চৌদ্দগ্রামে আবুল হাশেম জনকল্যাণ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ইফতার সামগ্রী বিতরণ দোয়ারাবাজারে সংঘর্ষে আহত যুবকের মৃত্যু চৌদ্দগ্রামে ১১ মার্চ শহীদ দিবস উপলক্ষে ছাত্রশিবিরের ইফতার ও কোরআন উপহার প্রদান নাগরপুরে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত অভয়নগরে পুকুরের পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু বেগমগঞ্জে সৌদি প্রবাসীর বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতি, নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে লাশের মিছিল আর দেখতে চায় না দেশবাসী: জামায়াত আমির নন্দীগ্রামে ওয়ার্ড জামায়াতের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরাতে সব ধরনের কূটনৈতিক তৎপরতা চালাচ্ছে সরকার: প্রেস সচিব প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগে বাধ্যতামূলক ছুটিতে কুবি শিক্ষক কাজী আনিছ নন্দীগ্রামে গণহত্যা ও স্বাধীনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা কুবিতে শাহবাগ ও পতিত স্বৈরাচারের দ্রুত বিচারের দাবিতে মানববন্ধন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিলেন মাহমুদউল্লাহ কুবিতে উত্তরবঙ্গ ছাত্র পরিষদের ইফতার মাহফিল কুবি বিএনসিসি প্লাটুনের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত কুবিতে মার্কেটিং বিভাগের ইফতার ও দোয়া মাহফিল সংস্কার করে দ্রুত জাতীয় নির্বাচন দিতে হবেঃ মোংলায় বিএনপি নেতা কৃষিবিদ শামীমুর রহমান ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্তে বিজিবি বিএসএফ’র পতাকা বৈঠকে দুই বাংলাদশী নাগরিককে হস্তান্তর শৈলকুপায় পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে ২০ জন আহত ঝিনাইদহে ধর্ষকের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন

নীরব সংকটে ব্যাংক খাত

দেশচিত্র নিউজ ডেস্ক

প্রকাশের সময়: 21-08-2022 11:56:20 pm

সংগৃহীত ছবি

◾ নিউজ ডেস্ক


নগদ টাকার চরম সংকটে পড়েছে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো। প্রায় প্রতিদিনই কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ধার নিয়ে দৈনিক চাহিদা মেটাচ্ছে কয়েকটি ব্যাংক। এ খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঋণ আদায় ও নতুন আমানত কমে যাওয়ার পাশাপাশি ডলার সঙ্কটের কারণে এ অবস্থা তৈরি হয়েছে। 


বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, রবিবার (২১ আগস্ট)ও কয়েকটি ব্যাংক কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে প্রায় ৮০০ কোটি টাকা ধার নিয়েছে। এর আগে গত ১৭ আগস্ট সাড়ে সাত হাজার কোটি টাকা, ১৬ আগস্ট সাড়ে ৯ হাজার কোটি টাকা এবং ১৪ আগস্ট সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকা ধার দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ জন্য ব্যাংকগুলোকে সর্বোচ্চ সুদ গুনতে হয়েছে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ।


বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে না এলে সঞ্চয় ভাঙার প্রবণতা আরও বাড়বে। এতে ব্যাংকের বিনিয়োগ সক্ষমতা কমবে। তাই এমন পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য ব্যাংকগুলোকে ঋণ আদায়ে বেশি মনোযোগী হতে হবে। 


গত অর্থবছরের আগস্ট থেকে ব্যাংকিং খাতে ডলার সঙ্কট দেখা দেয়। এ কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছ থেকে ডলার কিনে তাদের প্রয়োজনীয় চাহিদা মেটাচ্ছে ব্যাংকগুলো। 


বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, গত অর্থবছরে ডলারের সঙ্কটে পড়া ব্যাংকগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছ থেকে ৭৫০ কোটি ডলার কিনেছে। এর বিপরীতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক অন্য ব্যাংকগুলোর কাছ থেকে সাড়ে ৬৭ হাজার কোটি টাকা তুলে নেয়। গত অর্থবছরের ধারাবাহিকতায় চলতি অর্থবছরের শুরু থেকে ব্যাংকগুলোর ডলার সঙ্কট চলতে থাকে। বৈদেশিক মুদ্রাবাজার স্থিতিশীল রাখার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে ব্যাংকগুলোর কাছে ডলার বিক্রি অব্যাহত রেখেছে।


সর্বশেষ পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের শুরু থেকে ১৭ আগস্ট পর্যন্ত ৪৭ দিনে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছ থেকে ১৭ হাজার ৬০৩ কোটি টাকার বিনিময়ে ১৮৫ কোটি ৩০ লাখ ডলার কিনেছে ব্যাংকগুলো। 


বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যানে ব্যাংকগুলোর হাতে উদ্বৃত্ত তারল্য দেখানো হয়েছে ২ লাখ ৩ হাজার ৪২৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে নগদ অর্থ মাত্র ২০ হাজার কোটি টাকা। বাকি উদ্বৃত্ত অর্থ সরকারি ট্রেজারি বিল ও বন্ডে আটকে রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, জুন শেষে সরকারের কাছে ৩ লাখ ২২ হাজার ৬৯৬ কোটি টাকার ট্রেজারি বিল ও বন্ড রয়েছে, অর্থাৎ এ পরিমাণ ব্যাংকের অর্থ সরকারের কাছে ঋণ আকারে রয়েছে।


ব্যাংকাররা জানিয়েছেন, তাদের কাছে ট্রেজারি বিল ও বন্ড রয়েছে। কিন্তু নগদ অর্থের সঙ্কট রয়েছে। আর এ সঙ্কট মেটাতে অনেক ক্ষেত্রেই দৈনন্দিন ব্যয় মেটানো সম্ভব হচ্ছে না। বাধ্য হয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে হাত পাততে হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, গত রোববার একটি ব্যাংক দু’দিন মেয়াদি রেপো সুবিধার আওতায় ২৭০ কোটি ৬৪ লাখ টাকার আবেদন করেছিল। বিপরীতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে নগদ টাকার সঙ্কটে পড়া ব্যাংকটিকে ১৩৫ কোটি ৩২ লাখ টাকা ধার দেওয়া হয়েছে। এ জন্য ব্যাংকটিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে সুদ গুনতে হবে সাড়ে ৫ শতাংশ হারে।


অপরদিকে ৭ দিন মেয়াদি রেপো সুবিধার আওতায় পাঁচটি ব্যাংক ৯ হাজার ৩৮৪ কোটি ৯৪ লাখ টাকার ঋণ চেয়েছিল, বিপরীতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ব্যাংকগুলোকে ঋণ দেওয়া হয় ৪ হাজার ৬৯২ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। অপরদিকে ১৪টি ব্যাংক দু’দিন মেয়াদি বিশেষ তারল্য সহায়তার আওতায় ৭ হাজার ৪৫১ কোটি ৫০ লাখ টাকার ঋণ চেয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ১৪টি ব্যাংকের চাহিদা অনুযায়ী পুরো অর্থঋণ দেওয়া হয়। সব মিলে রোববারে ২০টি ব্যাংকের ১৭ হাজার ১০৮ কোটি টাকার চাহিদার বিপরীতে ঋণ দেওয়া হয় ১২ হাজার ২৭৯ কোটি ২৯ লাখ টাকা। এ জন্য সুদ গুনতে হয় সাড়ে ৫ শতাংশ থেকে ৫.৬ শতাংশ পর্যন্ত।

আরও খবর