসীন এই শিক্ষক।
সরকারি তোলারাম কলেজের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী সজিব হোসেন অর্ণব তার প্রিয় শিক্ষক নাজমুন নাহার ম্যাডাম প্রসঙ্গে বলেন, "শিক্ষক দিবস এক অন্যতম দিন। এদিন তাদেরকে বিশেষ ভাবে মনে করতে চাই, যারা আমাদের জীবনে মনুষ্যত্বের আলো ছড়িয়ে দেন এবং যে সকল শিক্ষকের কথা মৃত্যুর আগেও মনে থাকে। তাদের মধ্যে অন্যতম একজন শিক্ষক, আমার প্রিয় শিক্ষক নাজমুন নাহার ম্যাম। আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ শিক্ষক তিনি (নাজমুন নাহার ম্যাডাম)৷ উনার সাথে সম্পর্কটাও খুবই ফ্রেন্ডলী এবং মা ছেলের মত। অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষা জীবনে ক্যাম্পাসে সব ধরনের সহোযোগিতাই পেয়েছি। শিক্ষা জীবনের পাশাপাশি ব্যাক্তি জীবনেও উনি আমার আদর্শ"
ঢাকা কলেজের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী মো. শাহরিয়ার ইব্রাহিম খান বলেন, "শিক্ষক তো অনেকেই হন কিন্তু কেউ কেউ থেকে যান হৃদয়ের গভীরে, স্নেহে, যত্নে আর নিঃস্বার্থ ভালোবাসায়। আজ শিক্ষক দিবসে আমি শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা জানাতে চাই, আমার অন্যতম প্রিয় শিক্ষিকা ঢাকা কলেজের নাজমুন নাহার ম্যামকে। উনি নারায়ণগঞ্জ সরকারি তোলারাম কলেজে আমার উচ্চমাধ্যমিকে শিক্ষক ছিলেন। ভাগ্যক্রমে অনার্সেও ঢাকা কলেজে আমার শিক্ষিকা হিসেবে পাই। আমার শিক্ষাজীবনের দুটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপে তাঁর স্নেহশীল ছায়া ছিল সবসময়। ম্যাম একেবারে মায়ের মতো আগলে রাখা, বুঝিয়ে বলা, ভরসা জোগানো সব কিছুতেই তিনি আদর্শ শিক্ষক আমার। তিনি একজন অসাধারণ মানুষও বটে।" তিনি আরও বলেন, "একজন শিক্ষকের কাছ থেকে আমরা যা যা আশা করি, উনি তার থেকেও অনেক বেশি দিয়েছেন নিঃশব্দে কিংবা বিনিময় ছাড়াই। যখনই কোনো প্রয়োজনে সাহায্য দরকার হয়েছে, তিনি প্রস্তুত ছিলেন। ক্লাসের বাহিরেও যখন কোনো পড়া বুঝতে অসুবিধা হয়েছে কিংবা কোনো পরামর্শের দরকার পড়েছে, তাঁর কাছে বললেই সঙ্গে সঙ্গেই মেলে সাহায্য। শিক্ষক দিবসে শ্রদ্ধা, কৃতজ্ঞতা আর অকৃত্রিম ভালোবাসা ম্যামকে। আপনার মতো একজন শিক্ষিকার কাছে শিক্ষার্থী হতে পারা সত্যিই আমার জীবনের সৌভাগ্য।"
১ ঘন্টা ৫৯ মিনিট আগে
২ ঘন্টা ০ মিনিট আগে
৩ ঘন্টা ৩২ মিনিট আগে
৩ ঘন্টা ৫২ মিনিট আগে
১০ ঘন্টা ৫০ মিনিট আগে
১৪ ঘন্টা ৩৩ মিনিট আগে
১৪ ঘন্টা ৩৯ মিনিট আগে