চৌদ্দগ্রামে আবুল হাশেম জনকল্যাণ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ইফতার সামগ্রী বিতরণ দোয়ারাবাজারে সংঘর্ষে আহত যুবকের মৃত্যু চৌদ্দগ্রামে ১১ মার্চ শহীদ দিবস উপলক্ষে ছাত্রশিবিরের ইফতার ও কোরআন উপহার প্রদান নাগরপুরে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত অভয়নগরে পুকুরের পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু বেগমগঞ্জে সৌদি প্রবাসীর বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতি, নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে লাশের মিছিল আর দেখতে চায় না দেশবাসী: জামায়াত আমির নন্দীগ্রামে ওয়ার্ড জামায়াতের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরাতে সব ধরনের কূটনৈতিক তৎপরতা চালাচ্ছে সরকার: প্রেস সচিব প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগে বাধ্যতামূলক ছুটিতে কুবি শিক্ষক কাজী আনিছ নন্দীগ্রামে গণহত্যা ও স্বাধীনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা কুবিতে শাহবাগ ও পতিত স্বৈরাচারের দ্রুত বিচারের দাবিতে মানববন্ধন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিলেন মাহমুদউল্লাহ কুবিতে উত্তরবঙ্গ ছাত্র পরিষদের ইফতার মাহফিল কুবি বিএনসিসি প্লাটুনের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত কুবিতে মার্কেটিং বিভাগের ইফতার ও দোয়া মাহফিল সংস্কার করে দ্রুত জাতীয় নির্বাচন দিতে হবেঃ মোংলায় বিএনপি নেতা কৃষিবিদ শামীমুর রহমান ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্তে বিজিবি বিএসএফ’র পতাকা বৈঠকে দুই বাংলাদশী নাগরিককে হস্তান্তর শৈলকুপায় পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে ২০ জন আহত ঝিনাইদহে ধর্ষকের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন

সরকারি ব্যয় বাড়ানোর উদ্যোগ

দেশচিত্র নিউজ ডেস্ক

প্রকাশের সময়: 18-03-2023 04:23:48 am

সরকার ক্রমান্বয়ে জিডিপির শতাংশ হারে ব্যয় বৃদ্ধির লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। ২০২০-২০২১ অর্থবছরে সরকারি ব্যয় ছিল জিডিপির ১৩ শতাংশ, যা ২০২১-২০২২ অর্থবছরে (সংশোধিত বাজেটে) ১৪ দশমিক ৯ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। 


দাবি করা হয়েছে, সরকারি আর্থিক ব্যবস্থাপনার সংস্কার কার্যক্রমের সফল বাস্তবায়নের ফলেই তা সম্ভব হয়েছে।


অর্থ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশের সরকারি ব্যয় অনেক কম। ২০২১ সালে যেখানে বাংলাদেশে সরকারি ব্যয় ছিল জিডিপির ১৩ শতাংশ, সেখানে ভারতে ২৮ দশমিক ৮ শতাংশ, মালয়েশিয়ায় ২২ দশমিক ৩ শতাংশ এবং ভিয়েতনামে তা ছিল ২০ দশমিক ৪ শতাংশ। 


এছাড়া, উন্নত অর্থনীতিতে সরকারি ব্যয় বাংলাদেশের চেয়ে অনেক বেশি। আগামীতে সরকারি ব্যয় বাড়ানোই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছে অর্থ মন্ত্রণালয়। আর এ জন্য রাজস্ব বা আয় বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই।


জানা গেছে, গত অর্থবছরের চেয়ে চলতি অর্থবছরে জিডিপির শতাংশ হিসেবে সরকারি ব্যয় (বাজেট) ২ শতাংশ কমে গেছে। 


অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে, জিডিপি’র (মোট দেশজ উৎপাদন) শতকরা হিসেবে বাংলাদেশে সরকারি ব্যয় বর্তমানে কিছু উন্নয়নশীল ও উদীয়মান অর্থনীতির তুলনায় কম।


অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সরকারের পরিপ্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০৪১ ও অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় জিডিপির শতাংশ হিসেবে সরকারি ব্যয় উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি এবং গুণগত ও মানসম্পন্ন সরকারি সেবা নিশ্চিতকরার লক্ষ্যে মৌলিক সামাজিক ও অর্থনৈতিক পরিষেবা খাতসমূহে ব্যয় বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। তবে সীমিত সম্পদ ব্যবহার করে সরকারি ব্যয়ের আকার বৃদ্ধি এবং একই সঙ্গে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ সরকারের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ।


অর্থ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ২০২১-২০২২ অর্থবছরের মূল বাজেটের আকার ছিল জিডিপির শতাংশ হিসেবে ১৭ দশমিক ৫ শতাংশ। কিন্তু চলতি ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে তা কমে হয়েছে ১৫ দশমিক ৫ শতাংশ।


এ বিষয়ে অর্থ বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা অনুযায়ী যদি আমার বাজেট তৈরি করতাম তাহলে চলতি অর্থবছরে বাজেটের আকার অবশ্যই সাত লাখ কোটি টাকার বেশি হতো। কিন্তু তা করা সম্ভব হয়নি। শেষমেশ বাজেটের আকার ছয় কোটি ৭৮ লাখ ২৪ কোটি টাকা গেছে। 


এর অন্যতম কারণ, সম্পদের স্বল্পতা, এক দিকে অভ্যন্তরীণ সম্পদ আশানুরূপ আহরণ করা সম্ভব হচ্ছে না। অন্য দিকে, বিদেশি সহায়তা কাঙ্খিত হারে পাওয়া যাচ্ছে না। বিশেষ করে গত দুই বছরে কোভিডজনিত কারণে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যে অনেকটা স্থবির হয়ে পড়েছিল। এর ফলে রাজস্ব আদায়েও এক ধরনের স্থবিরতা দেখা দেয়। ফলে রাজস্ব আয় ভালো না হওয়ায় সরকারের পক্ষে ব্যয়ও বেশি করা সম্ভব হয়নি।


সরকারের আয় যে আশানুরূপ বাড়ছে না, তার প্রমাণ পাওয়া যায় জিডিপির শতাংশ হিসেবে এনবিআর অবদান বছরের পর বছর ধরে সাড়ে ৭ থেকে ৯ শতাংশের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে। যেমন, ২০২০-২০২১ অর্থবছরে জিডিপির শতাংশে এনবিআর অংশ ছিল সাড়ে ৭ ভাগ। ২০২১-২০২২ অর্থবছরে এটি প্রাক্কলন করা হয়েছিল ৯ দশমিক ৫ ভাগে। কিন্তু পরে তা সংশোধন করে আট দশমিক ৩ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়। চলতি ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে এই হার ধরা হয়েছে আট দশমিক ৩ শতাংশ, পরবর্তী ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে ৮ দশমিক ৮ শতাংশ এবং ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে প্রাক্কলন করা হয়েছে ৯ শতাংশ। তবে প্রাক্কলন যাই করা হোক বিদ্যমান পরিস্থিতিতে এই হার অর্জন করাও দুরূহ হয়ে পড়বে।


অর্থ বিভাগ ও আইএমএফ সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যায়, ২০২১ সালে বেশ কয়েকটি দেশে সরকারি ব্যয় জিডিপির শতাংশে ২০ ভাগের উপরে ছিল । এর মধ্যে, ফ্রান্সের ৫৭ শতাংশ, সুইডেন ৪৯ দশমিক ৪ শতাংশ, যুক্তরাজ্য ৪১ দশমিক ৭ শতাংশ, অস্ট্রেলিয়া ৩৯ শতাংশ, যুক্তরাষ্ট্র ৩৬ শতাংশ ৮ শতাংশ, চীন ৩৩ দশমিক ৭ শতাংশ, ভারত ২৮ দশমিক ৮ শতাংশ, মালয়েশিয়া ২২ দশমিক ৩ শতাংশ এবং ভিয়েতমান ২০ দশমিক ৪ শতাংশ।


সূত্র জানায়, সরকারি ব্যয় বাড়ানোর জন্য যে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে তা নির্ভর করে রাজস্ব আহরণের ওপর। কিন্তু জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) নানা উদ্যোগ নিয়েও রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারছে না। ফলে সংশোধিত বাজেটে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা কমানো হচ্ছে।

আরও খবর