প্রথম টি-টোয়েন্টিতে আজ জিম্বাবুয়ের মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ জাতিসংঘে বাংলাদেশ উত্থাপিত ‘শান্তির সংস্কৃতি’ প্রস্তাব গৃহীত আজ যে ৬ অঞ্চলে ঝড়ের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস কুতুব‌দিয়ায় সাংবা‌দিক‌দের সা‌থে চেয়ারম্যান প্রার্থী ব্যারিস্টার হানিফের মতবিনিময় হবিগঞ্জ ইয়ুথ পিস এম্বাসেডর গ্রুপ গঠন বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত। লাখাইয়ে উপজেলা নির্বাচনে ১৫ প্রার্থীর মনোনয়ন পত্র দাখিল। গাজা ইস্যুতে ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য বন্ধ করল তুরস্ক উজানের ঢলে সিলেটের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, বন্যার শঙ্কা উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে কাজ করার নির্দেশ কুতুবদিয়া উপজেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি রাসেল সিকদারের নেতৃত্বে মে দিবস উদযাপন বাংলাদেশের জনগণ এখন মর্যাদা নিয়ে বিশ্ব দরবারে চলতে পারে: প্রধানমন্ত্রী গোদাগাড়ীতে কাভার ভ্যানের ধাক্কায় সাইকেল আরোহী নিহত আরও ২ দিন বাড়লো ‘‌হিট অ্যালার্ট’ অষ্টমবারের মতো কমলো স্বর্ণের দাম হবিগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের ৪ জনই গলাচিপার বদিউজ্জামান ফকিরের উপরে হামলা চালিয়ে থানায় ঢুকে উত্তাপ ছড়ালো ইঞ্জিনিয়ার আমিনুলের সমর্থকরা চৌদ্দগ্রামে আন্তঃজেলা অজ্ঞান পার্টির ২ সদস্য গ্রেফতার। সাভারের আশুলিয়ায় স্ত্রী কে হত্যার দায়ে স্বামী গ্রেফতার চৌদ্দগ্রামে ৪র্থ শ্রেনীর কর্মচারী পরিষদের পরিচিতি ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। খুবিতে 'বি 'ইউনিটে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা আগামীকাল

প্রযুক্তির কল্যাণমুখী ব্যবহার

admin - দেশচিত্র নিউজ ডেস্ক

প্রকাশের সময়: 30-03-2023 10:55:34 am

© সংগৃহীত ছবি

◾ মিসবাহুল ইসলাম  


আমাদের জীবনযাত্রা পরিবর্তনের বড় একটি প্রভাব হলো প্রযুক্তির। এই প্রযুক্তির ব্যবহার এখন হু হু করে বাড়ছে। জীবন যাত্রার ধরনকে ভিন্ন রকম করে তুলছে। আগে ছিল এক রকম এখন হয়ে গেছে প্রযুক্তি নির্ভর। প্রযুক্তির এমন উৎকর্ষের সাথে আমাদের জীবন যাত্রা ও থেমে নেই। তার সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হচ্ছে এখন। নিত্য নতুন সব গ্যাজেট আর প্রযুক্তি আমাদের জীবনযাত্রার মানকে সহজ করে দিয়েছে। বিশ্বে এখন আট বিলিয়ন মানুষের মধ্য থেকে প্রায় পাঁচ বিলিয়ন মানুষ সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে। তথ্য প্রযুক্তির এখন অন্যতম উপকরণ হলো মোবাইল বা স্মার্টফোনের মাধ্যমে নিশ্চিত হয়েছে যোগাযোগের দূরত্বকে জয় করা।


বিশ্ব এখন গ্রামের রূপ নিয়েছে। গ্লোবাল ওয়ার্ল্ড হিসেবে আখ্যায়িত করা হয় একে। মূলত এসব প্রযুক্তি, গ্যাজেট মানুষ আবিষ্কার করেছে। কিন্তু উদ্ভাবন এবং বিকাশের সৃজনশীল মেধা আল্লাহ পাকেরই দান। কেননা কোরআনে তিনি বলেছেন, "এই পৃথিবীর যা কিছু রয়েছে তিনিই তার স্রষ্টা" (সুরা রা'দ : ১৬) বান্দার প্রয়োজনে অথবা অনুগ্ৰহ হিসেবে সর্বক্ষেত্রে সৃষ্টির এমন ভরপুর নেয়ামতে ডুবিয়ে রেখেছেন বান্দাকে। বাছ বিচার করেন না কে তার উপর ঈমান আনল আর কে কুফুরের পথ অবলম্বন করল। সব সৃষ্টিতে তিনি তার অপার কুদরতি নেয়ামতের ছায়ায় আবদ্ধ করে রাখছেন প্রতিনিয়ত তিনি। বিষ্ময়কর এসব নেয়ামত কখনোই আমরা গণনা করে শেষ করতে পারি না। কারণ অসংখ্য কৃপায় নেয়ামতে ভরপুর এমন পৃথিবীতে আমরা বাস করছি। নেয়ামত দেওয়ার ক্ষেত্রে তিনি কারো উপর বিন্দুমাত্র কৃপণতা করেন না।


আল্লাহ পাক বলছেন : "আমি দুনিয়ার সব সৃষ্টিতে সৌন্দর্যতা দিয়েছি ; যেন পরীক্ষা করতে পারি তাদের মধ্য থেকে কে (এসব নেয়ামত পেয়ে) ভালো কাজ করে" (সুরা কাহাফ : ৭)


একজন মোমেন বান্দার দায়িত্ব এসব নেয়ামতের শোকর আদায় করা আর এটা তখনই সম্ভব হবে যখন সব প্রযুক্তির সঠিক এবং মানবকল্যাণে তার ব্যবহার নিশ্চিত হবে। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে তথ্য ও যোগাযোগের ক্ষেত্রে আমরা ব্যবহার করছি বিশেষ করে ফেসবুক, টুইটার, ইউটুব, ইনস্টাগ্রাম প্রভৃতি নিত্য নতুন এ সব তথ্য প্রযুক্তি মহান আল্লাহ পাকের কুদরতি শক্তির বহিঃপ্রকাশ এবং বান্দাকে দেওয়া এক বিস্ময়কর নেয়ামত। কারণ প্রতিনিয়ত এসব ব্যবহার করে আমাদের জীবন যাত্রা সহজ হয়ে উঠছে। আল্লাহর অপার করুণায় আমরা ডুবে যাচ্ছি। আমাদের জীবন চলা এগুলোর সাথে ঝুলন্ত হয়ে গিয়েছে। চাইলেও এসব থেকে দূরে থাকতে পারছি না। তাই তথ্য প্রযুক্তির এসব নেয়ামতের শোকর আদায় আমাদের করতে হবে । শোকর আদায় তখন নিশ্চিত হবে যখন এগুলো কল্যাণমূলক কাজে ব্যবহার হবে।


প্রযুক্তির এমন সব নেয়ামত আমাদের জন্য কল্যাণকর। আর ইসলাম যে কোন কল্যাণমূলক কাজে এগুলো ব্যবহারের অনুমোদন দেয়। কিন্তু এখন দেখার বিষয় হলো প্রযুক্তি গুলোকে আমরা কোন কাজে ব্যবহার করছি। চরম পরিতাপ ও আফসোস যে, আমরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক কে ব্যবহার করে প্রায় আসক্তিকর অবস্থা তৈরি হয়। মাঝে মধ্যে মিথ্যা ভুল এবং গীবতের মত ভয়াবহ তথ্য প্রচার নিজের অজান্তেই করে ফেলি। এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক কমবেশি আমরা সবাই ব্যবহার করি। যাচাই-বাছাইহীন এসব অপপ্রচার, সংবাদ বিশৃঙ্খলা ডেকে আনে। অন্য দিক থেকে এর পাপের ওজন পাল্লা ভারী হতে থাকে। সব দিক থেকে এর মন্দা পরিমাণ খুব ভয়াবহ। কিছু এই মন্দ ব্যবহারের কারণে কিয়ামতের কঠিন হিসাব বিচারালয়ের কাঠ গড়ায় দাঁড়াতে হবে। কারণ আল্লাহ কোরআনে বলেছেন,

"আর সেদিন তোমরা আমার দেওয়া নেয়ামতগুলোর ব্যবহার সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে" (সূরা তাকাসুর : ৮ )


চাইলেই আমরা এসবের ব্যবহারকে কল্যাণমূলক কাজে রূপান্তর করতে পারি। সব প্রযুক্তিরই ভালো-মন্দ ব্যবহার রয়েছে। ফোনকে চাইলে ভালো কাজে ব্যবহার করা যায় আবার মন্দকাজে অনুপ্রবেশ রয়েছে। ফেসবুকের ভালো একটা পোস্টে হাজারো মানুষ দ্বীন ও ধার্মিকতায় আসতে পারে। অন্যায় পথ ছেড়ে তওবা করে ভালো পথে ফিরে আসতে পারে। ফলে আমার এই ভালো কাজের বিনিময়ে আমলনামায় যুক্ত হচ্ছে অসংখ্য সওয়াব। কেননা হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, মুমিন বান্দার প্রত্যেকটি ভাল কাজই সদকা স্বরুপ (সহীহ বুখারী : ৬০২১)


তাই এসবের ভালো ব্যবহার করে আমাদের আমলকে সদকায় রূপান্তর করতে পারি। বিপরীত দিক থেকে মিথ্যা,অশ্লীল এবং নোংরা কোন পোস্টের প্রতিক্রিয়া ছড়িয়ে পড়তে পারে সমাজে। ফলোয়ারকারীদের ওপর এর মন্দ প্রতিক্রিয়ায় পাপ কাজে উদ্বুদ্ধ হওয়ার প্রধান ব্যক্তি হতে পারি আমি। ঠিক একই ভাবে অশালীন কোন ছবি বা ভিডিও পোস্টের ক্ষেত্রে একই কথা। তাই প্রযুক্তির ভাল ব্যবহার নিজের উপর। ইচ্ছাশক্তির উপর ভিত্তি করে এটা । আমাদের ইচ্ছা শক্তির ভিত্তি হবে নেকির পাল্লা ভারী করা।


তাই মানুষের সেবায় এসব প্রযুক্তি ব্যবহার করে আমলের পাল্লা ভারী করতে পারি। দেখা গেছে তৎকালীন সময়ে প্রত্যেক নবীগণ প্রযুক্তিগুলোকে ভালো কাজে ব্যবহার করেছেন। অন্যায় এবং পাপ কাজ থেকে বিরত রাখতে তথ্য প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার করেছেন। তাই দেশ ও সমাজের অপসংস্কৃতিকে দূর করতে এই প্রযুক্তি ব্যবহারের কোন বিকল্প নেই। এর ভালো ব্যবহার নিশ্চিত করতে আমাদের সৎ ইচ্ছা, দৃঢ় মনোবল এবং নেক নিয়ত প্রয়োজন। 


লেখক: মিসবাহুল ইসলাম 

শিক্ষার্থী, উচ্চতর হাদিস গবেষণা