চৌদ্দগ্রামে আবুল হাশেম জনকল্যাণ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ইফতার সামগ্রী বিতরণ দোয়ারাবাজারে সংঘর্ষে আহত যুবকের মৃত্যু চৌদ্দগ্রামে ১১ মার্চ শহীদ দিবস উপলক্ষে ছাত্রশিবিরের ইফতার ও কোরআন উপহার প্রদান নাগরপুরে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত অভয়নগরে পুকুরের পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু বেগমগঞ্জে সৌদি প্রবাসীর বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতি, নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে লাশের মিছিল আর দেখতে চায় না দেশবাসী: জামায়াত আমির নন্দীগ্রামে ওয়ার্ড জামায়াতের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরাতে সব ধরনের কূটনৈতিক তৎপরতা চালাচ্ছে সরকার: প্রেস সচিব প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগে বাধ্যতামূলক ছুটিতে কুবি শিক্ষক কাজী আনিছ নন্দীগ্রামে গণহত্যা ও স্বাধীনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা কুবিতে শাহবাগ ও পতিত স্বৈরাচারের দ্রুত বিচারের দাবিতে মানববন্ধন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিলেন মাহমুদউল্লাহ কুবিতে উত্তরবঙ্গ ছাত্র পরিষদের ইফতার মাহফিল কুবি বিএনসিসি প্লাটুনের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত কুবিতে মার্কেটিং বিভাগের ইফতার ও দোয়া মাহফিল সংস্কার করে দ্রুত জাতীয় নির্বাচন দিতে হবেঃ মোংলায় বিএনপি নেতা কৃষিবিদ শামীমুর রহমান ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্তে বিজিবি বিএসএফ’র পতাকা বৈঠকে দুই বাংলাদশী নাগরিককে হস্তান্তর শৈলকুপায় পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে ২০ জন আহত ঝিনাইদহে ধর্ষকের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন

রামগড় চা বাগানে উৎপাদনে সহায়ক একটি জলাশয় দেড়যুগে ১০লক্ষ কেজিতে পৌঁছেছে।


রামগড় চা বাগানের উৎপাদন বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা রাখছে বাগানের ভিতরের একটি জলাশয়।দেড়যুগে দুই লক্ষ কেজি থেকে উৎপাদন বেড়ে প্রায় ১০ লক্ষ কেজিতে পৌঁছেছে। প্রকৃতির ভারসাম্যহীন আচরনে যথাসময়ে বৃষ্টি না হওয়ায় পানির অভাবে বাগানের চা গাছগুলো খরায় পুড়ে মরে যাচ্ছিল। অনাবৃষ্টির কারণে প্রচন্ড খরায় ক্ষতিগ্রস্ত বাগানটিকে পুনঃজীবিত করতে জলাশয়টিকে ব্যাবহার উপযোগী করতে সংস্কার করে লেকে রুপান্তর করে কর্তৃপক্ষ। দিবারাত্রি লেক থেকে সেচের মাধ্যমে পানি দিয়ে প্রাণ বাঁচানো হচ্ছে প্রায় ১৪ শ একর আয়তনের বাগানে প্রচন্ড খরায় মৃতপ্রায় চা গাছগুলো। শুধু তাই নয়, আগাম চায়ের কচি পাতা সংগ্রহও চলছে বাগানটিতে। সংশ্লিষ্টরা জানান, শুস্ক মৌসুমে খরার সময় লেক থেকে সেচ পাম্পের মাধ্যমে পানি উঠিয়ে ভূ র্গভস্থ স্থায়ী পাইপ লাইন দিয়ে খরায় মরার হাত থেকে রক্ষা করা হচ্ছে চা গাছগুলো। বিশালায়তনের লেক ও স্থায়ী সেচ ব্যবস্থা থাকার কারণে দেড়যুগে দুই লক্ষ কেজি থেকে উৎপাদন বেড়ে প্রায় ১০ লক্ষ কেজিতে পৌঁছেছে বলে জানান তারা।

বৃহষ্পতিবার (৮ র্মাচ) রামগড় চা বাগান সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, চা গাছগুলো সবুজ ও সতেজ। গাছে গাছে গঁজিয়েছে নতুন কুঁড়ি। বাগানের এক প্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে নয়নাভিরাম সবুজের দৃশ্য। বাগানের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত বিশালায়তনের লেকের পানি ভূ গর্ভস্থ পাইপ লাইনের মাধ্যমে নিয়ে স্প্রিংকলারের সাহায্যে বৃষ্টিরমত ছিঁটানো হচ্ছে। সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা যায়, অনাবৃষ্টি ও খরায় বাগানকে সুরক্ষিত রাখতে বাগানের লেকের পাড়ে ৩৬ হর্স পাওয়ার ক্ষমতা সম্পন্ন পাম্প এবং জেনারেটর বসিয়ে বাগানজুড়ে সেচ ব্যবস্থা সচল রাখা হয়েছে। সেচ সুবিধা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বাগানের প্রতিটি লাইনে মাটির নীচে থাইল্যান্ড থেকে আনা পাইপ বসানো  হয়েছে। স্থায়ী এ সেচ লাইনের মাধ্যমে আধুনিক যন্ত্র স্প্রিংকলারের সাহায্যে বৃষ্টির মত পানি ছিঁটানো হয়। বাগানের সিনিয়র ব্যবস্থাপক মো: জয়নাল আবেদীন সাংবাদিকদের বলেন, স্থায়ী সেচ ব্যবস্থার কারণে অনাবৃষ্টি বা খরায়ও এ বাগানে উৎপাদন থেমে থাকে না। প্রতি বছরের মত এবারও আগাম পাতা চয়ন শুরু হয়েছে। ২০০৪ সালে পেড্রোলো লিমিটেড কোম্পানি বাগনটির মালিকানা নেয়ার সময় উৎপাদনের পরিমাণ ছিল দুই লক্ষ কেজি। এখন উৎপাদন হচ্ছে প্রায় ১০ লক্ষ কেজি। তিনি আরও বলেন, বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে আমাদের দেশেও সময়মত পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত হয় না। ফলে এখন আর চা বাগানের গাছ বাঁচাতে বৃষ্টির জন্য প্রকৃতির উপর নির্ভরশীল হওয়া যাবে না। খরা মোকাবেলার জন্য প্রতিটি বাগানেই প্রয়োজনীয় সংখ্যক জলাশয় ও সেচ ব্যবস্থার থাকা দরকার।

আরও খবর