সাতক্ষীরায় বিএসটিআই অনুমোদিত লাইসেন্স না থাকায় দুই ড্রিংকিং ওয়াটার মালিককে জরিমানা খুবিতে প্রফেসর দীপক কামাল মেমোরিয়াল স্কলারশিপ পেলন ১৬ শিক্ষার্থী মানবতার সেবায় রেড ক্রিসেন্টের ভূমিকা অতুলনীয় - চট্টগ্রাম সিটি মেয়র আ. লীগ নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে অবস্থানের ঘোষণা ঝিনাইগাতীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ১৬টি টাওয়ারসহ পাইপ ধ্বংস, ১টি ট্রাক ও ২টি মাহিন্দ্র জব্দ বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টার কাইয়ুমের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করা হচ্ছে, অভিযোগ পদবঞ্চিত নেতাদের কৃষ্ণনগরে কালিকাপুর সিদ্দিকীয়া দাখিল মাদ্রাসায় এডহক কমিটির পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত নিয়মিত ক্রু মিটিং বাস্তবায়ন করায় পুরস্কার পেলেন বাকৃবির রোভার স্কাউট লিডার প্রথমবারের মতো ইন্টার্নশিপ পেল বাকৃবির মাৎস্যবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা আশাশুনিতে অঙ্কনের মাধ্যমে প্রতিবন্ধীদের সম্পদ ও ঝুঁকি চিহ্নিত করণ কর্মশালা পীরগাছায় ভাবীর হোটেলে ১৯৯টাকায় পাওয়া যাবে একটি মোটরসাইকেল ভারতের ১৫ শহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা পাকিস্তানের, দাবি দিল্লির লালপুরে তথ্য চাওয়ায় সাংবাদিককে হুমকি ও মিথ্যা মামলার ভয়।। চট্টগ্রাম বে টার্মিনালে ২৫ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে -বিডা’র চেয়ারম্যান খাসিয়া হাওর সীমান্তে উত্তেজনা, মুখোমুখি বিএসএফ-বিজিবি ৫ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প শেরপুরে বিআরটিএ অফিসে দুদকের অভিযান শ্রীমঙ্গলে গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন-স্বৈরাচারীতার ৮ম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে অধিকার বঞ্চিত সাধারণ ব্যবসায়ীদের মানববন্ধন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের যুগপৎ আন্দোলন কয়রায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

চা শ্রমিকদের আন্দোলন ও কিছু কথা

দেশচিত্র নিউজ ডেস্ক

প্রকাশের সময়: 19-08-2022 05:11:40 pm

ফাইল ছবি

◾ড. আবু সিনা ছৈয়দ তারেক 


দৈনিক ৮ ঘন্টা কাজে ৩০০ টাকা মজুরীর দাবীতে চা শ্রমিকরা ধর্মঘট করছেন গত কয়েক দিন ধরে। তাঁদের বর্তমান মজুরী দিনে ১২০ টাকা। সর্বশেষ খবরে জানা যায়, মালিক পক্ষ দৈনিক ১২০ টাকা থেকে ৩০ টাকা বাড়িয়ে ১৫০ টাকা দিতে রাজি হয়েছেন। কিন্তু ম্রমিকরা জানিয়ে দিয়েছেন তাঁরা ৩০০ টাকা মজুরী না দিলে কাজে যোগদান করবেন না, ধর্মঘট চালিয়ে যাবেন। ২০১৭ সালে আমি মৌলবী বাজার ও সিলেটের অনেক চা বাগান পরিদর্শনের সুযোগ পেয়েছিলাম। চা শ্রমিকরা মূলত: চা বাগানের আশে পাশে বসবাস করেন। কাজের সুবিধার জন্য মালিক পক্ষ সাধারণত: চা ফ্যাক্টরির পাশে সমতল জায়গায় তাদের জন্য বসতি নির্মান করে দেয়। ঘর গুলো সাধারণত: লম্বাকৃতির হয়। পার্টিশান করে প্রতিটি শ্রমিক পরিবারের জন্য একটি কক্ষ বরাদ্দ দেওয়া হয়। ফ্যাক্টরিতে বিদ্যুৎ সংযোগ থাকলেও শ্রমিকদের কলোনীতে বিদ্যুৎ এর সংযোগ চোখে পড়েনি। পয়:নিস্কাশন ব্যবস্থাও আদিম। কলোনীর আঙ্গিনায় মাটির চুলা তৈরী করে বন থেকে কাঠ সংগ্রহ করে তাদের রন্ধন কাজ করতে দেখেছি। মাটি দিয়ে অনেককে ঘর তৈরী করে থাকতেও দেখেছি। বেশ কয়েকটি পরিবারকে দেখেছি চা’য়ের কচি পাতা ভাজি করছে খাওয়ার জন্য। এটি নাকি তাদেরকে প্রায়ই খেতে হয়। কারণ, তাঁরা যে পারিশ্রমিক পান তা দিয়ে এর চেয়ে ভালো কিছু সংগ্রহ করা সম্ভব হয়না। চা শ্রমিকরা তাঁদের সন্তানদের লেখা-পড়ার সুযোগও খুব একটা দিতে পারেন না্। বড় রাস্তার পাশে কোন কোন জায়গায় হয়ত সরকারি প্রাইমারী স্কুল হয়েছে কিন্তু তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম। এনজিও গুলো উপানুষ্ঠানিক প্রাথমিক শিক্ষার ব্যবস্থা করছে কোন কোন বাগানে, তবে তাও সীমিত। 


প্রতিটা চা বাগানের শ্রমিক চা বাগানের সাথে শিকলের শৃংখলে আবদ্ধ। প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে শ্রমিকরা চা বাগানে যায়, ৮ ঘন্টা ডিউটি করে, তারপর বিকেলে কলোনীতে এসে পাক করবে খায় এবং দ্রুত ঘুমিয়ে পড়ে। ঘরে যেহেতু বিদ্যুৎ নেই, কেরোসিন দিয়ে কুপি/হারিকেন জ্বালাতে হয়, তাই সজাগ থেকে কেরোসিন খরচ করার সামর্থ্য বা প্রয়োজন কোনটাই তাঁদের নেই। যারা সন্ধ্যা বেলায় ঘুমুবে না তারা মদ সংগ্রহ করে কিছুক্ষন মাতলামি করে ঘুমিয়ে পড়ে। মালিক পক্ষ শ্রমিকদের বিনোদনের জন্য মদ/তাড়ির সরবরাহ অবশ্য নিশ্চিত করে থাকে সেই ব্রিটিশ আমল থেকেই। এটিই তাদের একমাত্র বিনোদন।


চা শ্রমিকদের ৩০০ টাকা মজুরীর দাবিটা কি খুব বেশী অযৌক্তিক? বর্তমান বাজার মূল্যে চারজনের একটি পরিবারে তিন বেলা যদি মোটা চাউলের ভাতও খেতে হয় তাহলে দিনে কমপক্ষে দু’কেজি চাউল লাগে। দু’কেজি চাউলে ১২ জনে (তিন বেলা) খাওয়া কি খুব বেশী? আমি মনে করি অবশ্যই না। তাহলে দুু’কেজি চাউল কিনতেই যদি (৫০×২)১০০ টাকা খরচ হয়ে যায় তাহলে বাকী ২০ টাকা দিয়ে মাছ-মাংশ দুরে থাক, সবজিও তঁরা খেতে পারে না প্রতিদিন। তাই তাঁদের শেষ ভরসা কচি চা পাতা ভাজি। সামন্ত যুগে ইউরোপীয় সামন্ত প্রভূরা ভূমি দাসদের কিছু ভূমি দান করতো চাষ করে খাওয়ার জন্য। সামন্ত প্রভূরা এটা করতো যাতে কৃষি শ্রমিকরা শক্তি সঞ্চয় করে তাদের জমিতে কাজ করতে পারে। আমাদের দেশের চা শ্রমিকদের অবস্থা ইউরোপীয় সামন্ত সমাজের চেয়েও খারাপ। মালিক পক্ষ শ্রমিকদের পেট পুরে খাওয়ার ন্যুন্যতম মজুরি দিতেও রাজি হচ্ছে না। শ্রমিকরা যদি অভুক্ত থেকে চা বাগানে কাজ করতে যায়, তাহলে ভালো সার্ভিস কীভাবে দিবে? 


২০১৬ সালে আমি সৌদি আরবের জেদ্দা শহরে একরাত রাত্রি যাপন করেছিলাম। সেখানে একটি চা দোকানে ঢুকেছিলাম চা কিনবো বলে। দোকানটি ছিল একজন পাকিস্তানীর। আমি ভালো চা চাওয়াতে সে শ্রীলংকার ’লিপটন’ চা দেখালো। আমি বললাম, আমাদের বাংলাদেশে এর চেয়েও ভালো চা তৈরী হয়। একথা শুনে সে গরম হয়ে গেল এবং বলল বাংলাদেশে কিছু আছে নাকী? আমিও রেগে গেলাম দেশকে অপমান করেছে বলে এবং বললাম তুমি বাংলাদেশ সম্পর্কে কী জানো? সাথে সাথে ইন্টারনেট থেকে সিলেট এর ’লিপটন’ চা’র বাগান দেখালাম। এবার সে মাথা নীচু করে বললো আমি জানতাম না বাংলাদেশে চা উৎপাদন হয় এবং লিপটন চা বাগান তোমাদের দেশে রয়েছে। 


১২০ টাকা বেতনের চা শ্রমিকদের অবদানেই আমি সে দিন একজন পাকিস্তানীর মাথা নীচু করতে পেরেছিলাম। চা বগান মালিকদের অনুরোধ করছি দিননা, তাদের পারিশ্রমিক ৩০০ টাকা করে। ৮ ঘন্টার পারিশ্রমিক ৩০০ টাকা কী খুব বেশী। চা শ্রমিকদের বাঁচিয়ে রাখুন তাঁরা আপনাদের নিরাশ করবে না।


লেখক :ড. আবু সিনা ছৈয়দ তারেক

সহযোগী অধ্যাপক, সমাজবিজ্ঞান বিভাগ

ঢাকা কলেজ, ঢাকা

আরও খবর
deshchitro-6801d6dae401c-180425103642.webp
Take early steps to resolve waterlogging in Dhaka

২০ দিন ২৩ ঘন্টা ১৩ মিনিট আগে




deshchitro-67f32034a3e9c-070425064540.webp
সড়কে মৃত্যুর মিছিল বন্ধ হোক

৩২ দিন ৩ ঘন্টা ৪ মিনিট আগে


67f00c4be906d-040425104355.webp
অবহেলার পাত্র নাকি সভ্যতার স্থপতি?

৩৪ দিন ১১ ঘন্টা ৫ মিনিট আগে


deshchitro-67e77b5f5d7ad-290325104727.webp
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ঈদ ভাবনা

৪০ দিন ২৩ ঘন্টা ২ মিনিট আগে


67e68cb231674-280325054906.webp
ঈদের শুভেচ্ছা জানানোর জন্য বার্তা

৪১ দিন ১৬ ঘন্টা ০ মিনিট আগে