◾ড. এ এন এম মাসউদুর রহমান
রাগ মানুষের একটি খারাপ বৈশিষ্ট্য। সমাজে বাস করতে গিয়ে বিভিন্ন কারণে মানুষ রেগে যায়। কিন্তু রেগে যাওয়া যেমন পরিবেশ নষ্ট করে, তেমনি রাগান্বিত ব্যক্তিকে শারীরিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। তাই সব সময় রাগ সংবরণ করাই শ্রেয়। একদিন মহানবী (সা.)-এর কাছে এক ব্যক্তি এসে উপদেশ চাইলেন। তিনি বললেন, ‘তুমি রাগ করবে না, তুমি রাগ করবে না।’ (বুখারি) রাগ সংবরণ করা ব্যক্তিত্বের পরিচায়ক।
এতে ব্যক্তির বংশীয় আভিজাত্য প্রকাশিত হয়। কথায় কথায় রাগ করা ব্যক্তিকে তুচ্ছ করে। মহানবী (সা.) বলেন, ‘কুস্তি করে যে জয়লাভ করে সে শক্তিশালী নয়, বরং যে স্বীয় রাগ সংবরণ করতে পারে সে-ই প্রকৃত শক্তিশালী।’ (বুখারি)
এরপরেও কেউ রেগে গেলে তা সংবরণের পদ্ধতি বাতলিয়ে দিয়েছে ইসলাম। মহানবী (সা.) বলেন, ‘নিশ্চয়ই রাগ আসে শয়তান থেকে, আর শয়তান সৃজিত হয়েছে আগুন থেকে এবং আগুন পানি দিয়ে নেভাতে হয়। সুতরাং তোমরা রেগে গেলে অজু করবে।’
(আবু দাউদ) সাহাবি আবুজর গিফারি (রা.) বলেন, মহানবী (সা.) আমাদের বলতেন, ‘তোমরা যখন দাঁড়ানো অবস্থায় রেগে যাবে তখন বসে পড়বে।
এতেও রাগ প্রশমিত না হলে শুয়ে পড়বে।’ (আবু দাউদ) মহানবী (সা.)-এর সাহাবিরা যখন কোনো বিষয়ে রেগে যেতেন তখন ক্ষমা করে দিতেন।
আল্লাহ বলেন, ‘আর যারা গুরুতর পাপ ও অশ্লীল কাজ থেকে বেঁচে থাকে এবং যখন রেগে যায় তখন তারা ক্ষমা করে দেয়।’ (সুরা শুরা: ৩৭)
১ দিন ৭ ঘন্টা ৩০ মিনিট আগে
৪ দিন ৮ ঘন্টা ১ মিনিট আগে
১০ দিন ৫ ঘন্টা ৩০ মিনিট আগে
১১ দিন ৩ ঘন্টা ৩৬ মিনিট আগে
৩৫ দিন ১৮ ঘন্টা ২৮ মিনিট আগে
৪০ দিন ৩ ঘন্টা ৫৬ মিনিট আগে
৫৪ দিন ১৩ ঘন্টা ২৪ মিনিট আগে
৫৮ দিন ২২ ঘন্টা ২ মিনিট আগে