দৌলতদিয়া লঞ্চে ছিনতাইয়ের চেষ্টাকালে দুই মাদকসেবী আটক, ভ্রাম্যমাণ আদালতে দণ্ড কয়রায় ভুয়া ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে আইনজীবীকে হয়রানির অভিযোগ বাড়তি ভাড়ার অভিযোগ পাইনি: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা রাজধানীসহ ১০ জেলায় বজ্রপাতসহ ঝড়-বৃষ্টির আশঙ্কা টানা বৃষ্টি ও গণপরিবহন সংকটে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি সুন্দরবনে সর্বোচ্চ সতর্কতা ঈদে ছুটি বাতিল শিবচরে বসুন্ধরা শুভ সংঘের কমিটি গঠন প্রকাশিত খবরের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা গোয়ালন্দ উপজেলা প্রশাসননের উদ্যোগে ঈদ সামগ্রী পেল ৩৩০ সুবিধাবঞ্চিত যৌনকর্মী। শার্শায় ছুরিকাঘাতে যুবক নিহতের ঘটনার ৯ ঘন্টার মধ্যে হত্যাকারী আটক জয়পুরহাটে চাঞ্চল্যকর ছাত্রদল নেতা পিয়াল হত্যা মামলার তিন জন আসামী গ্রেপ্তার ফিলিস্তিনে গণহত্যা বন্ধের দাবিতে আক্কেলপুরে গণসংযোগ ও বিক্ষোভ মিছিল বরিশালে যাত্রীদের সার্বিক নিরাপত্তাসহ পাশাপাশি পশুর হাটে র‌্যাবেের নিরাপত্তা জোরদার বরিশালে গরুর হাটে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে আটক--৪ সিরাজগঞ্জে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে ছাত্র দলের নেতা রায়হান শেখ উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ পরিবেশ সুরক্ষায় বিশেষ বরাদ্দের দাবিতে শ্যামনগরে পরিবেশ সমাবেশ আবারও ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ শিশু কার্ডের ২২ বস্তা চাউল জব্দ ঈদে হাসি ফুটাতে ভয়েস অব ঝিনাইগাতী’র উপহার বিতরণ শেরপুরে পরিবেশ দিবস উপলক্ষে স্কেটিং রাইড ও বৃক্ষরোপণ অভিযান উদ্বোধন ইসলামপুরে ৫১৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট এবং আধা কেজি গাঁজাসহ ২ মাদক কারবারী আটক

প্রতি রাতেই সুরা মুলক পড়তেন রাসুল (সা.)

দেশচিত্র নিউজ ডেস্ক

প্রকাশের সময়: 24-08-2022 03:16:43 am

সংগৃহীত ছবি

◾ ধর্ম ডেস্ক


সূরা মুলক একটি স্বতন্ত্র সুরা। এটি আল–কোরআনের ৬৭ নম্বর সুরা। এ সুরা পাঠে অনেক ফজিলত রয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “কোরআনে এমন একটি সুরা আছে, যার মধ্যে ৩০টি আয়াত রয়েছে, যা তার পাঠকারী ব্যক্তির জন্য সুপারিশ করবে এবং তাঁকে ক্ষমা করে দেওয়া হবে। আর সেটি হলো ‘তাবারাকাল্লাজি বিয়াদিহিল মুলকু (সুরা মুলক)’।” (সুনানে আত-তিরমিজি ২৮৯১)।


প্রতি রাতে সুরা মুলক তিলাওয়াত করা সুন্নাত। রাসুলুল্লাহ (সা.) ‘আলিফ লাম মিম তানজিলুল কিতাব’ (সুরা আস-সাজদা) ও সুরা মুলক তিলাওয়াত না করে কোনো দিন ঘুমাতেন না। (তিরমিজি-২৮৯২)


তবে এর মানে এই নয় যে সুরাটি দিনে পড়া যাবে না। এটি যেকোনো সময় পড়া যাবে, তবে রাতের বিশেষ আমল হিসেবে এ সুরা পড়া উত্তম। সুরাটি নামাজের সঙ্গে পড়াও উত্তম। মুখস্থ না থাকলে দেখে দেখে অর্থ বুঝে পড়লে বিশেষ সওয়াব পাওয়া যায়।


সুরাটির নামকরণের মধ্যেই এর বিষয়বস্তু ও মর্মার্থ সুস্পষ্ট। আরবি ‘মুলক’ মানে ‘সার্বভৌমত্ব’। আসমান ও জমিনে সার্বভৌমত্বের একমাত্র মালিক ‘আল্লাহ’, তা এ সুরায় স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। এ সুরার শুরুতেই আল্লাহ সব ক্ষেত্রে তাঁর সার্বভৌম কর্তৃত্বের কথা ঘোষণা করেছেন।


দ্বিতীয় আয়াতে আল্লাহ বলেছেন, ‘তোমাদের মধ্যে আমল করার দিক থেকে কে উত্তম, তা পরীক্ষা করার জন্য যিনি সৃষ্টি করেছেন মৃত্যু ও জীবন। তিনি পরাক্রমশালী ও ক্ষমাশীল।’


আল্লাহ বলছেন, ‘যিনি সৃষ্টি করেছেন মৃত্যু ও জীবন’। এতে বোঝা যায়, জীবনের মতো মৃত্যুও আলাদা একটি সৃষ্টি; অর্থাৎ শুধু জীবনের অবসান বা অনুপস্থিতিই মৃত্যু নয়। মৃত্যু স্বতন্ত্র একটি সৃষ্টি। এ আয়াত থেকে স্পষ্ট, যিনি মৃত্যু সৃষ্টি করেছেন, তিনি অবশ্যই মৃত্যু থেকে মুক্ত। অর্থাৎ মৃত্যু তাঁর ওপর কার্যকর হতে পারে না। 


৩ ও ৪ নম্বর আয়াতে সাতটি আসমানে ও অন্যান্য ক্ষেত্রে আল্লাহর সৃষ্টির নৈপুণ্যের কথা বলা হয়েছে। এখানে আল্লাহ তাঁর সৃষ্টিতে কোনো খুঁত বা অসংগতি আছে কি না, তা খুঁজে দেখতে বলেছেন। একবার নয়, বরং আরও একবার (বারবার) খুঁজে দেখতে বলা হয়েছে। কারণ, প্রথমবার মানুষ অবাক হয়ে কোনো কিছু দেখে। তখন কোনো ভুলত্রুটি-অসংগতি চোখে পড়ে না।


দ্বিতীয়বার বা বারবার ভালো করে দেখলে ভুল ধরা পড়ে। তাই প্রথম অবাক দৃষ্টির পর দ্বিতীয় অনুসন্ধানী দৃষ্টি দিয়েও খুঁত বা অসংগতি খুঁজতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আল্লাহ সবার কাছে চ্যালেঞ্জ দিয়ে রেখেছেন, যতবারই দেখা হোক না কেন, কোনো অসংগতি ধরা পড়বে না। কোনো অসংগতি না পেয়ে মানুষের দৃষ্টি ক্লান্ত হয়ে লজ্জাবনতভাবে ফিরে আসবে।


এ সুরার পঞ্চম আয়াতে বলা হয়েছে, ‘আমি তোমাদের কাছের আসমানকে প্রদীপমালায় সজ্জিত করেছি। আর সেগুলোকে (প্রদীপ) শয়তানদের মেরে তাড়ানোর উপকরণ বানিয়ে দিয়েছি। এসব শয়তানের জন্য আমি প্রস্তুত করে রেখেছি জ্বলন্ত আগুনের শাস্তি। 


আসমানকে প্রদীপ দ্বারা (অর্থাৎ নক্ষত্ররাজি) যেমন সৌন্দর্যমণ্ডিত করা হয়েছে, তেমনি এগুলোকে আক্রমণের মাধ্যমও করা হয়েছে। অর্থাৎ আল্লাহর এই সৃষ্টির মধ্যে একই সঙ্গে সৌন্দর্যের কোমলতা যেমন রয়েছে, তেমনি আক্রমণের কঠোরতাও রয়েছে।


১৫ নম্বর আয়াতের প্রথম অংশে আল্লাহ বলেছেন, ‘তিনি তো সেই, যিনি ভূপৃষ্ঠকে তোমাদের জন্য সুগম বা অনুগত করে দিয়েছেন।’ এর পরের অংশে আল্লাহ বলছেন, ‘তোমরা এর (ভূপৃষ্ঠ) ওপর চলাফেরা করো এবং আল্লাহর দেওয়া রিজিক খাও। তোমাদের তাঁর কাছেই ফিরে যেতে হবে।’


সুরা মুলককে ৬ অংশে ভাগ করা হয়েছে—


প্রথম অংশে (আয়াত ১-৪) আল্লাহর ক্ষমতা বর্ণনা করা হয়েছে এবং শেষ অংশে (আয়াত ২৮-৩০) আল্লাহর ক্ষমতার তুলনায় আমাদের দুর্বলতার কথা প্রকাশ করা হয়েছে। দ্বিতীয় অংশে (আয়াত ৫-১৫) জাহান্নাম ও জান্নাতের কথা এসেছে। 


তৃতীয় অংশে (আয়াত ১৬-২২) বলা হয়েছে, বিপদ শিগগির আসন্ন। তার প্রস্তুতির জন্য কতটুকু সময় প্রয়োজন, সেটা বলা হয়েছে পরের অংশে, অর্থাৎ চতুর্থ অংশে (আয়াত ২৩-২৪)। পঞ্চম অংশে (আয়াত ২৫-২৭) প্রকাশ করা হয়েছে যে মানুষ অবাধ্যবশত জানতে চায়, সে বিপদ কবে ঘটবে?




আরও খবর