ই-পাসপোর্ট মূলত ৪৮ ও ৬৪ পাতার। ‘অতি জরুরি’, ‘জরুরি’ ও ‘সাধারণ’ এ রকমের ই-পাসপোর্টের জন্য ভিন্ন ভিন্ন হারে ফি জমা দিতে হবে। সেইসঙ্গে রয়েছে সময়েরও ভিন্নতা।
সময়েরও ভিন্নতা অনুযায়ী ‘অতি জরুরি’ ফি জমা দিয়ে দুদিনের মধ্যে, ‘জরুরি’ ফি জমা দিয়ে সাতদিনের মধ্যে পাসপোর্ট দেওয়ার কথা থাকলেও মিলছে না ‘জরুরি পাসপোর্ট’। জরুরি ফি দিয়ে আবেদনের পর ফিঙ্গারপ্রিন্ট সংগ্রহে সাক্ষাৎকারের জন্যই অনলাইনে মিলছে ১০ দিন পরের তারিখ।
সোমবার (১৩ মার্চ) সকালে সরেজমিনে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরে গিয়ে পাসপোর্ট করতে আসা সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলে এমনটাই জানা গেছে।
২০২০ সালের জানুয়ারিতে দেশে শুরু হয় ই-পাসপোর্ট সেবা। অনলাইনে আবেদন করে ফি জমা দিয়ে ফিঙ্গারপ্রিন্ট দেওয়ার জন্য পাসপোর্ট অফিসে আসতে হয় আবেদনকারীকে। এরপর ভ্যারিফিকেশন শেষে অফিস থেকে পাসপোর্ট সংগ্রহের তারিখ দেওয়া হয়। পাঁচ বছর ও ১০ বছর মেয়াদি ৪৮ ও ৬৪ পাতার ই-পাসপোর্টের জন্য ভিন্ন ভিন্ন হারে ফি জমা দিতে হয়। নির্দিষ্ট সময়ে পাসপোর্ট দেওয়ার কথা থাকলেও অনেকের ক্ষেত্রেই যথা সময়ে মিলছে না পাসপোর্ট।
আগামী এপ্রিলে বিদেশে যাবেন মোহাম্মদ সোয়াইব। ৮ হাজার ৫০ টাকা দিয়ে জরুরি পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেন রোববার (১২ মার্চ)। জরুরি ফি জমা দিয়ে মাত্র সাতদিনে পাসপোর্ট পাওয়ার নিয়ম থাকলেও আবেদনের ১০ দিন পর ২৩ মার্চ দেওয়া হয়েছে কেবল ফিঙ্গারপ্রিন্টের তারিখ। এরপর পুলিশ ভেরিফিকেশন তথা পুলিশ ক্লিয়ারেন্সসহ পাসপোর্ট সংগ্রহের তারিখ। ফলে তার প্রয়োজনের আগে পাসপোর্ট পাবেন কিনা সেই শঙ্কায় জরুরি থেকে অতি জরুরি ফি দেওয়ার কথা জানান সোয়াইব।
গত মাসে দুবাই থেকে ছুটিতে দেশে এসেছেন মোহাম্মদ আলী হোসেন। পাসপোর্টের মেয়াদ কম থাকায় নবায়ন করার জন্য জরুরি ফি জমা দেন তিনি। তিনি বলেন, পাসপোর্টে ছয় মাসের মেয়াদ থাকতে হয় বিদেশে যাওয়ার আগে। আমার পাসপোর্টে ৬ মাস মেয়াদ নেই। তাই নবায়ন করতে জরুরি ফি দিয়ে দুইদিন আগে আবেদন করেছি। জরুরি ফি দিয়ে সাতদিনে পাসপোর্ট পাওয়ার কথা থাকলেও আগামী ২৩ মার্চ কেবল ফিঙ্গারপ্রিন্টের তারিখ দিয়েছে অফিস।
সাধারণ বা নিয়মিত ফি দিয়ে আবেদন করা ব্যক্তিদের ক্ষেত্রেও একই অবস্থা। গত ২১ জানুয়ারি সাধারণ বা নিয়মিত ফিতে আবেদন করেন মো. ফারদিন নামের এক ব্যক্তি। নিয়মানুযায়ী ১৫ দিনে পাসপোর্ট পাওয়ার কথা থাকলেও ১২ মার্চ ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেওয়ার তারিখ দেওয়া হয় তাকে। তিনি বলেন, জানুয়ারিতে নিয়মিত ফি দিয়ে আবেদন করেছি। গতকাল ফিঙ্গারপ্রিন্টের তারিখ ছিল, আসতে পারিনি তাই আজ এসেছি।পাসপোর্ট কবে হাতে পাবো জানি না।
জরুরি ই-পাসপোর্টের ক্ষেত্রে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সংগ্রহে সাক্ষাৎকারের জন্য উল্লেখিত সময় পেছানোর বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসের পরিচালক আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, যাদের ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেওয়ার তারিখ দেওয়া থাকে তাদেরগুলো আমরা নেই। সার্ভারে তাদেরগুলোই থাকে। এক্ষেত্রে আমাদের কিছু করার নেই। এটা প্রকল্পের যারা রয়েছে তারা বলতে পারবেন।
তবে ই-পাসপোর্ট প্রকল্পের পরিচালককে একাধিকবার ফোন দিয়েও এ বিষয়ে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
১ দিন ৩ ঘন্টা ৪৮ মিনিট আগে
১ দিন ৪ ঘন্টা ৪২ মিনিট আগে
১ দিন ৭ ঘন্টা ৬ মিনিট আগে
১ দিন ১১ ঘন্টা ৫১ মিনিট আগে
১ দিন ১৬ ঘন্টা ৩৩ মিনিট আগে
২ দিন ৫ ঘন্টা ৬ মিনিট আগে
২ দিন ৫ ঘন্টা ৯ মিনিট আগে
২ দিন ৫ ঘন্টা ১১ মিনিট আগে